বাংলা প্রকল্প - নাট্যরূপ - কে বাঁচায় কে বাঁচে Bengali Project Dramatisation '' Ke Banchai Ke Banche''
Bengali Project Dramatisation
'' Ke Banchai Ke Banche''
বাংলা প্রকল্প - নাট্যরূপ - কে বাঁচায়
কে বাঁচে নাট্যরূপ কে বাঁচায় কে বাঁচে
চরিত্রবর্গ
মৃত্যুঞ্জয় - মধ্য বয়স্ক ভদ্রলোক। পোশাক ও সাজসজ্জা মধ্যবিত্ত
আপিস চাকুরের মত।
নিখিল - মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোক।
পোশাক ও সাজসজ্জা মৃত্যুঞ্জয়ের
মতোই।
টুনুর মা - মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী।
শীর্ণ চেহারা।
অন্নপ্রার্থীগণ - পোশাক যৎসামান্য
এবং ছেঁড়া ও ময়লা।
হতদরিদ্রতার ছাপ সর্বাঙ্গে।
[ নাট্যরূপের প্রয়োজনে পাঠ্যাংশে
উপস্থিত সকল চরিত্রকে উপস্থাপন
করা সম্ভব হলো না। ]
দৃশ্য ১
মঞ্চ পরিকল্পনা -
১৯৫০ এর দশকের আবহে তৈরী
সাধারণ একটি অফিস ঘর।
একটি বড়ো টেবিল। তাতে
বিভিন্ন কাগজপত্র , ফাইল ,
পেন দানি ইত্যাদি ও একগ্লাস
জল। ২-৩ টি চেয়ার। দেওয়ালে
ক্যালেন্ডার। যে কোনো ক্যালেন্ডার
হলেই চলবে কেননা , দর্শকাসনে
দূরে বসা দর্শকেরা কেউ সাল -
তারিখ দেখতে পাবে না।
[ পর্দা উঠলো। মঞ্চে সাধারণ
আলো। মৃত্যুঞ্জয়ের প্রবেশ।
প্রবেশ করার পর মৃত্যুঞ্জয় গোটা
মঞ্চ একবার পায়চারি করবে।
পোশাক ও চুল অবিন্যস্ত ও
বিপর্যস্ত। একবার চেয়ারে গিয়ে
বসবে। কিছুক্ষন চিন্তা করবে।
এক গ্লাস জল পুরোটা চটপট
পান করবে। তারপর ৩/৪
সেকেন্ড চেয়ারে বসার পর
আবার চেয়ার ছেড়ে উঠে মঞ্চে
অল্পবিস্তর ঘোরাঘুরি করবে।
চেহারায় হতাশা ও বিদ্ধস্ততার
ভাব ফুটে উঠবে।
এই সময় নিখিল প্রবেশ করবে।
নিখিলের পোশাক , কেশবিন্যাস
বা দৈহিক ভাষা মৃত্যুঞ্জয়ের মতো
নয়। সে আত্মবিস্বাসী। ১ টি
ফাইল , কিছু কাগজ মৃত্যুঞ্জয়ের
টেবিলে রেখে দিয়ে সে ২/৩ বার
মৃত্যুঞ্জয়ের দিকে তাকাবে। ]
নিখিল - কি হলো হে তোমার !
মৃত্যুঞ্জয় - ( নিখিলের দিকে না
তাকিয়ে , অস্ফুট স্বরে ) মরে গেল !
নিখিল - কি বলছো ! কে মরে গেল ?
মৃত্যুঞ্জয় - ( চেয়ারে এসে বসে বিহ্বল
দৃষ্টিতে ) মরে গেল ! না খেতে পেয়ে
মরে গেল !
নিখিল - ( চিন্তান্বিত ) - কি হয়েছে
একটু খুলে বলোতো।
মৃত্যুঞ্জয় - ( ২/৩ সেকেন্ড পর ) আজ
ফুটপাথে একটা মৃতদেহ দেখলাম।
না খেতে পেয়ে মরে গেছে মানুষটা !
( শেষের কথাগুলো আর্তনাদের
মতো শোনাবে। )
নিখিল - হুঁম , বুঝলাম , কিন্তু এতে
তুমি আমি কি করতে পারি ?
