Pages

Powered by Blogger.

Pages

Pages

Pages

facebook twitter instagram pinterest bloglovin Email
Career CLASS 11 (XI) Class XI 1st Semester CLASS XI 2nd Semester H.S. 3rd SEM H.S. EDUCATION H.S. HISTORY HS SOCIOLOGY HS SUGGESTION INDIAN HISTORY NCERT POLITY PROJECT Sociological Studies Teaching & Education TEST PAPERS SOLVE TEST PAPERS SOLVE 2020 WORLD HISTORY XI EDUCATION XI HISTORY XI POL SC XI SOCIOLOGY XII Bengali XII Sanskrit

Pages

Nandan Dutta

School project and education news.

Pages

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান প্রকল্প : বিদ্যালয়ছুট সমস্যা ও তার সমাধান। 

বিদ্যালয়ছুট বা স্কুলছুট সমস্যা। 

বিদ্যালয়ছুট সমস্যার কারণ ও প্রতিকার।    



শিক্ষাবিজ্ঞান প্রকল্প : বিদ্যালয়ছুট সমস্যা ও তার সমাধান। 

ভূমিকা :- 
ইংরেজ শাসনে ভারত নিরক্ষরতার অতল অন্ধকারে নিমজ্জিত। স্বাধীনতালাভের পরবর্তীকালে ভারতে প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তারের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। ভারতীয় সংবিধানের ৪৫ নং ধারায় ৬-১৪ বছর বয়সী শিশুদের অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। তবে প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তার ও শিক্ষার উদ্দেশ্যপূরণ যেসকল উপাদানগুলির দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম একটি উপাদান হল - বিদ্যালয়ছুট বা স্কুলছুট সমস্যা। প্রাথমিক শিক্ষাস্তরের শেষ ধাপে পৌঁছনোর আগেই বহু শিশু বিদ্যালয় ছেড়ে চলে যায়। এর ফলে প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য অপূর্ণ থেকে যায়। একেই স্কুলছুট বা Drop - out বলা হয়। মূলতঃ আর্থ - সামাজিক পরিস্থিতিকে এর জন্য দায়ী করা হলেও পাঠক্রম , বিদ্যালয়ের পরিবেশ , পরীক্ষা পদ্ধতি ও শিক্ষকের ভূমিকাও এর জন্য দায়ী। 
বর্তমান প্রতিবেদনমূলক প্রকল্পটিতে বিদ্যালয়ছুট সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করার সঙ্গে সঙ্গে সমস্যার কারণ , বিভিন্ন উপাদানের ভূমিকা এবং স্কুলছুট সমস্যার সমাধানকল্পে সাধারণ সূত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আলোকপাত করা হয়েছে। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

প্রকল্পটির উদ্দেশ্য :- 
যেসকল উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রকল্পটি রূপায়ণ করা হয়েছে - সেগুলি হল - 
১. বাস্তবতার নিরিখে স্কুলছুট সমস্যাটিকে পর্যালোচনা করা। 
২. স্কুলছুট সমস্যার কারণগুলিকে অনুসন্ধান করা। 
৩. স্কুলছুট সমস্যার জন্য দায়ী বিভিন্ন উপাদানগুলির ভূমিকা পর্যালোচনা করা। 
৪. স্কুলছুট সমস্যার বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরা।  
৫. স্কুলছুট সমস্যার সমাধানের জন্য সাধারণ সূত্র প্রতিষ্ঠা করা। 
৬. সর্বপরি স্কুলছুট সমস্যার মত একটি জ্বলন্ত সমস্যা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তোলা। 

প্রকল্পের গুরুত্ব :- 
যেসকল কারণে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতে পারে - সেগুলি হল - 
১. প্রকল্পটির মাধ্যমে স্কুলছুট সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব। 
২. স্কুলছুট সমস্যার কারণগুলি অনুধাবন করতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ। 
৩. স্কুলছুট সমস্যার জন্য দায়ী বিভিন্ন উপাদানগুলির ভূমিকা সম্পর্কে জানতে প্রকল্পটি কার্যকরী। 
৪. প্রকল্পটির মাধ্যমে স্কুলছুট সমস্যার বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। 
৫. স্কুলছুট সমস্যার সমাধানকল্পে প্রকল্পটিতে উল্লিখিত সাধারণ সূত্রগুলি বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যেতে পারে। 
৬. সর্বোপরি , প্রকল্পটির মাধ্যমে স্কুলছুট সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা সম্ভব। 

