How a Client Was Saved - translation

by - December 07, 2021

H.S. Project 

Class 11 Bengali Project  

How a Client Was Saved ( Translation )  

Mohandas Karamchand Gandhi 




The reader, by now, will be quite familiar with Parsi Rustomji's name. He was one who became at once my client and co-worker, or perhaps it would be truer to say that he first became co-worker and then client. I won his confidence to such an extent that he sought and followed my advice also in private domestic matters. Even when he was ill, he would seek my aid, and though there was much difference between our ways of living, he did not hesitate to accept my quack treatment.



This friend once got into a very bad scrape. Though he kept me informed of most of his affairs, he had studiously kept back one thing. He was a large importer of goods from Bombay and Calcutta, and not infrequently he resorted to smuggling. But as he was on the best terms with the customs officials, no one was inclined to suspect him. In charging duty, they used to take his invoices on trust. Some might even have connived at the smuggling.

But to use the telling simile of the Gujarati poet, Akho, theft like quick-silver won't be suppressed, and Parsi Rustomji proved no exception. The good friend ran post-haste to me, the tears rolling down his cheeks as he said, 'Bhai, I have deceived you. My guilt has been discovered today. I have smuggled and I am doomed. I must go to jail and be ruined. You alone may be able to save me from this predicament. I have kept nothing else from you, but I thought I ought not to bother you with such tricks of the trade, and so I never told you about this smuggling. But now, how much I repent it!

I calmed him and said, “To save or not to save you is in His hands. As to me you know my way. I can but try to save you by means of confession.'

The good Parsi felt deeply mortified. 
‘But is not my confession before you enough?' he said.
You have wronged not me but the government. How will the confession made before me avail you?' I replied gently.
"Of course I will do just you advise, but will you not consult with my old counsel Mr-? He is a friend too,' said Parsi Rustomii.

Inquiry revealed that smuggling had been going on for a long time, but the actual offence detected involved a trifling sum . We sent to his counsel. He perused the papers, and said, “The case will be tried by a jury, and a Natal jury will be the last to acquit an Indian, But I will not give up hope.



I did not know this counsel intimately. Parsi Rustomji intercepted : 'I thank you, but I should like to be guided by Mr. Gandhi's advice in this case. He knows me intimately. Of course you will advise him whenever necessary.'
Having thus shelved the counsel's question, we went to Parsi Rustomji's shop.

And now explaining my view I said to him, 'I don't think this case should be taken to court at all. It rests with the Customes Officer to prosecute you or to let you go, and he in turn will have to be guided by the Attorney-General. I am prepared to meet both. I propose that you should offer to pay the penalty they fix, and the odds are that they will be aggreable. But if they are not, you must be prepared to go to jail. I am of opinion that the shame lies not so much in going to jail as in committing the offence. The deed of shame has already been done, Imprisonment you should regard as a penance. The real penance lies in resolving never to smuggle again.

I cannot say that Parsi Rustomji took all this quite well. He was a brave man, but his courage failed him for the moment.His name and fame were at stake, and where would he be if the edifice he had reared with such care and labour should go to pieces ? 

'Well I have told you,' he said, 'that I am entirely in your hands .You may do just as you like.'
I brought to bear on this case all my powers of persuasion. I met the Customs Officer and fearlessly apprised him of the whole affair. I also promised to place all the books at his disposal and told him how penitent-Parsi Rustomji was felling.

The Customs Officer said, 'I like the Old Parsi. I am sorry he has made a fool of himself. You know where my duty lies. I must be guided by the Attorney-General . And so I would advise you to use all your persuasion with him.'
I shall be thankful,” said I, if you do not insist on dragging him into court.' 
Having got him promise this, I entered into correspondence with the Attorney-General and also met him. I am glad to say that he appreciated my complete frankness and was convinced that I had kept back nothing. 

I now forget whether it was in connection with this or with some other case that my persistence and frankness extorted from him the remarks: 'I see you will never take a no for an answer.'
The case against Parsi Rustomji was settled by a compromise. He was to pay a penalty equal to twice the amount he had confessed to having smuggled . Rustomji reduced to writing the facts of the whole case, got the paper framed and hung it up in his office to serve as a perpetual reminder to his heirs and fellow merchants.
These friends of Rustomji warned me not to be taken in by this transitory contrition. When I told Rustomji about this warning he said: 'What would be my fate if I deceived you?

