H.S. Sociology Project ব্যক্তিত্ব গঠনে কার ভূমিকা বেশি ? বংশগতি না পরিবেশ : -

by - March 22, 2022

H.S. Sociology Project 


ব্যক্তিত্ব গঠনে কার ভূমিকা বেশি ? বংশগতি না পরিবেশ  : - 




ভূমিকা :- 

জন্মের সময় মানুষ একটি জৈবিক প্রাণী হিসেবে তার জীবনের সূচনা করে। কিন্তু ধীরে ধীরে সামাজিকীকরণের মাধ্যমে সে জৈবিক প্রাণী থেকে সামাজিক প্রাণীতে পরিণত হয়। জীবনের প্রতিটি স্তরে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব ভিন্ন ভিন্ন উপাদানের দ্বারা প্রভাবিত হয়। ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ম্যাকাইভার বলেছেন - ব্যক্তিত্ব হল একজন ব্যক্তি যা - তার সবকিছুই। কিংসলে ডেভিস বলেছেন - ব্যক্তিত্ব মানসিক বিষয় বা জৈবিক বিষয় কোনোটিই নয় - কিন্তু এই দুটির থেকেই সৃষ্ট। ব্যক্তিত্ব গঠনের উপাদানালীকে প্রধানতঃ দুটি ভাগে ভাগ করা হয় - বংশগতি ও পরিবেশ। 

বর্তমান প্রতিবেদনমূলক প্রকল্পটিতে ব্যক্তিত্ব গঠনে বংশগতি ও পরিবেশের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের তুলনামূলক দিকটিও তুলে ধরা হয়েছে। 



যে সকল উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রকল্পটি রচনা করা হয়েছে সেগুলি হল - 

১. সমাজতত্ত্বের একটি আলোচনার বিষয় হিসেবে ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা। 

২. ব্যক্তিত্ব গঠনের উপাদানগুলি সম্পর্কে সাধারণ পরিচিতিলাভ। 

৩. ব্যক্তিত্ব গঠনের ক্ষেত্রে পরিবেশের ভূমিকা আলোচনা করা। 

৪. ব্যক্তিত্ব গঠনে বংশগতির ভূমিকা আলোচনা করা। 

৫. ব্যক্তিত্ব গঠনে পরিবেশ ও বংশগতির ভূমিকার তুলনামূলক আলোচনা। 

৬. ব্যক্তিত্ব গঠনে পরিবেশ বা বংশগতির মধ্যে কার গুরুত্ব বেশি - বিষয়টি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কৌতুহলী করে তোলা। 

প্রকল্পটির গুরুত্ব :- 

যে সকল কারণে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতে পারে , সেগুলি হল - 

১. প্রকল্পটির মাধ্যমে খুব সহজেই ব্যক্তিত্ব গঠনের উপাদানগুলি সম্পর্কে সাধারণ ধারণা অর্জন করা সম্ভব। 

২. ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গঠনের উপাদানগুলোকে প্রধান দুটি ভাগে ভাগ করা হয় - পরিবেশ ও বংশগতি। প্রকল্পটির মাধ্যমে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গঠনের ক্ষেত্রে পরিবেশ ও বংশগতির ভূমিকা সম্পর্কে জানা সম্ভব। 

৩. ব্যক্তিত্ব গঠনে পরিবেশ ও বংশগতির মধ্যে কার ভূমিকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ - তা একটি বহুল চর্চিত ও বিতর্কিত বিষয়। মনস্তাত্ত্বিক ও সমাজতত্ববিদরা ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করেছেন। এই প্রকল্পটি রূপায়ণ ও পাঠের মাধ্যমে প্রকল্প রূপায়ক বা পাঠক খুব সহজেই সেই তুলনামূলক ব্যাখ্যা সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। 

৪. প্রকল্পের প্রতিবেদনে উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে সমাজতত্ববিদ , শিক্ষাবিদ ও মনোস্তত্ববিদরা যে সকল গবেষণা করেছেন - সেগুলির উল্লেখ রয়েছে। ফলে প্রকল্পটি সমৃদ্ধ হয়েছে। 

৫. সর্বোপরি , প্রকল্পটি রূপায়ণের ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে কৌতূহল বৃদ্ধি পাবে। 



তথ্য সংগ্রহ / পরীক্ষামূলক উপাদান :- 

ব্যক্তিত্ব গঠনে পরিবেশের ভূমিকা :- 


ব্যক্তিত্ব গঠনের ক্ষেত্রে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান ব্যক্তির ব্যক্তিত্বকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। যেমন - 