মৃত্যুঞ্জয় - ভাবছি , আমি বেঁচে
থাকতে যে লোকটা না খেয়ে মরে
গেল , এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কি ?
জেনে শুনেও এতকাল চারবেলা
করে খেয়েছি পেট ভরে। যথেষ্ট
রিলিফ ওয়ার্ক হচ্ছে না লোকের
অভাবে আর এদিকে ভেবে
পাচ্ছি না কি করে সময় কাটাবো।
ধিক ! শত ধিক আমাকে।
নিখিল -তুমি বৃথা অনুশোচনা
করছো মৃত্যুঞ্জয়। এতে তোমার
আমার দোষ কোথায় ! আমাদের
কি'ই বা করার আছে ? ( ২/৩
সেকেন্ড পর ) দেখো চিতার আগুনে
যত কোটি মড়াই এ পর্যন্ত পোড়ানো
হয়ে থাক , পৃথিবীর সমস্ত জ্যান্ত
মানুষগুলিকে চিতায় তুলে দিলে
আগুন তাদেরও পুড়িয়ে ছাই করে
দেবে।
[ কিছুক্ষন নিস্তব্ধতা ; তারপর নিখিল
মৃত্যুঞ্জয়ের পিঠে স্বান্তনাসূচক হাত
চাপড়ে বেরিয়ে গেল। মৃত্যুঞ্জয় বিহ্বল
দৃষ্টিতে দর্শকদের দিকে তাকিয়ে
রইলো। আস্তে আস্তে আলো নিভে গেল। ]
Bengali Project Dramatisation ''
Ke Banchai Ke Banche''
বাংলা প্রকল্প - নাট্যরূপ - কে বাঁচায়
কে বাঁচে
নাট্যরূপ কে বাঁচায় কে বাঁচে
দৃশ্য -২মঞ্চ পরিকল্পনা - প্রথম দৃশ্যের
অনুরূপ। [ নিখিল বসে একতারা
নোট গুনছে। মৃত্যুঞ্জয় প্রবেশ
করলো ]
নিখিল - ( মৃত্যুঞ্জয়ের দিকে না
তাকিয়েই ) কি হে মাইনে পেলে !
মৃত্যুঞ্জয় - ( আস্তে আস্তে এসে
নিজের চেয়ারে বসে ) হ্যাঁ।
নিখিল - জানো , কাল রাতে আমি
তোমার কথাগুলো গভীরভাবে চিন্তা
করছিলাম। ভিক্ষা দেওয়া পাপ ঠিকই ;
কিন্তু এই অসহায় সময়ে আমরা তো
সাধ্যমতো চেষ্টা করতে পারি।
( ৩/৪ সেকেন্ড পর ) তাই ভাবলাম
....... আমাকে প্রতি মাসে তিন জায়গায়
কিছু টাকা পাঠাতে হয়। এই তিনটি
সাহায্যই এবার থেকে পাঁচ টাকা করে
কমিয়ে দেবো। সেই টাকাটা রিলিফ
ফান্ডে দান করবো।
( এই বলে নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের দিকে
তাকালো প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশায়।
মৃত্যুঞ্জয় বিহ্বল দৃষ্টিতে নিখিলের দিকে
তাকিয়ে থেকে হঠাৎ করে তার হাতটা
ধরে ফেললো )
মৃত্যুঞ্জয় - একটা কাজ করে দিতে হবে
ভাই !
নিখিল- ( চিন্তান্বিত ) - কি কাজ ?
মৃত্যুঞ্জয় - ( পকেট থেকে একতারা নোট
বের করে ) - টাকাটা কোনো রিলিফ
ফান্ডে দিয়ে আসতে হবে।
নিখিল - আমি কেন !
মৃত্যুঞ্জয় - আমি পারবো না।
( টাকার বান্ডিলটা নিখিল নিজের হাতে
নিল। তারপর নোটগুলো দেখে )
নিখিল - এ তো পুরো মাইনেটা !
মৃত্যুঞ্জয় - ( আশা ও আনন্দের সাথে )
হ্যাঁ।
নিখিল - দ্যাখ মৃত্যুঞ্জয় , বাড়িতে তোর
নয় জন লোক। মাইনের টাকায় মাস
চলে না। প্রতি মাসে ধার করছিস !