কর্মপরিকল্পনা / পদ্ধতিগত দিক :- 
প্রকল্পটি নির্মাণ করতে যেসকল পদ্ধতি ও পরিকল্পনা অনুসরণ করা হয়েছে সেগুলি হল -   

>> বিদ্যালয়ের শিক্ষাবিজ্ঞান বিষয়ের মাননীয় শিক্ষক / মাননীয়া শিক্ষিকা X মহাশয় / মহাশয়া কর্তৃক প্রকল্পের বিষয়বস্তু নির্বাচন। 

>> বিষয় নির্বাচনের পর মাননীয় শিক্ষক মহাশয় / মাননীয়া শিক্ষিকা মহাশয়া - প্রকল্প রূপায়ণের জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতিগত দিকগুলি সম্পর্কে আলোকপাত করেন। 

>> মাননীয় শিক্ষক মহাশয় / মাননীয়া শিক্ষিকা মহাশয়া - র নির্দেশমত বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠ করে প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়। 

>> সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে একটি খসড়া প্রতিবেদন রচনা করে সেটি মাননীয় শিক্ষক / মাননীয়া শিক্ষিকার নিকট উপস্থাপন করা হয় এবং তিনি প্রয়োজনীয় সংশোধনের নির্দেশ প্রদান করেন। 

>> মাননীয় শিক্ষক / মাননীয়া শিক্ষিকার নির্দেশমত প্রয়োজনীয় সংশোধনের পর পুনরায় প্রকল্পটি প্রস্তুত করা হয়। 

>> প্রয়োজনীয় চিত্র সংগ্রহ করে সেগুলি প্রতিবেদনে সংযোজিত করা হয়। 

>> পূর্ণাঙ্গ প্রকল্পটি বিদ্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

তথ্য সংগ্রহ / পরীক্ষামূলক উপাদান :- 

বর্তমান ভারতে প্রাথমিক শিক্ষার সর্বজনীকরণ , শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যপূরণ যেসকল উপাদানগুলির দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হল স্কুলছুট সমস্যা। স্কুলছুট সমস্যার জন্য দায়ী মূলতঃ ভারতের আর্থ - সামাজিক পরিকাঠামো। তবে এর সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয় , পাঠক্রম , শিক্ষক ও অভিভাবকের ভূমিকাও স্কুলছুট সমস্যার জন্য সমান দায়ী। যেসকল উপাদানগুলি স্কুলছুট সমস্যার জন্য দায়ী সেগুলি হল - 

১. ত্রুটিপূর্ণ পাঠক্রম :- বাস্তবের সঙ্গে সঙ্গতিহীন পাঠক্রম স্কুলছুট সমস্যার জন্য বিশেষভাবে দায়ী। প্রচলিত পাঠক্রমের সঙ্গে বৃত্তি উপার্জনের কোনো সম্পর্ক না থাকায় শিক্ষার্থীরা এই ধরণের পাঠক্রম গ্রহণ করতে উৎসাহবোধ করেনা। 

২. পাঠদান পদ্ধতির ত্রুটি :- অনেকসময় ত্রুটিপূর্ণ পাঠদান পদ্ধতি পাঠ্য বিষয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের অনিচ্ছার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ত্রুটিপূর্ণ পাঠদান পদ্ধতি পাঠ্য বিষয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে বিরক্তবোধ করে। 

৩. আর্থ - সামাজিক পরিকাঠামো :- স্কুলছুট সমস্যার জন্য সর্বাধিক দায়ী হল শিক্ষার্থীদের আর্থ - সামাজিক পরিকাঠামো। অর্থের অভাব , চরম দারিদ্রতা , খাদ্যের অভাব - ইত্যাদি কারণে শিক্ষার্থীরা সহজেই বিদ্যালয় ছেড়ে দিয়ে উপার্জনমূলক কর্মে নিজেকে নিযুক্ত করে। 

৪. শিশু শ্রম আইনের প্রয়োগের অভাব :- ভারতে ১৪ বছরের নীচে শিশুদের কর্মে নিযুক্ত করানো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও বাস্তবে ভিন্ন পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। অর্থের প্রয়োজনে বিপুল সংখ্যক শিশুরা আজ ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত। শিশু আইনের ব্যর্থতা স্কুলছুট সমস্যার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরী করে। 