বঙ্গানুবাদ :- 


পার্সী রুস্তমজী – এই নামের সাথে পাঠকবর্গ এখন পরিচিত। তিনি শুধু একজন মক্কেলই ছিলেন না, আমার সহকর্মীও ছিলেন। মনে হয় এটা বলাই ঠিক যে তিনি প্রথমে আমার সহকর্মী ও পরে ছিলেন মক্কেল। আমি তার বিশ্বাস এত বেশী অর্জন করেছিলাম যে তিনি ব্যক্তিগত পারিবারিক ব্যাপারেও সাহায্য চাইতেন এবং তা অনুসরণ করতেন। এমনকি যখন তিনি অসুস্থ হতেন তখন তিনি আমার সাহায্য চাইতেন এবং যদিও আমাদের জীবন যাত্রার মধ্যে প্রচুর পার্থক্য ছিল, তবুও তিনি আমার হাতুড়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে দ্বিধা করতেন না।



একবার আমার এই বন্ধুটি খুব খারাপ ঝামেলায় পরলেন। যদিও তিনি তাঁর সব ব্যাপারই প্রায় আমাকে জানাতেন, তবুও একটি বিষয় তিনি ইচ্ছে করে আমার কাছে গােপন করেছিলেন। তিনি কোলকাতা ও বােম্বাই (বর্তমানে মুম্বাই) থেকে পণ্যদ্রব্যের বড় আমদানিকারক ছিলেন এবং হামেশাই শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে আমদানি-রপ্তানি করতেন। কিন্তু শুল্ক বিভাগের অফিসারদের সাথে যেহেতু তার খুব বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল, সেজন্য কেউ তাকে সন্দেহ করত না। আমদানি করা পণ্যদ্রব্যের উপর শুল্ক আদায় করার সময় তারা চালানগুলি বিনা প্রমাণে গ্রহণ করত। কেউ কেউ হয়ত তার চোরাকারবারের প্রতি চোখ বন্ধ করে থাকত।

কিন্তু গুজরাটী কবির আখাে-র সুন্দর উপমা ব্যবহার করে বলা যায়, পারদের মতাে জিনিস চুরি করে গােপন রাখা যায় না এবং পার্সী রুস্তমজী এর ব্যতিক্রম প্রমাণিত হলেন না। আমার বন্ধুটি ছুটে আমার কাছে এলেন, তার চিবুক বেয়ে চোখের জল গড়িয়ে পড়ছিলাে। তিনি আমাকে বললেন, “ভাই, আপনার সাথে আমি প্রতারণা করেছি। আজ আমার অপরাধ ধরা পড়েছে। আমি চোরাই চালান করেছি এবং আমার সর্বনাশ নিশ্চিত। আমাকে জেলে যেতেই হবে এবং আমি অধঃপতিত হয়েছি। আপনিই একমাত্র আমাকে এই কষ্টকর সম্মানহানির হাত থেকে বাঁচাতে পারেন। অন্য কোন কিছু আপনার কাছে আমি গােপন করিনি এবং ভেবেছিলাম ব্যবসার চাতুরীর ব্যাপারে আপনাকে বিরক্ত করা আমার উচিত নয় এবং সেই জন্য এই চোরা-কারবারের ব্যাপারে আপনাকে কখনও কিছু বলিনি। কিন্তু এখন আমার অনুশােচনার শেষ নাই ” ।
আমি তাকে শান্ত করে বললাম, ‘রক্ষা করা বা রক্ষা না করাটা হচ্ছে তাঁর (ভগবানের) হাতে। আপনি আমার আচরণ পদ্ধতি সম্বন্ধে জানেন। একমাত্র আপরাধ স্বীকারের মাধ্যমে আমি আপনাকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে পারি।” 
বন্ধু পার্সী মনে আঘাত পেলেন। তিনি বললেন, “কিন্তু আপনার কাছে আমার স্বীকারােক্তি কি যথেষ্ট নয়?”আমি শান্তভাবে বললাম, “আপনি সরকারের ক্ষতি করেছেন, আমার নয়। আমার কাছে দোষ স্বীকার করে আপনার কি হবে?”
“আপনি যা বলবেন আমি নিশ্চয়ই তাই করবাে, কিন্তু আপনি কি আমার পুরনাে উকিলের সাথে পরামর্শ করবেন না? তিনিও আমার বন্ধু, '' পার্সী রুস্তমজী বললেন। 
অনুসন্ধানের ফলে প্রকাশ পেল যে চোরাই চালান বহুদিন ধরে চলছে, কিন্তু যে অপরাধটি ধরা পরেছে তার সঙ্গে জড়িত অর্থের পরিমাণ খুবই সামান্য। আমরা উকিলের কাছে গেলাম। তিনি কাগজপত্র পড়লেন এবং বললেন, “এই মামলার বিচার করবেন একজন জুরি এবং নাটাল প্রদেশের জুরি একজন ভারতীয়কে কখনােই বেকসুর খালাস দেবেন না; যদিও আমি আশা ছাড়ছি না।”
আমি এই উকিলকে ঘনিষ্ঠভাবে জানতাম না। কিন্তু পার্সী রুস্তমজী মাঝপথে বাধা দিয়ে বললেন, “আপনাকে ধন্যবাদ, কিন্তু এই মামলায় আমি গান্ধীর নির্দেশ মত চলতে চাই। তিনি আমাকে ভালভাবে জানেন। অবশ্য তার প্রয়ােজনে আপনি তাকে উপদেশ দিতে পারেন। '' এভাবে উকিলের পরামর্শকে এড়িয়ে আমরা পার্সী রুস্তমজীর দোকানে গেলাম।