মৃত্যুঞ্জয় - তা হোক নিখিল।আমায়
কিছু একটা করতে হবে ভাই। রাতে
ঘুম হয় না ,খেতে বসলে খেতে পারি
না। এক বেলা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি।
আমার আর টুনুর মা'র একবেলার
ভাত বিলিয়ে দিই।
নিখিল - টুনুর মা'র যা স্বাস্থ্য , একবেলা
খেয়ে দিন পনেরো -কুড়ি টিকতে পারবে।
মৃত্যুঞ্জয় - ( ঝাঁঝিয়ে উঠে ) - আমি কি
করবো ? কত বলেছি , কত বুঝিয়েছি ,
কথা শুনবে না। আমি না খেলে উনিও
খাবেন না। এ অন্যায় নয় ? অত্যাচার
নয় ? মরে তো মরবে না খেয়ে।
নিখিল - মৃত্যুঞ্জয় , এভাবে দেশের
লোককে বাঁচানো যায় না। যে অন্ন
পাওয়া যাচ্ছে সে অন্ন তো পেটে
যাবেই কারো না কারো। যে রিলিফ
চলছে তা শুধু একজনের বদলে
আরেকজনকে খাওয়ানো।
এতে শুধু আড়ালে যারা মরছে তাদের
মরতে দিয়ে চোখের সামনে যারা
মরছে তাদের কয়েকজনকে বাঁচানোর
চেষ্টা করার স্বান্তনা। ( ২/৩ সেকেন্ড
পর )ভুড়িভোজনটা অন্যায় কিন্তু না
খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই। আমি
কেটে - ছেঁটে যতদূর সম্ভব খাওয়া
কমিয়ে দিয়েছি। বেঁচে থাকতে
যতটুকু দরকার খাই এবং দেশের সমস্ত
লোক মরে গেলেও যদি সেইটুকু সংগ্রহ
করার ক্ষমতা আমার থাকে , কাউকে না
দিয়ে নিজেই আমি তা খাবো।
নীতিধর্মের দিক থেকে বলছি না ,
সমাজধর্মের দিক থেকে বিচার করলে
দশজনকে খুন করার চেয়ে নিজেকে না
খাইয়ে মারা বড়ো পাপ।
XI - XII Online MCQ : CLICK HERE
মৃত্যুঞ্জয় - ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা।
নিখিল - কিন্তু যারা না খেতে পেয়ে
মরছে তাদের যদি এই স্বার্থপরতা
থাকতো ? এক কাপ অখাদ্য গ্র্রুয়েল
দেওয়ার বদলে তাদের যদি স্বার্থপর
করে তোলা হতো ? অন্ন থাকতে
বাংলায় কেউ না খেয়ে মরতো না ,
তা সেই অন্ন হাজার মাইল দূরেই থাক
আর একত্রিশটা তালা লাগানো
গুদামেই থাক।
মৃত্যুঞ্জয় - ( রাগান্বিত স্বরে ) - তুই
পাগল নিখিল। বদ্ধ পাগল।
( এই বলে উঠে চলে গেল। আলো
নিভে গেল। )
মৃত্যুঞ্জয় - ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা।
নিখিল - কিন্তু যারা না খেতে পেয়ে
মরছে তাদের যদি এই স্বার্থপরতা
থাকতো ? এক কাপ অখাদ্য গ্র্রুয়েল
দেওয়ার বদলে তাদের যদি স্বার্থপর
করে তোলা হতো ? অন্ন থাকতে
বাংলায় কেউ না খেয়ে মরতো না ,
তা সেই অন্ন হাজার মাইল দূরেই থাক
আর একত্রিশটা তালা লাগানো