৫. অভিভাবকদের দায়িত্ব :- অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের বিদ্যালয়ছুট হওয়ার পেছনে অভিভাবকরা দায়ী থাকেন। অর্থের প্রয়োজনে বা অন্য কোনো কারণে শিশুকে বিদ্যালয়ে পাঠানোর তুলনায় কর্মক্ষেত্রের দিকে ঠেলে দেওয়াতেই অধিক উৎসাহবোধ করেন। 

৬. শিক্ষকের দায়িত্ব :- অনেকসময় শিক্ষার্থীর প্রতি শিক্ষকের নির্মম আচরণ ও শাস্তিদানের ব্যবস্থা বিদ্যালয় সম্পর্কে শিশুর মনে ভীতির সঞ্চার করে। এই ভীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছলে তার ফল হিসাবে দেখা যায় বিদ্যালয়ছুট সমস্যা। 

৭. বৃত্তিশিক্ষার অভাব :- বিদ্যালয়ের সাধারণ পাঠক্রমে বৃত্তিশিক্ষার নিদারুন অভাব লক্ষণীয়। ভারতে বিপুল সংখ্যক মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করেন। শিক্ষার তুলনায় ভারতে আর্থিক রোজগারের চাহিদা তাই স্বাভাবিকভাবেই বেশি। কিন্তু বিদ্যালয়ে বৃত্তিশিক্ষার অভাব শিশুকে বিদ্যালয়মুখী করে তোলার ক্ষেত্রে একটি প্রধান অন্তরায়। 

৮. পরিকাঠামোগত সমস্যা :- বিদ্যালয়ে যথাযথ শ্রেণিকক্ষের অভাব , উপযুক্ত শিক্ষকের অভাব , বিদ্যালয়ে পানীয় জল ও শৌচাগারের অভাব , বিদ্যালয়ের দূরত্ব , শিক্ষা উপকরণের অভাব - ইত্যাদি বিষয়গুলিও বিদ্যালয়ছুট সমস্যার জন্য দায়ী। 

৯. বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ব্যর্থতা :- ভারতে বাল্যবিবাহ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ হলেও ভারতে আজও প্রতি বছর বহু সংখ্যক নাবালিকার বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সেই সকল বালিকারা বিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

১০. সদিচ্ছার অভাব :- এক শ্রেণীর রাজনৈতিক নেতৃত্ব , প্রশাসনিক কর্মচারি ও শিক্ষকদের উদাসীনতা ও সদিচ্ছার অভাবের ফলে সকল শিশুকে বিদ্যালয়মুখী করে তোলা এবং তাদের বিদ্যালয়ে ধরে রাখার ক্ষেত্রে একশো শতাংশ সফলতা পাওয়া যাচ্ছে না। 

বিদ্যালয়ছুট সমস্যার সমাধান :- 

বিদ্যালয়ছুট সমস্যা শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যগুলিকে ব্যর্থ করে তোলে। তাই বিদ্যালয়ছুট সমস্যার সমাধান হওয়া একান্ত প্রয়োজন। নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে বিদ্যালয়ছুট সমস্যার বিরুদ্ধে ইতিবাচক সমাধানসূত্র প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। যেমন - 

(i) বিদ্যালয়ে বাস্তব জীবনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পাঠক্রম চালু করা। 
(ii) শিক্ষার্থীর আগ্রহ সৃষ্টিকারী পাঠদান নীতির প্রণয়ন করা। 
(iii) বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর ন্যুনতম জৈবিক চাহিদা ; যেমন - খাদ্য ও পুষ্টি , চিকিৎসা - ইত্যাদির ব্যবস্থা করা। 
(iv) শিশুশ্রম আইনকে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা। 
(v) অভিভাবকদের সচেতন করে তোলা। 
(vi) বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও শাস্তিপ্রদান নিষিদ্ধ করা। 
(vii) পরিকাঠামোগত সমস্যাগুলি দূর করা। যেমন - প্রতিটি বিদ্যালয়ে পানীয় জল , শৌচাগার ও উপযুক্ত শ্রেণীকক্ষের ব্যবস্থা করা। 
(viii) কঠোরভাবে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা এবং এবিষয়ে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক কর্মসূচীকে আরো জোরদার করে তোলা। 
(ix) বিদ্যালয়ের সাধারণ পাঠক্রমের সঙ্গে বিভিন্ন বৃত্তিমূলক কোর্সের ব্যবস্থা করা এবং আর্থিক উপার্জন সংক্রান্ত বিশেষ কোর্স বা কর্মশালা আয়োজন করা। 
(x) বিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার প্রসারের সঙ্গে যুক্ত সকল ব্যক্তির অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং তার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাজের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা।

