সমাজতত্ত্ব প্রকল্প : জাদুবিদ্যা Sociology project : Black Magic
সমাজতত্ত্ব প্রকল্প : জাদুবিদ্যা - Black Magic এবং White Magic
সমাজতত্ত্ব প্রকল্প : কালাজাদু।
উচ্চমাধ্যমিক প্রকল্প : জাদুবিদ্যা ও কালাজাদু।
উচ্চমাধ্যমিক প্রকল্প : জাদুবিদ্যা ও কালাজাদু।
ভূমিকা :-
জাদুবিদ্যার প্রকৃত স্বরূপ তুলে ধরতে হলে তার ইতিহাস এবং বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত - উভয় সম্পর্কেই আলোচনা করতে হবে। সভ্যতার বিবর্তনের ধারায় জ্ঞান - বিজ্ঞান চর্চা , শিক্ষার বিস্তার , সমাজ সংস্কার - ইত্যাদি থেকে বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া বা উন্নয়নশীল দেশগুলিতে দ্বারা সাধারণতঃ জাদুবিদ্যার প্রকোপ বহুল পরিমাণে দেখা যায়। যেমন আফ্রিকা , কেনিয়া , উগান্ডা - ইত্যাদি অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থানগুলিতে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে জাদুবিদ্যার ব্যাপক প্রচলন দেখা যায়। আবার ভারতের ক্ষেত্রে প্রাচীন ভারত জ্ঞান - বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিক চর্চায় অতি উন্নত হলেও তার এক বিরাট অংশ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল। সেই সকল স্থানে জাদুবিদ্যা যথেষ্ট জনপ্রিয়তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা লাভ করেছে। আধুনিক যুগে শিক্ষার বিস্তার ঘটেছে , মানুষ সচেতন হয়েছে ; কিন্তু তা স্বত্তেও জাদুবিদ্যার অস্তিত্বকে সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলাআলোচনা সম্ভব হয়নি। আজও আসামের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকা , পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা তথা ভারতের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে জাদুবিদ্যার চর্চা সমানে প্রচলিত। মানুষ আজও বশীকরণ , বিভিন্ন রোগের প্রতিকার , শত্রুর ক্ষতিসাধন , ইচ্ছাপূরণ - ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাদুবিদ্যার প্রয়োগ করে থাকে। প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা করা। এতে তারা নিজেরা লাভবান না হলেও লাভবান হয় একশ্রেণীর ভন্ড তান্ত্রিক , কাপালিক - শ্রেণীর মানুষ।
বর্তমান প্রতিবেদনমূলক প্রকল্পটিতে জাদুবিদ্যার ইতিহাস , তার বিবর্তন ও বর্তমান স্বরূপ - ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করার সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান সমাজে মানুষ কীভাবে জাদুবিদ্যার দ্বারা প্রভাবিত ও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে - সে বিষয়ের উপরেও আলোকপাত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য :-
যেসকল উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রকল্পটি রচনা করা হয়েছে - সেগুলি হল -
(i) জাদুবিদ্যার উৎপত্তির ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা।
(ii) বিভিন্ন দেশে জাদুবিদ্যার বিবর্তন সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা।
(iii) জাদুবিদ্যার উৎপত্তি ও আজও তা সমাজে টিকে থাকার জন্য দায়ী কারণগুলোকে অনুসন্ধান করা।
(iv) বর্তমান সমাজে জাদুবিদ্যার প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা।
(v) সামাজিক অগ্রগতি ও সভ্যতার এগিয়ে যাওয়ার পরিপন্থী জাদুবিদ্যার প্রসারকে রোধ করতে বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা আলোচনা করা।
(vi) জাদুবিদ্যার স্বরূপ ও বিভিন্ন প্রকারভেদগুলি তুলে ধরা।