(i) উষ্ণতা ও জলবায়ুর প্রভাব :- ব্যক্তিত্ব গঠনের ক্ষেত্রে উষ্ণতা ও জলবায়ু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত উষ্ণ - আর্দ্র ভৌগোলিক পরিবেশে বসবাসকারী মানুষেরা প্রচন্ড উত্তাপ ও আর্দ্রতার জন্য ব্যক্তি খুব সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এই ক্লান্তি থেকে জন্ম নেয় উৎসাহহীনতা ও উদ্যোগহীনতা। আবার অতিরিক্ত শীতল জলবায়ু মানুষের কর্মকান্ডের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রদান করে। ফলে নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু ব্যক্তির কর্মদক্ষতা ও উদ্যোগী মনোভাবের ক্ষেত্রে অধিক কার্যকরী। 

(ii) ভূমিরূপের প্রভাব :- সাধারণত দেখা যায় সমতল এলাকায় বসবাসকারী ব্যক্তিগণ অপেক্ষাকৃত বেশি শিক্ষিত হন এবং কৃষ্টি , ললিতকলা , জীবনযাত্রার মান - ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে তাদের অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়। আবার পার্বত্য , বন্ধুর এলাকায় বসবাসকারী ব্যক্তিরা অধিক ধর্মভীরু হয়ে থাকেন ; তাদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষার হার থাকে কম এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের চরিত্রের মধ্যে রক্ষনশীলতা লক্ষ্য করা যায়। আধুনিক জীবনযাত্রায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষদের তুলনায় সমতলের মানুষেরা অধিক সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। 

(iii) পারিবারিক রীতিনীতি ও আচার আচরণের প্রভাব :- প্রতিটি ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গঠনের ক্ষেত্রে তার পরিবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোনো পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠরা দিবানিশি কলহ - বিবাদে জড়িত থাকলে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব শিশুদের উপর পড়ে। পারিবারিক আচার আচরণ , শিক্ষা চর্চা , সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়গুলি ব্যক্তির ব্যক্তিত্বকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। 

(v) অধ্যাপক আলফ্রেড অ্যাডলার - এর অভিমত :- অধ্যাপক আলফ্রেড অ্যাডলার ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গঠনের ক্ষেত্রে পরিবেশের ভূমিকা আলোচনা প্রসঙ্গে বলেছেন - পরিবারের প্রতিটি সদস্যের পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন , পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান অন্য সন্তানদের তুলনায় অধিক যত্ন ও গুরুত্ব পেয়ে থাকে।             

(vi)  অগবার্ন ও নিমকফের অভিমত :- সামাজিক পরিবেশের তারতম্যের কারণে ব্যক্তিবর্গের ব্যক্তিত্বের মধ্যে তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে রাশিয়ার মানুষ অনেক বেশি সামাজিক সম্পর্ককে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। পক্ষান্তরে আমেরিকানরা তাদের জলবায়ুগত কারণে অনেক বেশি আত্মনিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকেন। 

(vii) বন্ধু গোষ্ঠীর প্রভাব :- বন্ধু গোষ্ঠী প্রতিটি ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যথার্থ বন্ধুগোষ্ঠী ব্যক্তিকে সৎ , আত্মবিশ্বাসী ও চরিত্রবান করে তোলে। অন্যদিকে , বন্ধুগোষ্ঠীর নেতিবাচক প্রভাবে একজন ব্যক্তির মধ্যে অপরাধ প্রবণতা , দুষ্ক্রিয়তা - ইত্যাদি তৈরী হয়। কর্মক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ ও সহকর্মীদের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ ব্যক্তিকে তৃপ্ত করে তোলে। আর তা যদি না হয় , তাহলে ব্যক্তি অসন্তোষ ও হীনমন্যতায় ভুগতে থাকে।



ব্যক্তিত্ব গঠনে বংশগতির ভূমিকা :- 


প্রতিটি ব্যক্তিই জন্মগত সূত্রে ও উত্তরাধিকারসূত্রে তার পরিবার ও মাতা - পিতার কাছ থেকে বিশেষ বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট অর্জন করে থাকে। মানুষের দেহের প্রতিটি কোষের নিউক্লিয়াসে যে ক্রোমোজম থাকে - সেই জিন গুলিই শিশুর দৈহিক ও মানসিক প্রকৃতি নির্ধারণ করে। ফলে ব্যক্তি তার আচরণগত ও মানসিক বিভিন্ন বৈশিষ্ট তার বংশগতির সূত্রে পেয়ে থাকে। তাই ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব নির্ধারণে বংশগতির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। 