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

তথ্য - বিশ্লেষণ :- 
ভারতে প্রাথমিক শিক্ষার সর্বজনীকরণের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ছুট সমস্যাটি একটি প্রধান অন্তরায় - একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এরজন্য একটিকে আর্থ - সামাজিক পরিকাঠামো এবং অন্যদিকে বিদ্যালয় ও পাঠক্রমকেন্দ্রিক ত্রুটি - ইত্যাদি বিভিন্ন উপাদান দায়ী। তবে , বিদ্যালয়ছুট সমস্যার জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। 

সরকারি পরিসংখ্যান থেকে একথা স্পষ্ট যে প্রতি বছর বহু সংখ্যক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ছুট হয়ে থাকে। ইতিপূর্বে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার প্রসার , বিদ্যালয়ছুট সমস্যা দূরীকরণ , শিক্ষায় সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণ - ইত্যাদির জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি একাধিক প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণ করে। এগুলির মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হল - জাতীয় সাক্ষরতা মিশন , সর্বশিক্ষা অভিযান ইত্যাদি। এইসকল কর্মসূচীগুলি কোনো একটি বিশেষ উদ্দেশ্যের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত হয়নি ; এগুলির উদ্দেশ্য ছিল বহুবিধ। তবে সার্বিকভাবে বিচার করলে কর্মসূচিগুলির কিছুটা সুফল ভারতীয় শিক্ষার্থীদের নিকট এসে পৌচেছে। তবে এই সকল কর্মসূচিগুলির সম্পূর্ণ সুফল থেকে আমরা এখনো বঞ্চিত আছি। 

বিগত দুই দশকে বিদ্যালয়ভিত্তিক বিদ্যালয়ছুটের হার শতাংশের বিচারে কিছুটা কমলেও বিদ্যালয়ছুটের প্রবণতা এখনো বন্ধ হয়নি। বিশেষ করে গ্রামীণ ভারতে , যেখানে বেশিরভাগ শিশুর পরিবার কৃষি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত , সেখানে বিদ্যালয়ছুটের হার একই সঙ্গে উদ্বেগের ও হতাশার। কৃষিভিত্তিক পরিবারগুলি শিশুকে বিদ্যালয়ে পাঠানোর পরিবর্তে কৃষিক্ষেত্রে নিযুক্ত করাতে অধিক উৎসাহী হয়ে থাকেন। অন্যদিকে নগরকেন্দ্রিক শিল্প সমাজে শিশুরা যেকোনো ধরণের কায়িক শ্রমমূলক কর্মে নিযুক্ত হয়ে পড়ে। 

বিদ্যালয়ছুট সমস্যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তিনটি চরম ক্ষতিকর সমস্যার জন্ম দেয় - 
১. বাল্যবিবাহ , 
২. শিশু ও নারী পাচার ,
৩. ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের নিয়োগ। 
উক্ত তিনটি সমস্যা আবার নানাভাবে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার জন্ম দেয়। কেবলমাত্র বিদ্যালয়ছুট সমস্যার সমাধান করা গেলেই উপরোক্ত সর্বপ্রকারের সমস্যাগুলির সমাধান করা সম্ভব। 

যেহেতু ভারতে বেশিরভাগ মানুষ দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং বহু সংখ্যক মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করেন , তাই ভারতীয় প্রেক্ষাপটে বিচার করলে শিক্ষাকে সরাসরি উৎপাদনশীলতার সঙ্গে যুক্ত করে শিক্ষাকে সার্থকভাবে বৃত্তিমুখীকরণ ঘটানো উচিত। শিক্ষা শেষে হাতে কাজ পেলে , আর্থিক উপার্জনের রাস্তা খুলে গেলে বিদ্যালয়ছুট সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে বলে মনে করা হয়।   

তবে এর সঙ্গে সঙ্গে শিশুর প্রতি অভিভাবকদের ভূমিকার আমূল পরিবর্তন দরকার। অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে যে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা শিশুর জীবনকেও পূর্ণাঙ্গ করে তুলবে , বৃত্তিজগতের একাধিক দরজা তাদের জন্য উন্মুক্ত হবে , শিশু নিজের যোগ্যতা ও আগ্রহ অনুযায়ী বৃত্তি নির্বাচন করতে পারবে। এই সচেতনতা বিস্তারের কাজে শিক্ষক , শিক্ষাকর্মী , শিক্ষার্থী এবং সর্বোপরি সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। 