(vii) সর্বোপরি , জাদুবিদ্যার মত একটি সংবেদনশীল বিষয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের মনোভাব যাঁচাই করা।
প্রকল্পের গুরুত্ব :-
যেসকল কারণের জন্য প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতে পারে - সেগুলি হল -
(i) প্রকল্পটির মাধ্যমে জাদুবিদ্যার উৎপত্তির ইতিহাস ও তার বিবর্তনের ধারা সম্পর্কে জানা যাবে।
(ii) জাদুবিদ্যার উৎপত্তি ও জনপ্রিয়তার জন্য দায়ী উপাদানগুলি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন সম্ভব।
(iii) প্রকল্পটির মাধ্যমে বর্তমান সমাজে জাদুবিদ্যার প্রভাব সম্পর্কে জানা যাবে।
(iv) প্রকল্পটিতে জাদুবিদ্যার স্বরূপ ও প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
(v) প্রকল্পটির মাধ্যমে সহজেই জাদুবিদ্যা সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কৌতূহল সম্পর্কে জানা যাবে।
তথ্য সংগ্রহ : -
[ অরুনাংশু প্রধানের টেক্সট বই থেকে চতুর্থ অধ্যায়ের টপিক নং ১১.১ সম্পূর্ণ লিখতে হবে। ]
তথ্য বিশ্লেষণ :-
উপরোক্ত সংগৃহীত তথ্যগুলিকে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে বলা যেতে পারে যে -
(i) আদিম মানব জাতির কাছে জাদু ছিল ধর্মীয় বিশ্বাসের অঙ্গ। প্রাকৃতিক বা অপ্রাকৃতিক ঘটনাবলীকে অলৌকিক উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করার নামই হল Magic বা যাদুবিদ্যা। অর্থহানি, স্বাস্থ্যহানি, শাস্তিভোগ, বিচ্ছেদ-বিড়ম্বনা প্রভৃতি অমঙ্গলের জন্য দায়ী করা হত অপদেবতা, শয়তান, ভুত-প্রেত ইত্যাদিকে। এদের প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ যাদুবিদ্যার আশ্রয় নিত।
(ii) Magic দুই প্রকার- White magic ও Black magic । কারোর মঙ্গলের জন্য যাদুবিদ্যার আশ্রয় নেয়া হলে তাকে White magic বা সাদা জাদু বলা হত। বশীকরণ প্রভৃতি ক্ষতিকারক কাজের উদ্দেশ্যে যে জাদু করা হতো তাকে কালা জাদু বা Black magic বলা হত।
(iii) জাদুবিদ্যার অংশ তিনটি- মন্ত্র, মন্ত্রপূতঃ বস্তু ও মন্ত্রাচার। মন্ত্রপূত বস্তু হিসেবে যার ওপর জাদু করা হবে তার চুল, নখ, গায়ের ময়লা, বিভিন্ন জীবজন্তুর দেহাংশ , গাছ গাছড়া ও বিভিন্ন বস্তুর প্রয়োজন হয়। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায় ও উপকরণ ব্যবহার করে যাদুবিদরা মানুষের সমস্যা সমাধান করতেন। কালা জাদু চর্চায় অপরিহার্য ছিল শিং; কারণ শিংকে শয়তানের প্রতীক মনে করা হত। জাদুবিদ্যা যারা করতেন তাদের বলা হত ম্যাজি এবং ভারতের ক্ষেত্রে তান্ত্রিক , কাপালিক - ইত্যাদি।
(iv) যাদুবিদ্যা চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ছিল গ্রীক ও রোমানদের অবদান। গ্রিক জাদু বিদ্যার দেবী ছিলেন হেকেটি। গ্রীকরা যাদুবিদ্যার জন্য সৃষ্টি করেছিল বিশেষ বর্ণমালা। ইহুদিদের মধ্যে যাদুবিদ্যার ব্যাপক প্রচলন ছিল। কিং সলোমন এমনই একজন বিখ্যাত জাদুবিদ । যোহান রোজা সে যুগের বিখ্যাত জাদুকর ছিলেন। তার একটি আংটি ছিল, যাতে তিনি প্রেতাত্মাকে আটকে রেখেছিলেন বলে মনে করা হতো। তার মৃত্যুর পর তার আংটিটি হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
(v) ভুডু' ছিল এক ধরনের কালা জাদু। 'ভুডু' কথার অর্থ আত্মা। এই যাদুবিদ্যায় কবরের মৃতদেহ জ্যান্ত করে গোলামের মতো খাটানো যায়। ভুডুবিদ্যা চর্চার উৎপত্তি হাইতিতে এবং এর ব্যাপক প্রচলন আছে আফ্রিকাতে।
