Sarba Siksha Aviyan- project work in Bengali- সর্বশিক্ষা অভিযান
Sarba Siksha Aviyan- HS project work in Bengali- সর্বশিক্ষা অভিযান
সর্বশিক্ষা অভিযান
ভূমিকা :-
স্বাধীনতার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে ভারতে বহু শিক্ষা নীতি ও শিক্ষা কমিশন গড়ে উঠেছিল। যেমন স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে রাধাকৃষ্ণণ কমিশন , মুদালিয়ার কমিশন , কোঠারি কমিশন , জাতীয় শিক্ষা নীতি ১৯৮৬ , জনার্দন রেড্ডি কমিটি , রামমূর্তি কমিটি - ইত্যাদি। কিন্তু এত সকল শিক্ষা নীতি ও শিক্ষা কমিশন গড়ে ওঠা সত্ত্বেও সর্বজনীন শিক্ষার আদর্শকে বাস্তবায়িত করা যাচ্ছিলো না।এই পরিস্তিথিতে প্রয়োজন ছিল বাস্তব সম্মত পদক্ষেপের। এরপর Apex Court দ্বারা নির্দেশিত হয়ে সর্বজনীন প্রারম্ভিক শিক্ষার লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে ভারত সরকার সর্বশিক্ষা অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করে। এটি ছিলো কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন সংস্থাগুলির সমবেত প্রচেষ্টার উদ্যোগে পরিকল্পিত একটি প্রকল্প।
বর্তমান প্রতিবেদনমূলক প্রকল্পকর্মটিতে সর্বশিক্ষা অভিযানের প্রেক্ষাপট , তার নীতি ও কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করা হলো।
সর্বশিক্ষা অভিযান
ভূমিকা :-
স্বাধীনতার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে ভারতে বহু শিক্ষা নীতি ও শিক্ষা কমিশন গড়ে উঠেছিল। যেমন স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে রাধাকৃষ্ণণ কমিশন , মুদালিয়ার কমিশন , কোঠারি কমিশন , জাতীয় শিক্ষা নীতি ১৯৮৬ , জনার্দন রেড্ডি কমিটি , রামমূর্তি কমিটি - ইত্যাদি। কিন্তু এত সকল শিক্ষা নীতি ও শিক্ষা কমিশন গড়ে ওঠা সত্ত্বেও সর্বজনীন শিক্ষার আদর্শকে বাস্তবায়িত করা যাচ্ছিলো না।এই পরিস্তিথিতে প্রয়োজন ছিল বাস্তব সম্মত পদক্ষেপের। এরপর Apex Court দ্বারা নির্দেশিত হয়ে সর্বজনীন প্রারম্ভিক শিক্ষার লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে ভারত সরকার সর্বশিক্ষা অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করে। এটি ছিলো কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন সংস্থাগুলির সমবেত প্রচেষ্টার উদ্যোগে পরিকল্পিত একটি প্রকল্প।
বর্তমান প্রতিবেদনমূলক প্রকল্পকর্মটিতে সর্বশিক্ষা অভিযানের প্রেক্ষাপট , তার নীতি ও কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করা হলো।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য :-
নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্য কে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের মাননীয়া শিক্ষিকা কর্তৃক '' সর্বশিক্ষা অভিযান '' শীর্ষক প্রতিবেদনমূলক প্রকল্পটি বিষয় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। উদ্দেশ্যগুলি নিম্নরূপ -
১. ইতিপূর্বে ভারতে বহু শিক্ষা কমিশন ও শিক্ষানীতি গড়ে উঠেছিল। তা সত্ত্বেও নতুন একটি শিক্ষা সংক্রান্ত প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজন কেন পড়লো - সে ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা।
২. সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পের নির্দিষ্ট কিছু নীতি ও উদ্দেশ্য রয়েছে। সেই নীতি ও উদ্দেশ্য গুলি সম্পর্কে জানা।