বিদ্যালয়ছুট সমস্যা যে কেবলমাত্র একটি শিশুর জীবনকে অন্ধকারাচ্ছন্ন ও ক্ষতিগ্রস্থ করে তা'ই নয় ; এর সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র জাতি ও মানব সমাজেরও ক্ষতিসাধন করে। তাই বিদ্যালয়ছুট সমস্যার সমাধানকল্পে অবিলম্বে বাস্তব সম্মত নীতি গ্রহণ করে তা সার্থকভাবে প্রয়োগ করা দরকার। 

উপসংহার / সিদ্ধান্ত গ্রহণ :- 
বিদ্যালয়ছুট সমস্যা যে শুধুমাত্র ভারতকে জর্জরিত করেছে - তা নয় ; বর্তমানে এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। এরজন্য মূল দায়ী আর্থ - সামাজিক পরিকাঠামো হলেও ত্রুটিপূর্ণ পাঠক্রম , শিক্ষকের ভূমিকা , অভিভাবকদের সচেতনতার অভাব , বাস্তব সম্মত নীতির অভাব , বিদ্যালয়ে বৃত্তিশিক্ষার অভাব , বাল্য বিবাহ ও শিশু শ্রম আইনের পূর্ণাঙ্গ প্রয়োগে ব্যর্থতা - ইত্যাদি উপাদানগুলির ভূমিকাও অস্বীকার করা যায়না। 

বিদ্যালয়ছুট সমস্যা শুধুমাত্র নিজে একটি একক সমস্যা নয় ; এর সঙ্গে সঙ্গে তা জন্ম দেয় একাধিক সামাজিক সমস্যার। বিদ্যালয়ছুট সমস্যা একটি শিশুর জীবনকে ক্ষতিগ্রস্থ করার সঙ্গে সঙ্গে তা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জনসমাজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে মেঘাচ্ছন্ন করে তোলে। তাই বিদ্যালয়ছুট সমস্যার সমাধানে সমস্ত রকমের অবহেলা ও উদাসীনতাগুলিকে দূর করে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 

বিদ্যালয়ছুট সমস্যার সমাধানের জন্য বিদ্যালয় , নীতি নির্ধারক , শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী , অভিভাবক তথা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের ইতিবাচক অংশগ্রহণ প্রয়োজন। একদিকে দেখতে হবে নতুন করে একটি শিশুও যাতে বিদ্যালয়ছুট না হয় এবং অন্যদিকে ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ছুট হয়ে যাওয়া শিশুদের সাধ্যমত পুনর্বাসনের নীতি গ্রহণ করতে হবে। 

সীমাবদ্ধতা :- 
প্রকল্পটি রূপায়নকালে এবং রূপায়িত হওয়ার পর যেসকল ত্রুটি - বিচ্যুতি ও সীমাবদ্ধতা দৃষ্টিগোচর হয়েছে - সেগুলি হল - 
১. কোনো পাঠ্যপুস্তক , সহায়ক গ্রন্থ , পত্র - পত্রিকা , ইন্টারনেট বা অন্য কোনো মাধ্যম থেকে বিদ্যালয়ছুট শিক্ষার্থীদের প্রকৃত পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি ; ফলে প্রতিবেদনেও তার কোনো উল্লেখ নেই। 
২. পাঠ্যপুস্তক বা সহায়ক গ্রন্থগুলিতে বিদ্যালয়ছুট সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ও সীমাবদ্ধ। তাই তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিশেষ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। 
৩. প্রতিবেদনমূলক প্রকল্প রচনার সংক্ষিপ্ত পরিসরে বিদ্যালয়ছুট সমস্যার মত একটি জটিল ও বৃহৎ সমস্যাকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা সম্ভব হয়নি। 
৪. প্রতিবেদনটিতে বিদ্যালয়য়ের শিক্ষক - শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের মতামত অনুপস্থিত। 
৫. বিভিন্ন কর্মসূচি ও সরকারি প্রকল্পগুলি বিদ্যালয়ছুট সমস্যার সমাধানকল্পে এযাবৎকাল যে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে - তার আলোচনা প্রতিবেদনটিতে অনুপস্থিত। 
৬. স্থানীয় এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলিতে বিদ্যালয়ছুট সমস্যার প্রকতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়নি এবং পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হয়নি। 