(vi) অসমের মায়ং গ্রামের বাসিন্দারা যুগের পর যুগ ধরে তন্ত্র-মন্ত্র, কালা জাদু, ঝাড়ফুঁক নিয়েই বেঁচে আছেন। আজকের আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগেও মায়ং গ্রামের মানুষগুলো এখনও অলৌকিকতা এবং কুসংস্কারের দুনিয়ায় বাস করেন। তাঁদের কাছে অবশ্য সে সবই সংস্কার। রহস্যময় এই গ্রামকে ঘিরে বিশ্ববাসীর আগ্রহের শেষ নেই। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক মায়ং গ্রামের কালো জাদুর আকর্ষণে হাজির হন সেখানে। কালো জাদুর ভূমি মায়ং অসমের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
(vii) ইংরেজি ‘ম্যাজিক’ শব্দের উদ্ভব হয়েছে ফার্সি শব্দ মাজি থেকে। মাজিরা যেসব ক্রিয়া-কর্ম পালন করত, গ্রিকরা সেসব ম্যাজিক বলে অভিহিত করতেন ; আর ম্যাজিকের সঙ্গে আত্মা বা ভূতের বিষয়টি চলে আসে অনিবার্যভাবে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, ভূত হলো এমন এক জিনিস, যা মৃত ব্যক্তির আত্মা। আর তা জীবিত ব্যক্তির সামনে দৃশ্য আকার ধারণ বা অন্য কোনো উপায়ে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম। ভৌতিক অভিজ্ঞতায় ভূতকে নানাভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।কখনো অদৃশ্য বা অস্বচ্ছ বায়বীয় আবার কখনোবা বাস্তবসম্মত স্বপ্রাণ মানুষ বা জীবের আকারে। এসব ভূত বা প্রেতাত্মার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে ভবিষ্যদ্বাণী বা কোনো কাজ করার বিদ্যাকে ব্ল্যাক ম্যাজিক , নেক্রোম্যান্সি বা কালো জাদু বলে।
(viii) তবে এই যাদু আবার অনেক সময় মানুষে উপকার বা ভালর জন্যেও ব্যাবহার করা হয়। যেমন ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে একটা এমন একটা যাদু বিধান আছে - কোন নারীর সন্তান হচ্ছে না, তখন একটা কাঠের ছোট শিশু বানিয়ে নি:সন্তান রমনীটি কোলে বসিয়ে আদর করে। এর ফলে তার সন্তান হবে এমন ভাবা হয়। কখনো কখনো রোগের চিৎকসার জন্যও এই ধরণের যাদুর প্রয়োগ দেখা যায়। যেমন প্রাচীন হিন্দু সমাজে জন্ডিস (পান্ডুর) রোগের চিকিৎসার জন্য মন্ত্র পাঠ করে রোগীর চোখের হলুদ অংশ সূর্যের কাছে পাঠানো হত - ইত্যাদি।
(ix) সৃজনধর্মী যাদু বা হোয়াইট ম্যাজিক: ফসলের ভাল উৎপাদন, বৃষ্টি আনা, গাছে ভাল ফল হওয়া, প্রেম বিয়ে হবার ইত্যাদির উদ্দেশ্য ব্যবহৃত যাদু। এটাকে বলা হয় হোয়াইট ম্যাজিক। এটি বিদপ আপদ এড়ানো, রোগব্যাধির দূর করা আর কালো যাদুর প্রভাব এড়াবার কাজে ব্যবহার করা হয়।
(x) ব্ল্যাক ম্যাজিকের চর্চা হয়ে আসছে বহুকাল আগে থেকেই। কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা সভ্যতার লোক নয় ইতিহাস বলে বিভিন্ন সভ্যতায় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষের একটি অংশ কালো জাদুর চর্চা করে আসছে। কালো জাদু তাই কোনো দেশ কাল পাত্রে সীমাবদ্ধ নয়। ইহুদিরা মিসরে বন্দী অবস্থায় অবস্থানের সময়েই মিসরীয় জাদুবিদ্যার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। অবশ্য তাদের নিজেদেরও আলাদা বৈশিষ্ট্যময় জাদু বিশ্বাস ছিল। ইহুদি জাদুকরেরা বাষ্পস্নানের মাধ্যমে বলি আর উপহার দিয়ে অতিপ্রাকৃত শক্তিকে বশ করার চেষ্টা করত। এদের জাদু চর্চায় স্থূল যৌনাচার হতো। এ ছাড়া অল্পবয়স্ক বালকদের ব্যবহার করত অতীন্দ্রিয় শক্তির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে। কালো জাদুর ইতিহাস বলে, ব্ল্যাক ম্যাজিকে বিশেষ দক্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন কিং সলোমন। তার ‘দ্য কি অব সলোমানদ’ বইটি পরবর্তীকালে জাদুবিদ্যার সর্বশ্রেষ্ঠ বই হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