গুদামেই থাক।
মৃত্যুঞ্জয় - ( রাগান্বিত স্বরে ) - তুই
পাগল নিখিল। বদ্ধ পাগল।
( এই বলে উঠে চলে গেল। আলো
নিভে গেল। )
Bengali Project Dramatisation
'' Ke Banchai Ke Banche''
বাংলা প্রকল্প - নাট্যরূপ -
কে বাঁচায় কে বাঁচে
নাট্যরূপ কে বাঁচায় কে বাঁচে
দৃশ্য - ৩
মঞ্চ পরিকল্পনা -
শহরের একটি ফুটপাথ। জনা
দশেক অন্নপ্রার্থী। সকলের হাতে
মগ। ২/৩ জন জনৈক অফিসযাত্রী
মঞ্চের এপার থেকে ওপার হচ্ছে।
অন্নপ্রার্থীরা সকলের কাছে খাবার
চাইছে।এরপর মৃত্যুঞ্জয় প্রবেশ করলো।
সে অবাক হয়ে অন্নপ্রার্থীদের দিকে
তাকিয়ে আছে। ধীরে ধীরে তাদের
কাছে এগিয়ে গেল।
দশেক অন্নপ্রার্থী। সকলের হাতে
মগ। ২/৩ জন জনৈক অফিসযাত্রী
মঞ্চের এপার থেকে ওপার হচ্ছে।
অন্নপ্রার্থীরা সকলের কাছে খাবার
চাইছে।এরপর মৃত্যুঞ্জয় প্রবেশ করলো।
সে অবাক হয়ে অন্নপ্রার্থীদের দিকে
তাকিয়ে আছে। ধীরে ধীরে তাদের
কাছে এগিয়ে গেল।
অন্নপ্রার্থী ১- খাবার দাও বাবা ,
গাঁ থেকে এইচি - খেতে পাইনে।
অন্নপ্রার্থী ২- ভাত , একটু ভাত দাও।
মৃত্যুঞ্জয় - তোমরা যে খেতে পাচ্ছো না ,
তোমাদের মনে কোনো নালিশ নেই ?
কোনো প্রতিবাদ নেই ?
তোমাদের মনে কোনো নালিশ নেই ?
কোনো প্রতিবাদ নেই ?
( অন্নপ্রার্থীরা মৃত্যুঞ্জয়ের দিকে অবাক
হয়ে তাকালো। ঠিক সেই সময় জনৈক
ব্যাক্তি মঞ্চে প্রবেশ করলো। মঞ্চের
এদিক থেকে ওদিক যেতে উদ্যত।
অন্নপ্রার্থীরা মৃত্যুঞ্জয়কে ছেড়ে দিয়ে সেই
জনৈক ব্যাক্তির দিকে এগিয়ে গেল। )
হয়ে তাকালো। ঠিক সেই সময় জনৈক
ব্যাক্তি মঞ্চে প্রবেশ করলো। মঞ্চের
এদিক থেকে ওদিক যেতে উদ্যত।
অন্নপ্রার্থীরা মৃত্যুঞ্জয়কে ছেড়ে দিয়ে সেই
জনৈক ব্যাক্তির দিকে এগিয়ে গেল। )
অন্নপ্রার্থী ১- খেতে দাও বাবা , গাঁ থেকে
এইচি - খেতে পাইনে।
এইচি - খেতে পাইনে।
অন্নপ্রার্থী ২- ভাত , একটু ভাত দাও।
( নিখিল অবাক হয়ে ওদের দিকে
তাকিয়ে থাকলো। আলো ধীরে ধীরে
নিভে এল। )
তাকিয়ে থাকলো। আলো ধীরে ধীরে
নিভে এল। )
দৃশ্য ৪-
মঞ্চ পরিকল্পনা - সাধারণ নিম্ন
মধ্যবিত্ত একটি ঘর। একটি অতি
সাধারণ চৌকিতে টুনুর মা
শয্যাসায়ী। ঘরে খুব সাধারণ নিম্ন
মানের আলো। আবহ থেকে নিখিলের
গলা শোনা গেল )
মধ্যবিত্ত একটি ঘর। একটি অতি
সাধারণ চৌকিতে টুনুর মা
শয্যাসায়ী। ঘরে খুব সাধারণ নিম্ন
মানের আলো। আবহ থেকে নিখিলের
গলা শোনা গেল )
নিখিল - আসবো বৌদি !