গ্রন্থপঞ্জি :- 
প্রতিবেদনটি রচনার জন্য তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে যে সকল গ্রন্থের সাহায্য নেওয়া হয়েছে - সেগুলি হল - 
১. উচ্চমাধ্যমিক সমাজতত্ত্ব - ডক্টর অরুনাংশু প্রধান। 
২. উচ্চমাধ্যমিক সমাজবিদ্যা - ডক্টর মৃনাল কান্তি দত্ত। 
৩. বি এ ভারতীয় সামাজিক সমস্যা - বাণী প্রকাশন। 
৪. রাজনীতিক সমাজতত্ত্ব ( স্নাতক ) - অনাদিকুমার মহাপাত্র। 
৫. ভারতীয় সমাজ ( স্নাতক ) - অনাদিকুমার মহাপাত্র।    

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

Test Papers এর উত্তর পেতে এখানে CLICK করো। 

অধ্যায়ভিত্তিক MCQ ও SAQ - CLICK HERE 

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

উচ্চমাধ্যমিক সমাজতত্ত্ব প্রকল্প : বর্তমান সমাজে নারীদের অবস্থান। 

H.S. Sociology Project : বর্তমান সমাজে নারীদের অবস্থান।




বর্তমান সমাজে নারীদের অবস্থান। 


ভূমিকা :- 
নারী ও পুরুষ - জৈবিক নিয়মে কিছু দৈহিক পার্থক্য নিয়ে সৃষ্ট। মানব সভ্যতার প্রসার ও অস্তিত্ব রক্ষায় উভয়ের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। কিন্তু যুগ যুগ ধরে নারীসমাজ পুরুষের হাতে বঞ্চিত ও শোষিত হয়ে এসেছে। সামাজিক মর্যাদা , রাজনৈতিক অধিকার , ধর্মীয় কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ - ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রেই দীর্ঘকাল যাবৎ নারীদের বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল। পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীদের ইচ্ছা - অনিচ্ছা সবকিছুই আবর্তিত হয়েছে পুরুষের সম্মতিক্রমে। নারীরা ছিলেন সর্বত্র দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ। 

কিন্তু বর্তমান সমাজে নারীদের মর্যাদাগত অবস্থানের কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে। শিক্ষার বিস্তার , বিভিন্ন নারী আন্দোলন , সমাজ সংস্কার , সাংবিধানিক বিধি - ব্যবস্থা , পাশ্চাত্যের প্রভাব , আধুনিকীকরণ ও উদারীকরণ এবং বিশ্বায়নের প্রভাব , নগরায়নের বিস্তার - ইত্যাদির ফলে বর্তমান সমাজে নারীদের অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক , সামাজিক - ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে নারীদের মর্যাদাগত অবস্থানের পরিবর্তন ঘটেছে। 

বর্তমান প্রতিবেদনমূলক প্রকল্পটিতে নারীদের বর্তমান সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে আলোচনা করার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের মর্যাদাগত অবস্থানের পরিবর্তনের কারণ , বর্তমান সময়েও নারীরা কোন কোন ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার , উল্লেখ্য সাংবিধানিক ব্যবস্থা - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য :- 
যেসকল উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রকল্পটি রচনা করা হয়েছে সেগুলি হল -
১. বর্তমান সমাজে নারীদের মর্যাদাগত অবস্থানের বাস্তব রূপটি তুলে ধরা। 
২. বর্তমান সময়ে নারীদের মর্যাদাগত অবস্থানের পরিবর্তনের কারণগুলি আলোচনা করা। 
৩. নারীদের বিরুদ্ধে ঘটে আজও চলা নানা ধরণের নির্যাতনের রূপরেখা তৈরী করা। 
৪. পণপ্রথা কিভাবে আমাদের বর্তমান সমাজেও নারীদের কাছে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে আছে - সে সম্পর্কে আলোচনা করা। 
৫. নারী অধিকার সুরক্ষায় যে সকল বিধিবদ্ধ আইন বর্তমান - সেগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা। 
৬. নারী সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন সাংবিধানিক ব্যবস্থা থাকা স্বত্ত্বেও কীভাবে নারীরা আজও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে - সে সম্পর্কে আলোচনা করা। 
৭. সর্বোপরি নারীদের বর্তমান সমস্যাগুলি সমাধানের উদ্দেশ্যে যুক্তিযুক্ত আলোচনা করা। 