(xi) ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলোতেও জাদুবিদ্যা আর ধর্মের একটা জটিল সংমিশ্রণ দেখা যায়। এখনকার সমাজেও এমন অনেক বৈদিক জাদুবিদ্যাগত প্রক্রিয়া এখনো চালু আছে। হরপ্পা মহেঞ্জোদারতে উত্খননে প্রাপ্ত রিং স্টোনগুলো জাদুবিদ্যায় ব্যবহার করা হতো বলে জন মার্শাল ধারণা করেন। এ ছাড়া জাপানের প্রাচীন শিন্টো ধর্মের মধ্যে জাদুবিদ্যা চর্চার কথা জানা যায়। জাপানিরা বিশ্বাস করে, চালের মধ্যে ব্ল্যাক ম্যাজিক প্রতিহত করার বিশেষ শক্তি আছে। এ ছাড়া রাস্তার সঙ্গমস্থলও তাদের কাছে বিশেষভাবে পবিত্র। এসব স্থানে তারা এখনো জননেন্দ্রিয়র প্রতীক চিহ্ন স্থাপন করে, বিশ্বাস করে এই প্রতীক অশুভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে রাখবে! জাপানিদের মতো চীনাদেরও ভূতপ্রেত সম্পর্কে বেশ ভালোই ভয়ভীতি ছিল। মজার ব্যাপার হলো, চীনের ঘরবাড়ি ও পুল নির্মাণে একটা বিশেষ দেবতা চীনাদের প্রভাবিত করেছে। এই দেবতার নাম হলো শা। শা হলো একটা অপদেবতা। আর চীনারা বিশ্বাস করে এই অপদেবতা সব সময়ে সোজা রেখা বরাবর চলে। তাই এটাকে প্রতিহত ছাদে আঁকা হতো বক্রতা আর কোণ! গ্রিকদের জাদুবিদ্যার জন্য বিশেষ বর্ণমালার সৃষ্টি করেছিল। এগুলো লেখা হতো পবিত্র কালি দিয়ে। আর লেখার সময় বার বার পাঠ করা হতো।
(xii) তবে সমাজে জাদুবিদ্যার ইতিবাচক দিকের তুলনায় নেতিবাচক প্রভাবই বেশি চোখে পড়ে। আজও বিভিন্ন রোগের প্রতিকারের আশায় , চাকুরী - ব্যবসা - ইত্যাদির ক্ষেত্রে জাদুবিদ্যার আশ্রয় নেওয়া হয় - যা মানুষকে অর্থনৈতিক ও মানসিক দিক দিয়ে বিপর্যস্ত করে তোলে।
উপসংহার :-
পরিশেষে বলা যায় , সমাজে জাদুবিদ্যার উপস্থিতি কোনোভাবেই প্রগতিশীল সমাজের নিকট অভিপ্রেত নয়। তাই জাদুবিদ্যার কুপ্রভাব থেকে সমাজকে রক্ষা করতে গেলে এগিয়ে আসতে হবে সকল স্তরের শিক্ষার্থী সমাজকে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়গুলিকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। কেননা , শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তোলার অন্যতম দায়িত্ব বিদ্যালয়ের। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর যুগে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে ও সচেতনতার বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে সমাজ থেকে জাদুবিদ্যাকে উৎখাত করা সম্ভব হবে।
প্রকল্পের সীমাবদ্ধতা :-
প্রকল্পটি রূপায়নকালে এবং রূপায়িত হওয়ার পর যেসকল ত্রুটি - বিচ্যুতি ও সীমাবদ্ধতা দৃষ্টিগোচর হয়েছে সেগুলি হল -
প্রথমতঃ - প্রকল্পের আলোচনায় জাদুবিদ্যার উৎপত্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হলেও তার বিবর্তনের ধারা সম্পর্কে আলোচনা অতি সংক্ষিপ্ত।
দ্বিতীয়তঃ - স্থানীয় অঞ্চলে জাদুবিদ্যার স্বরূপ ও প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়নি।
তৃতীয়তঃ - বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতির যুগেও মানুষ কেন আজও জাদুবিদ্যার মত পশ্চাদগামী বিষয়ের প্রতি আসক্ত ও অনুগত - সে সম্পর্কে মনোবৈজ্ঞানিক আলোচনা করা হয়নি।
চতুর্থতঃ - ধর্ম ও জাদুবিদ্যার সম্পর্ক বিষয়ে আলোচনা অতি সংক্ষিপ্ত।
পঞ্চমতঃ - বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা জাদুবিদ্যার প্রতি কতটা বিশ্বাসী সেবিষয়ে কোনো সমীক্ষা করা হয়নি।
গ্রন্থপঞ্জি :-
যেসকল গ্রন্থ প্রকল্পটি রচনার কাজে সহায়ক হয়েছে , সেগুলি হল -
১. উচ্চমাধ্যমিক সমাজতত্ত্ব - অরুনাংশু প্রধান। ( একাদশ শ্রেণী )
২. ভারতের সামাজিক সমস্যা - বাণী প্রকাশন।
৩. Helps to the study of WBCS Sociology - Oriental Publication.
List of Subjects -
[ Just CLICK on the subjects below to get all the projects / notes ]
0 comments