গলটন তাঁর Hereditary Genius গ্রন্থে অভিমত ব্যক্ত করেছেন , প্রতিটি শিশু তার মাতা , পিতা এমনকী পিতৃকুল , মাতৃকুল - সকলের কাছ থেকেই উত্তরাধিকার সূত্রে দৈহিক ও মানসিক বৈশিষ্টসমূহ প্রাপ্ত করে থাকে। 

কার্ল পিয়ারসন অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে , বংশগতির প্রভাব ব্যক্তির জীবনে পরিবেশের চেয়ে অনেক বেশি। একই এলাকায় বসবাসকারী একই বর্ণের মানুষদের মধ্যে বংশগতির প্রভাব পরিবেশের প্রভাবের সাতগুণ বেশি। 

ডাগডেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিউক পরিবারের ওপর ব্যক্তিত্ব ও বংশগতির সম্পর্কের ওপর একটি গবেষণা করেছিলেন। তাতে দেখা যায় , ১২০০ জন উত্তরপুরুষের মধ্যে ৪৪০ জন দৈহিক প্রতিবন্ধী , ৩১০ জন দেউলিয়া , ১৩০ জন বিভিন্ন অপরাধের জন্য অভিযুক্ত , ৭ জন খুনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। 

আবার , উইনশিপ '' জোনাথন এডওয়ার্ডস '' পরিবারের ওপর ব্যক্তিত্বের ওপর বংশগতির প্রভাব সম্পর্কিত একটি গবেষণা করেছিলেন। তাতে দেখা গেছে , এডওয়ার্ডস পরিবারের ১৩৯১ জন উত্তরপুরুষের মধ্যে ২৯৫ জন স্নাতক , এদের মধ্যে ১৩ জন কলেজের অধ্যক্ষ ও একজন আমেরিকার উপরাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। 

সুতরাং এইভাবে দেখা যাচ্ছে , ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গঠনে বংশগতি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। যদিও আধুনিক কালে বিভিন্ন উপাদান ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গঠনে অতিমাত্রায় সক্রিয় ; তা স্বত্তেও বংশগতির ভূমিকাকে কোনোমতেই অস্বীকার করা যায়না। 



প্রকল্পের বর্ণনা : তথ্য বিশ্লেষণ :- 

ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গঠনের ক্ষেত্রে পরিবেশ ও বংশগতি উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা বর্তমান। তবে , ব্যক্তিত্ব গঠনে কার ভূমিকা বেশি - সেটি একটি বিতর্কিত বিষয়। সমাজতত্ববিদ , শিক্ষাবিদ ও মনোবিদেরা ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তা বিশ্লেষণ করেছেন। 

প্রথমতঃ যদি বংশগতির দ্বারা সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তির দৈহিক বৈশিষ্ট তৈরী হত , তাহলে প্রতিটি ব্যক্তির দৈহিক বৈশিষ্ট তার পিতা - মাতার অনুরূপ হত। কিন্তু বাস্তবে বহু ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়না। ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব নির্ধারণে সাংস্কৃতিক পরিবেশেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। কোনো ব্যক্তির মাতা - পিতা শিক্ষিত ও গুণসম্পন্ন হলেও তার সন্তান যদি উপযুক্ত পরিবেশে লালিত - পালিত না হয় - তাহলে সেই ব্যক্তির গুণাবলী নেতিবাচকরূপে তার ব্যক্তিত্ব গঠন করে। 

দ্বিতীয়তঃ - ব্যক্তি তার সকল চারিত্রিক বৈশিষ্ট বংশগতি থেকে প্রাপ্ত করে না। ভালো মাতা - পিতার সন্তান সবসময় ভালো এবং অসামাজিক মাতা - পিতার সন্তান সবসময় মন্দ - এমনটা দেখা যায়না। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় , ব্যক্তি তার যাবতীয় গুণাবলী পরিবেশ থেকেই প্রাপ্ত করে। 