প্রকল্পের গুরুত্ব :- 
যেসকল কারণে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতে পারে সেগুলি হল - 
১. প্রকল্পটির মাধ্যমে নারীদের বর্তমান সামাজিক মর্যাদাগত অবস্থান সম্পর্কে জানা সম্ভব। 
২. বর্তমান সমাজে নারীদের বিরুদ্ধে সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধমূলক আচরণ এবং তার প্রকৃত রূপ সম্পর্কে জানা সম্ভব। 
৩. প্রকল্পটির মাধ্যমে নারী সুরক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন আইনগুলি সম্পর্কে জানা সম্ভব। নারীসুরক্ষার বিষয়টিকে জোরালো করতে এইসকল আইনগুলি সম্পর্কে সকলের ধারণা থাকা উচিত। 
৪. বর্তমান সমাজে পণপ্রথার বাস্তব রূপ সম্পর্কে প্রকল্পটিতে আলোচনা করা হয়েছে। ফলে বর্তমান সমাজেও কিভাবে পণপ্রথা টিকে আছে এবং কিভাবে তার ভয়াবহ প্রভাব বিস্তার করছে - তা উপলব্ধি করা সম্ভব। 
৫. সর্বোপরি প্রকল্পটির মাধ্যমে নারীসমাজের সমস্যাগুলির সমাধানের লক্ষ্যে সাধারণ সূত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। 

কর্মপরিকল্পনা / পদ্ধতিগত দিক :- 

প্রকল্পটি রূপায়ণ করতে যেসকল পদ্ধতি ও পরিকল্পনা অনুসরণ করা হয়েছে সেগুলি হল - 

---> বিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিষয়ের মাননীয়া শিক্ষিকা X মহাশয় / মহাশয়া কর্তৃক প্রকল্পের বিষয়বস্তু নির্বাচন। 

---> বিষয় নির্বাচনের পর মাননীয় শিক্ষক মহাশয় / মাননীয়া শিক্ষিকা মহাশয়া - প্রকল্প রূপায়ণের জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতিগত দিকগুলি সম্পর্কে আলোকপাত করেন। 

---> মাননীয় শিক্ষক মহাশয় / মাননীয়া শিক্ষিকা মহাশয়া - র নির্দেশমত বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠ করে প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়। 

---> সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে একটি খসড়া প্রতিবেদন রচনা করে সেটি মাননীয় শিক্ষক / মাননীয়া শিক্ষিকার নিকট উপস্থাপন করা হয় এবং তিনি প্রয়োজনীয় সংশোধনের নির্দেশ প্রদান করেন। 

---> মাননীয় শিক্ষক / মাননীয়া শিক্ষিকার নির্দেশমত প্রয়োজনীয় সংশোধনের পর পুনরায় প্রকল্পটি প্রস্তুত করা হয়। 

---> প্রয়োজনীয় চিত্র সংগ্রহ করে সেগুলি প্রতিবেদনে সংযোজিত করা হয়। 

---> পূর্ণাঙ্গ প্রকল্পটি বিদ্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

তথ্য সংগ্রহ / পরীক্ষামূলক উপাদান :- 

বর্তমান সময় ও সমাজে নারীদের মর্যাদাগত অবস্থানের পরিবর্তন ঘটেছে - সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। নারীসমাজের এই মর্যাদাগত অবস্থানের পরিবর্তন ঘটার পেছনে বিভিন্ন কারণ বর্তমান। যেমন - 

(i) বিভিন্ন আইন :- ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত বিভিন্ন আইনগুলি নারী সুরক্ষা ও নারী অধিকার রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। এই আইনগুলির দ্বারা পুরুষের বহুগামিতা বন্ধ করা গেছে , নারীদের বিবাহের ন্যুনতম বয়স ১৮ বছর আইনসিদ্ধ হয়েছে , স্ত্রী ও কন্যার সমানাধিকারের বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে , পণপ্রথা বহুলাংশে প্রতিরোধ করা গেছে - ইত্যাদি। এই আইনগুলির মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল - Hindu Marriage Act 1955, Hindu Succession Act 1956, The Dowry Prohibition Act 1961 ইত্যাদি। 

(ii) সাংবিধানিক ব্যবস্থা :- ভারতীয় সংবিধানের ১৪ - ৩০ নং ধারা পর্যন্ত যেসকল মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতার অধিকার দেওয়া হয়েছে সেগুলি নারীদের মর্যাদাগত অবস্থানের প্রভূত উন্নতি ঘটিয়েছে। মৌলিক অধিকার , ১৪ - ১৮ নং ধারায় সাম্যের অধিকার , ২৩ - ২৪ নং ধারায় শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার , ২৯ - ৩০ নং ধারায় সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক অধিকার - ইত্যাদি বিষয়গুলি নারীদের মর্যাদার উন্নীতকরণ ও নারী সুরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। 