টুনুর মা - কে ? ও নিখিল ; এসো
এসো ভেতরে এসো।
এসো ভেতরে এসো।
( নিখিল ধীরে ধীরে ভেতরে এসে
চৌকির পাশে রাখা টুলটায় বসলো )
চৌকির পাশে রাখা টুলটায় বসলো )
নিখিল - আচ্ছা বৌদি মৃত্যুঞ্জয়ের কি
হয়েছে ! আগে তা'ও ২/৩ দিনে
একবার অফিসে আসতো ; কিন্তু
এখন তা'ও বন্ধ করে দিয়েছে। আমি
হয়েছে ! আগে তা'ও ২/৩ দিনে
একবার অফিসে আসতো ; কিন্তু
এখন তা'ও বন্ধ করে দিয়েছে। আমি
ওর ছুটির ব্যবস্থা করিয়ে দিতে পারবো ;
কিন্তু এভাবে আর কতদিন ?
কিন্তু এভাবে আর কতদিন ?
টুনুর মা - ওর কথা আর কি বলবো !
তুমি ওর দিকে একটু খেয়াল রেখো।
তুমি ওর দিকে একটু খেয়াল রেখো।
নিখিল - আমি তার খেয়াল রাখতে
পারি তবে একটা শর্তে , আপনি
যদি সুস্থ হয়ে উঠে ঘরের দিকে
তাকান , তাহলে যতক্ষণ পারি সঙ্গে
থাকবো , নইলে নয়।
পারি তবে একটা শর্তে , আপনি
যদি সুস্থ হয়ে উঠে ঘরের দিকে
তাকান , তাহলে যতক্ষণ পারি সঙ্গে
থাকবো , নইলে নয়।
টুনুর মা - কি যে বলো ! উঠতে পারলে
আমিই তো ওনার সঙ্গে ঘুরতাম
ঠাকুরপো !
আমিই তো ওনার সঙ্গে ঘুরতাম
ঠাকুরপো !
নিখিল -( অবাক হয়ে ) - কি বলছেন
বৌদি ;আপনিও মৃত্যুঞ্জয়ের সাথে ওই
অন্নপ্রার্থীদের মাঝে ঘুরতেন !
বৌদি ;আপনিও মৃত্যুঞ্জয়ের সাথে ওই
অন্নপ্রার্থীদের মাঝে ঘুরতেন !
টুনুর মা - নিশ্চই।ওঁর সঙ্গে থেকে
থেকে আমিও অনেকটা ওঁর মতো
হয়ে গেছি। উনি পাগল হয়ে যাচ্ছেন।
আমারও মনে হচ্ছে যেন পাগল হয়ে
যাবো। ছেলে মেয়েগুলির জন্য সত্যি
আমার ভাবনা হয় না। কেবলি মনে
পড়ে ফুটপাথের ঐ লোকগুলির কথা।
আমাকে উনি ২/৩ দিন সঙ্গে নিয়ে
গেছিলেন।
থেকে আমিও অনেকটা ওঁর মতো
হয়ে গেছি। উনি পাগল হয়ে যাচ্ছেন।
আমারও মনে হচ্ছে যেন পাগল হয়ে
যাবো। ছেলে মেয়েগুলির জন্য সত্যি
আমার ভাবনা হয় না। কেবলি মনে
পড়ে ফুটপাথের ঐ লোকগুলির কথা।
আমাকে উনি ২/৩ দিন সঙ্গে নিয়ে
গেছিলেন।
( কিছুক্ষন চুপ করে থেকে ) আচ্ছা ,
কিছুই কি করা যায় না ? এই
ভাবনাতেই ওঁর মাথাটা খারাপ হয়ে
যাচ্ছে। কেমন একটা ধারণা জন্মেছে
- যথাসর্বস্ব দান করলেও কিছুই
ভালো করতে পারবেন না। দারুন
একটা হতাশা জন্মেছে ওঁর মনে।
একেবারে মুষড়ে যাচ্ছেন দিন কে
দিন।
কিছুই কি করা যায় না ? এই
ভাবনাতেই ওঁর মাথাটা খারাপ হয়ে
যাচ্ছে। কেমন একটা ধারণা জন্মেছে
- যথাসর্বস্ব দান করলেও কিছুই
ভালো করতে পারবেন না। দারুন
একটা হতাশা জন্মেছে ওঁর মনে।
একেবারে মুষড়ে যাচ্ছেন দিন কে
দিন।
( নিখিল কিছু না বলে অবাক ও
চিন্তান্বিত ভঙ্গিতে তাকিয়ে থাকে।
আস্তে আস্তে আলো নিভে আসে। )
চিন্তান্বিত ভঙ্গিতে তাকিয়ে থাকে।
আস্তে আস্তে আলো নিভে আসে। )
Bengali Project Dramatisation
'' Ke Banchai Ke Banche''