তৃতীয়তঃ - অনেক সময় দেখা যায় , শিক্ষিত অভিভাবকের সন্তান বুদ্ধাঙ্কের পরীক্ষার অধিক নম্বর প্রাপ্ত করে। কিন্তু , এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে , সেই শিশু শুধুমাত্র বংশগতির কারণে অধিক বুদ্ধাঙ্ক সম্পন্ন হয়েছে -এমনটা নয়। তার সাথে সাথে - সেই শিশুর উপযুক্ত পরিবেশ , তার শিক্ষা - সকল বিষয়গুলিই তার উন্নত বুদ্ধাঙ্কের জন্য দায়ী। 

চতুর্থতঃ - সামাজিক পরিবেশে প্রতিটি ব্যক্তি সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে থাকে। সমাজের সাথে এই ক্রিয়া - প্রতিক্রিয়ার ফলেই প্রতিটি শিশুর ব্যক্তিত্ব নির্ধারিত হয়। সুতরাং এককভাবে , বংশগতি ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের নির্ণায়ক নয়। 

পঞ্চমতঃ - বংশগতি থেকে প্রাপ্ত প্রতিটি বৈশিষ্ট উপযুক্ত সামাজিক পরিবেশে বিকাশ লাভ করে। শিক্ষিত অভিভাবকের সন্তান যদি উপযুক্ত পরিবেশ লাভ করে তাহলে সে গুণী ও শিক্ষিত হয়ে ওঠে। কিন্তু সে যদি উপযুক্ত পরিবেশ না পায় , তাহলে সে বংশগত বৈশিষ্টগুলির বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারেনা। 

উপসংহার :- 

পরিশেষে বলা যায় , বংশগতি ও পরিবেশ উভয়ই পরস্পরের সাথে অবিচ্ছেদ্য সূত্রে আবদ্ধ। ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব নির্মাণের ক্ষেত্রে উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ব্যক্তিত্ব গঠনে বংশগতি না পরিবেশ - কার ভূমিকা বেশি তা নির্ধারণ করার কোনো বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি নেই। তাই বলা যায় , বংশগতি ও পরিবেশ উভয়ই ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বংশগতির সূত্রে ব্যক্তি যে সকল বৈশিষ্টগুলি প্রাপ্ত করে , উপযুক্ত পরিবেশের সাহায্যেই ব্যক্তি সেই বৈশিষ্টগুলির বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারে। 

প্রকল্পের সীমাবদ্ধতা :- 

প্রকল্পটি রূপায়নকালে এবং রূপায়িত হওয়ার পর যে সকল ত্রুটি - বিচ্যুতি ও সীমাবদ্ধতা দৃষ্টিগোচর হয়েছে - সেগুলি হল - 

১. ব্যক্তিত্ব নির্ধারণে কার ভূমিকা বেশি - বংশগতি না পরিবেশ - এ সম্পর্কে মনোবিদরা বিভিন্ন গবেষণা করেছেন। প্রকল্পটিকে যথার্থ রূপ প্রদান করতে গেলে সেই সকল গবেষণাগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু প্রকল্পটিতে সেই প্রকার গবেষণার মধ্যে মাত্র দুটি গবেষণা সম্পর্কে অতি সংক্ষেপে লেখা হয়েছে। 

২. প্রকল্পের বিষয় সম্পর্কে আধুনিক মনোবিদ ও সমাজতত্ববিদদের বক্তব্য খুব স্বল্প মাত্রায় সংযোজিত হয়েছে। 

৩. ব্যক্তিত্ব নির্ধারণে বংশগতি ও পরিবেশের ভূমিকা - বিষয়টিকে প্রকল্প রচনার সংক্ষিপ্ত পরিসরে যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়নি। 

৪. বিষয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে প্রকল্পের আলোচনায় সারণি বা দন্ডচিত্রের উপস্থাপন প্রয়োজন ছিল - যা প্রতিবেদনে অনুপস্থিত। 

৫. সর্বোপরি , পাঠ্যপুস্তকে প্রকল্পের বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা না থাকায় - তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। 

গ্রন্থপঞ্জি :- 

যে সকল গ্রন্থ থেকে প্রকল্প রচনার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে , সেগুলি হল - 

১. উচ্চমাধমিক সমাজতত্ত্ব ( একাদশ ) - অরুনাংশু প্রধান। 
২. বি এ সমাজতত্ত্ব - বাণী প্রকাশন।    

H.S. Sociology Project 


ব্যক্তিত্ব গঠনে কার ভূমিকা বেশি ? বংশগতি না পরিবেশ  : - 


You May Also Like

0 comments