৩. সর্বশিক্ষা অভিযান ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার চালচিত্রে কতটা পরিবর্তন আনতে পেরেছে -সে বিষয়ে আলোচনা করা।
৪. বর্তমান সময়কালের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশিক্ষা অভিযানের প্রাসঙ্গিকতা আলোচনা করা।
৫. এই বিষয় সম্পর্কে প্রতিবেদন রচনার মাধ্যমে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞানলাভ করা।
প্রকল্পের গুরুত্ব :-
'' সর্বশিক্ষা অভিযান '' শীর্ষক প্রতিবেদনমূলক প্রকল্পটির কিছু বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যেমন -
১. ভারতীয় পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা ও শিক্ষা ব্যবস্থা সর্বদাই আলোচনার বিষয়।কেন না এখনো ভারতের প্রায় ২৫% মানুষ নিরক্ষর অর্থাৎ প্রায় ৩০ কোটি মানুষ নিরক্ষর। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে এই প্রকল্পটি যারা পাঠ করবে - কিছুটা হলেও তারা এই বিষয়ে জ্ঞানলাভ করতে পারবে।
২. প্রকল্পটির মাধ্যমে সর্বশিক্ষা অভিযান এর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে অবহিত হওয়া সম্ভব।
৩. ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার মৌলিক আদর্শ সম্পর্কে জানা সম্ভব।
৪. বর্তমান শিক্ষা পরিস্থিতির উপর সর্বশিক্ষা অভিযানের প্রভাব সম্পর্কে জানা সম্ভব।
৫. জনশিক্ষার বিস্তারে প্রতিটি ছাত্রছাত্রীদের নিযুক্ত হতে উৎসাহ প্রদান সম্ভব।
উপরের লিংকটিতে ক্লিক করলেই পেয়ে যাবে।
তথ্য সংগ্রহ :-
[ দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান টেক্সট বা নোট বইয়ের একাদশ অধ্যায়ের শেষের দিকে সর্বশিক্ষা অভিযান সম্পর্কে দেওয়া আছে। যেকোনো প্রকাশনীর বইতে তা দেওয়া থাকবে। সেখান থেকে '' তথ্য সংগ্রহ '' অংশের জন্য সর্বশিক্ষা অভিযানের কারণ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এই তিনটি পয়েন্ট লিখতে হবে। ]
তথ্য বিশ্লেষণ :-
[ একইভাবে তথ্য বিশ্লেষণের জন্য দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান টেক্সট বা নোট বই থেকে একাদশ অধ্যায়ের সর্বশিক্ষা অভিযানের কর্মসূচি অংশ পুরোটা লিখবে। ]
সিদ্ধান্ত গ্রহণ :-
উপরোক্ত আলোচনা থেকে যে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে সেগুলি হলো -
১. সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্প মূলত গ্রহণ করা হয়েছিল শিক্ষা ক্ষেত্রে সকলের যোগদান সুনিশ্চিত করার জন্য। যে বিরাট সংখক শিশুরা শিক্ষার আঙিনার বাইরে ছিল সকলেই যাতে শিক্ষার সুযোগ লাভ করতে পারে তা নিশ্চিত করা।
তথ্য সংগ্রহ :-
[ দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান টেক্সট বা নোট বইয়ের একাদশ অধ্যায়ের শেষের দিকে সর্বশিক্ষা অভিযান সম্পর্কে দেওয়া আছে। যেকোনো প্রকাশনীর বইতে তা দেওয়া থাকবে। সেখান থেকে '' তথ্য সংগ্রহ '' অংশের জন্য সর্বশিক্ষা অভিযানের কারণ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এই তিনটি পয়েন্ট লিখতে হবে। ]
তথ্য বিশ্লেষণ :-
[ একইভাবে তথ্য বিশ্লেষণের জন্য দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান টেক্সট বা নোট বই থেকে একাদশ অধ্যায়ের সর্বশিক্ষা অভিযানের কর্মসূচি অংশ পুরোটা লিখবে। ]
সিদ্ধান্ত গ্রহণ :-
উপরোক্ত আলোচনা থেকে যে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে সেগুলি হলো -
১. সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্প মূলত গ্রহণ করা হয়েছিল শিক্ষা ক্ষেত্রে সকলের যোগদান সুনিশ্চিত করার জন্য। যে বিরাট সংখক শিশুরা শিক্ষার আঙিনার বাইরে ছিল সকলেই যাতে শিক্ষার সুযোগ লাভ করতে পারে তা নিশ্চিত করা।
২. ভারতীয় সংবিধানে রাষ্ট্রকে সকলের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল। সে লক্ষ্য পূরণের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী হাতিয়ার ছিল সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পটি।
৩. সর্বশিক্ষা অভিযান গৃহীত হওয়ার পর থেকে ভারতীয় শিক্ষার চালচিত্রে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সাক্ষরতার শতকরা হার অনেকাংশে বেড়ে যায়।
৪.সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্প গ্রহণের ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিকল্প শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। যার ফলে কর্মকেন্দ্রিক শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রভূত বিকাশ ঘটেছিলো।
৫.এতদিন পর্যন্ত শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা ছিল বিদ্যালয় ছুট এর সমস্যা। সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্প শিক্ষার্থীদের এই নেতিবাচক প্রবণতা দূর করতে অনেকটাই সফল হয়েছে বলে মনে করা হয়।
৬.এই প্রকল্প গ্রহণের পর থেকে ভারতীয় শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয় - যা সর্বজনীন শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে এক নুতুন দিগন্তের সূচনা করে।
৭.ভারতে প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তারের ক্ষেত্রে সর্বশিক্ষা অভিযান সফল ভূমিকা পালন করে।
৮. এছাড়াও সর্বশিক্ষা অভিযান প্রতিটি রাজ্যগুলিকে নিজ সুবিধা মতো নীতি গ্রহণের সুযোগ প্রদান করে শিক্ষার বিস্তারের ক্ষেত্রে এক বাস্তবধর্মী পদক্ষেপের সূচনা করে।
উপসংহার :-
সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পটি ভারতীয় শিক্ষার ইতিহাসে এক গতিস্বরূপ। এই প্রকল্প ভারতীয় প্রারম্ভিক শিক্ষার বিস্তার কে সাফল্যের সাথে তরান্বিত করেছিল। সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পের প্রধান দুটি বৈশিষ্ট হলো তার বাস্তবতা ও পরিবর্তনশীলতা। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে এই শিক্ষা প্রকল্প ভারতের শিক্ষা ক্ষেত্রে এক জোয়ার নিয়ে এসেছে - এখানেই তার সাফল্য।
গ্রন্থপঞ্জি :-
যে সকল গ্রন্থ গুলি প্রতিবেদন টি রচনা করতে সহায়তা করেছে সেগুলি হলো -
১. শিক্ষাবিজ্ঞান : দ্বাদশ শ্রেণি - ডক্টর দেবাশিস পাল ও ডক্টর সুশান্ত কুমার সাহু।
২. শিক্ষার দার্শনিক বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ও শিক্ষার মনোবৈজ্ঞানিক ঐতিহাসিক ভিত্তি - সুশীল রায়।
৩. শিক্ষাবিজ্ঞান - বাণী প্রকাশন
৪. গঠন , উদ্দেশ্য ও সামর্থ্য গঠন বিষয়ে সম্পন্ন কর্মীদের প্রশিক্ষণ সহায়িকা - পশ্চিমবঙ্গ সর্বশিক্ষা মিশন কর্তৃক প্রকাশিত।
৫.প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্রিজ কোর্স - পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক প্রকাশিত।
4 comments
Help
ReplyDeletethis site helped me a lot
ReplyDeleteকর্মপরিকল্পনা পাচ্ছি না
ReplyDeleteKormo parikalpana pachi na
ReplyDelete