বাংলা প্রকল্প - নাট্যরূপ -
কে বাঁচায় কে বাঁচে
নাট্যরূপ কে বাঁচায় কে বাঁচে
দৃশ্য -৫
তৃতীয় দৃশ্যের অনুরূপ।
এই দৃশ্যটি উপস্থাপনের সময়
খেয়াল রাখতে হবে মৃত্যুঞ্জয়
চরিত্রটির পরিণতি যাতে দর্শকদের
মনে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করা
যায়। শেষ দৃশ্যটিতে নিখিলের
কোনো উপস্থিতি পাঠ্যাংশে না
থাকলেও এই দৃশ্যে নিখিলকে
উপস্থিত করতে হবে নাটকীয়
পরিণতিটি সঠিকভাবে
উপস্থাপন করার জন্য। এছাড়াও
প্রয়োজন মৃত্যুঞ্জয় চরিত্রটির সঠিক
পরিণতি ঘটানোর। মৃত্যুঞ্জয়কে
অফিস বাবু থেকে ভিখারি
অন্নপ্রার্থীতে পরিণত করতে হবে।
হঠাৎ করে এই পরিবর্তন নিয়ে এলে
দর্শকদের চিনতে অসুবিধে হবে।
তাই আলো জ্বালানো ও অন্ধকার
করার মধ্যে দিয়ে চরিত্রটি তার
বর্তমান রূপ পাবে। প্রত্যেকবার
আলো জ্বালানো ও নেভানোর মধ্যে
দিয়ে মৃত্যুঞ্জয় সর্বশেষ রূপটিতে
উপস্থিত হবে। মনে রাখতে হবে
মৃত্যুঞ্জয়ের এই পরিণতির
উপস্থাপন যেন কৃত্রিম ভাবে না
উপস্থাপিত হয়। অত্যন্ত
স্বাভাবিকভাবে এই উপস্থাপন
ঘটাতে হবে। তাছাড়া অন্য
অন্নপ্রার্থীরা পুরো দৃশ্যটিতেই
''ভাত দাও , ভাত , ভাত দাও ''
বলে হা হুতাশ করবে। মৃত্যুঞ্জয়
একেবারে তার সর্বশেষ পরিণতিতে
ওই কথাগুলি বলবে। মৃত্যুঞ্জয়ের
সর্বশেষ পরিণতি লাভের পর
নিখিলের প্রবেশ।
নিখিল - ( কাউকে খোঁজার ভঙ্গিতে ) -
খেয়াল রাখতে হবে মৃত্যুঞ্জয়
চরিত্রটির পরিণতি যাতে দর্শকদের
মনে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করা
যায়। শেষ দৃশ্যটিতে নিখিলের
কোনো উপস্থিতি পাঠ্যাংশে না
থাকলেও এই দৃশ্যে নিখিলকে
উপস্থিত করতে হবে নাটকীয়
পরিণতিটি সঠিকভাবে
উপস্থাপন করার জন্য। এছাড়াও
প্রয়োজন মৃত্যুঞ্জয় চরিত্রটির সঠিক
পরিণতি ঘটানোর। মৃত্যুঞ্জয়কে
অফিস বাবু থেকে ভিখারি
অন্নপ্রার্থীতে পরিণত করতে হবে।
হঠাৎ করে এই পরিবর্তন নিয়ে এলে
দর্শকদের চিনতে অসুবিধে হবে।
তাই আলো জ্বালানো ও অন্ধকার
করার মধ্যে দিয়ে চরিত্রটি তার
বর্তমান রূপ পাবে। প্রত্যেকবার
আলো জ্বালানো ও নেভানোর মধ্যে
দিয়ে মৃত্যুঞ্জয় সর্বশেষ রূপটিতে
উপস্থিত হবে। মনে রাখতে হবে
মৃত্যুঞ্জয়ের এই পরিণতির
উপস্থাপন যেন কৃত্রিম ভাবে না
উপস্থাপিত হয়। অত্যন্ত
স্বাভাবিকভাবে এই উপস্থাপন
ঘটাতে হবে। তাছাড়া অন্য
অন্নপ্রার্থীরা পুরো দৃশ্যটিতেই
''ভাত দাও , ভাত , ভাত দাও ''
বলে হা হুতাশ করবে। মৃত্যুঞ্জয়
একেবারে তার সর্বশেষ পরিণতিতে
ওই কথাগুলি বলবে। মৃত্যুঞ্জয়ের
সর্বশেষ পরিণতি লাভের পর
নিখিলের প্রবেশ।
নিখিল - ( কাউকে খোঁজার ভঙ্গিতে ) -
মৃত্যুঞ্জয় , ও মৃত্যুঞ্জয় কোথায় তুমি
ভাই , মৃত্যুঞ্জয় .........