এবার আমি আমার মতামত জানিয়ে তাকে বললাম, “আমি মনে করিনা বিষয়টি আদালতে যাক। আপনাকে অভিযুক্ত করা বা ছেড়ে দেওয়া শুল্ক বিভাগের অফিসারের ওপর নির্ভর করছে এবং তাকে এটর্নি জেনারেলের দ্বারা চালিত হতে হবে। আমি দুজনের
সঙ্গেই দেখা করতে রাজি আছি। আমার প্রস্তাব হচ্ছে তারা যে জরিমানা ধার্য করবেন তা আপনার দিয়ে দেওয়া উচিত এবং সম্ভবত: তারা সম্মত হয়ে যাবেন। যদি তারা সম্মত না হন তাহলে আপনাকে জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতেই হবে। আমার মতে জেলে যাওয়ার চেয়ে অপরাধ করাটা বেশী লজ্জার, আর লজ্জার কাজটা আগেই করা হয়ে গিয়েছে। কারাবাসকে আপনার প্রায়শ্চিত্ত হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বেআইনিভাবে পণ্যদ্রব্য আমদানি না করার সংকল্পের মধ্যেই প্রকৃত প্রায়শ্চিত্ত নিহিত।''

আমি বলতে পারিনা যে আমার পরামর্শ পার্সী রুস্তমজী ভালভাবে নিয়েছিলেন। তিনি সাহসী লােক ছিলেন, কিন্তু মুহূর্তের জন্য তিনি সাহস হারিয়ে ফেললেন। তার নাম-যশ বিপন্ন। এত যত্ন করে, এত পরিশ্রম করে তিনি ব্যবসার যে ইমারত তৈরী করেছেন তা নষ্ট হয়ে গেলে তিনি কোথায় দাঁড়াবেন। 

তিনি বললেন, “আমি তাে আপনাকে বলেছি যে আমি আমাকে সম্পূর্ণভাবে আপনার হাতে ছেড়ে দিয়েছি। আপনি যা পছন্দ করবেন তাই করুন। '' এবারে আমি আমার সমস্ত ক্ষমতা কার্যকরী করার জন্য কাজ শুরু করলাম। আমি শুল্ক বিভাগের অফিসারের সাথে দেখা করলাম এবং তাকে সমস্ত বিষয়টি নির্ভয়ে জানালাম। তাঁর  কাছে হিসাবের সব খাতা পেশ করব বলে কথা দিলাম এবং তার সাথে রুস্তমজী কীরকম অনুশােচনায় ভুগছেন তাও বললাম।

শুল্ক অফিসারটি বললেন, “আমি পার্সীকে পছন্দ করি কিন্তু তিনি যে নির্বোধের মত কাজ করেছেন তার জন্য আমি দুঃখিত। আপনি জানেন আমার অসুবিধা কোথায়। আমাকে এটর্নি জেনারেলের নির্দেশ অনুযায়ী চলতে হবে। তাই আপনি যুক্তি পরামর্শ দিয়ে এটর্নি জেনারেলকে রাজি করান।” 
আমি বললাম, “আপনি যদি তাকে আদালতে টেনে আনার জন্য জেদ না করেন তাহলে আমি কৃতজ্ঞ হব।”
তাঁকে দিয়ে এটা রাজি করিয়ে নিয়ে আমি এটর্নি জেনারেলের সাথে চিঠির আদানপ্রদান শুরু করলাম এবং তার সাথে দেখাও করলাম। আমার আনন্দ হচ্ছে জানাতে যে তিনি আমার স্পষ্টবাদিতার প্রশংসা করলেন এবং তিনি নিশ্চিত হলেন যে আমি কোন কিছুই গােপন করিনি।
আমি এখন ভুলে গিয়েছি এই মামলা না অন্য কোন মামলার প্রসঙ্গে আমার স্থির কর্মপদ্ধতি এবং স্পষ্টবাদিতার জন্য তিনি মন্তব্য করেছিলেন, “আমি দেখছি আপনি কখনও 'না’ জবাব শুনবেন না।”

রুস্তমজীর বিরুদ্ধে মামলাটি আপসে মেটানাে হল। তিনি যত অর্থমূল্যের জিনিস চোরাইচালান করেছিলেন তার দ্বিগুণ জরিমানা দিলেন। রুস্তমজী সমস্ত মামলার বিবরণ একটি কাগজে লিখলেন এবং ফ্রেমে বাঁধিয়ে তার অফিসে টাঙিয়ে দিলেন যাতে উত্তরাধিকারীগণ এবং সঙ্গী ব্যবসায়ীরা এরূপ বিষয়ে সচেতন থেকে ভবিষ্যতে কাজ করেন।

রুস্তমজীর বন্ধুরা আমাকে সাবধান করে দিয়েছিলেন যে আমি যেন তার এই সাময়িক অনুশােচনার দ্বারা প্রতারিত না হই। যখন আমি রুস্তমজীকে একথা জানালাম তখন তিনি বলেছিলেন, “যদি আমি আপনাকে প্রতারিত করতাম তাহলে আজ আমার পরিণতি কী হতাে?”


You May Also Like

0 comments