ভাই , মৃত্যুঞ্জয় .........
( এইভাবে অন্তত ১ মিনিট
দর্শকদের দিকে তাকিয়ে বা অন্য
কোনো দিকে তাকিয়ে মৃত্যুঞ্জয়কে
খুঁজবে - তারপর পিছনে থাকা
অন্নপ্রার্থীদের দিকে দেখে তাদের
দিকে এগিয়ে যাবে ) এই , এই তো
মৃত্যুঞ্জয় ( মৃত্যুঞ্জয় সামনে এগিয়ে
আসে ) এ কি অবস্থা হয়েছে
তোমার ! আমার কথা শোনো ,
বাড়ি চলো।
মৃত্যুঞ্জয় - ( যেন নিখিলকে
চিনতেই পারলো না ) - গাঁ থেকে
এইচি , খেতে পাইনে বাবা। আমায়
খেতে দাও। ( মৃত্যুঞ্জয় মগ হাতে
করে খাবার চাওয়ার ভঙ্গিতে
দাঁড়িয়ে থাকলো। নিখিল হতবাক
দর্শকদের দিকে তাকিয়ে বা অন্য
কোনো দিকে তাকিয়ে মৃত্যুঞ্জয়কে
খুঁজবে - তারপর পিছনে থাকা
অন্নপ্রার্থীদের দিকে দেখে তাদের
দিকে এগিয়ে যাবে ) এই , এই তো
মৃত্যুঞ্জয় ( মৃত্যুঞ্জয় সামনে এগিয়ে
আসে ) এ কি অবস্থা হয়েছে
তোমার ! আমার কথা শোনো ,
বাড়ি চলো।
মৃত্যুঞ্জয় - ( যেন নিখিলকে
চিনতেই পারলো না ) - গাঁ থেকে
এইচি , খেতে পাইনে বাবা। আমায়
খেতে দাও। ( মৃত্যুঞ্জয় মগ হাতে
করে খাবার চাওয়ার ভঙ্গিতে
দাঁড়িয়ে থাকলো। নিখিল হতবাক
ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকলো। মঞ্চের
সমস্ত আলো নিভে গিয়ে শুধু একটি
আলো বা ফোকাস নিখিল ও
মৃত্যুঞ্জয়ের উপর নিবদ্ধ থাকলো।
পর্দা নেমে এল। )
সমস্ত আলো নিভে গিয়ে শুধু একটি
আলো বা ফোকাস নিখিল ও
মৃত্যুঞ্জয়ের উপর নিবদ্ধ থাকলো।
পর্দা নেমে এল। )
7 comments
THANKU
ReplyDeleteদেনা পাওনা গল্পের নাট্যরুপ
ReplyDeleteঋতিক ঘটকের নাট্যকারের ভূমিকা উদ্দেশ্য চাই ক্লাস দ্বাদশ শ্রেণীর
ReplyDeleteThank you
ReplyDeleteMany many thaks
ReplyDeleteThanks👍🏻
ReplyDeleteThanku so much eta amar khub help hoyache
ReplyDelete