(iii) শিক্ষার প্রসার :- স্বাধীনতা পূর্ববর্তী যুগে রামমোহন , বিদ্যাসাগরের হাত ধরে নারীশিক্ষা আন্দোলনের যে সূত্রপাত ঘটেছিল স্বাধীনতা লাভের পরবর্তী সময়ে তা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বিস্তারলাভ করতে থাকে। ১৯৭৬ সালে সংবিধানের ৪২ তম সংশোধনের মধ্যে দিয়ে ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলি নারীশিক্ষা বিস্তারে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণের সুযোগ লাভ করে। এছাড়াও ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে রাধাকৃষ্ণন কমিশন , ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে কোঠারি কমিশন , ১৯৬৮ তে জাতীয় শিক্ষানীতি , ১৯৮৬ - র জাতীয় শিক্ষানীতি - সকল শিক্ষা কমিশনগুলিই নারীশিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেন। এছাড়াও , অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড , জাতীয় সাক্ষরতা মিশন , জাতীয় বয়স্ক শিক্ষা কর্মসূচি , সর্বশিক্ষা অভিযান - ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে ভারতে নারীশিক্ষার প্রভূত বিস্তার ঘটেছে। 

(iv) অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি :- স্বাধীন ভারতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে যেসকল কর্মসূচি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলি যে শুধুমাত্র পুরুষদের উন্নতি ঘটিয়েছে - এমনটা নয় ; মহিলারা এর সুফল থেকে বঞ্চিত হননি। তবে ভারতীয় মহিলাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধানত তিনটি আইন প্রভূত সহায়তা করে। এই তিনটি আইন হল - Hindu Succession Act 1956 , Factory Act 1948 , Equal Remuneration Act 1976  । এছাড়াও শুধুমাত্র মহিলাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচীগুলি হল - CPWC , DWCRA , ICDS , SGSY - ইত্যাদি। 

(v) সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মসূচি :- বর্তমানে নারীদের সামাজিক কল্যাণ সাধনে যে মন্ত্রকগুলি কাজ করে সেগুলি হল - মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক , স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক , স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক , মহিলা ও শিশু বিকাশ মন্ত্রক - ইত্যাদি। এদের মাধ্যমে নারীদের নানাবিধ কল্যাণমূলক কর্মসূচি রূপায়িত হয়েছে ও নারীদের সামাজিক মর্যাদার উন্নয়ন ঘটেছে। 

(vi) রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন :- রাজনীতিতে অংশগ্রহণ ও পদাধিকারের মাধ্যমে মহিলাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সংবিধানের ৭৩ তম সংশোধনীর দ্বারা পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরের মোট আসনের এক - তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। এভাবে অবধারিত রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সমাজে নারীদের প্রতি শোষণ কিছু অংশে লাঘব হয়েছে এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের স্বনির্ভর হওয়ার প্রবণতা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

(vii) বিবিধ স্বাস্থ্য কর্মসূচি :- ICDS এর মাধ্যমে সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প , WHO এর উদ্যোগে State Health Systems Development Project , ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক - এদের মাধ্যমে মহিলাদের বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে সচেতন করা , চিকিৎসার ব্যবস্থা করা , গর্ভবতী ও প্রসূতিকালীন মহিলাদের বিশেষ পরামর্শ ও চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে নিয়ে আসা , প্রয়োজনীয় টীকা ও প্রতিষেধক প্রদান করা - ইত্যাদির মাধ্যমে নারীরা নিজেদের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠেছেন। নারীদের মর্যাদাগত অবস্থানের পরিবর্তনের এটিও একটি বড় কারণ। 

(viii) কর্মক্ষেত্রে নারীদের স্বাধীনতা বৃদ্ধি :- বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে নারীরা সমানাধিকার লাভ করেছেন। শিক্ষার বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে নারীদের যোগদান বিগত ৫০ বছরের তুলনায় কয়েকশো গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ বহুসংখ্যক নারীরা বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে , বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে , BPO , Call Centre - ইত্যাদি ক্ষেত্রে সফলভাবে কর্মরতা। এছাড়াও বর্তমান প্রজন্মের নারীদের মধ্যে ব্যবসায়িক প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নারীরা অর্থনৈতিক ক্রিয়াকর্মে যুক্ত থাকবে না - এই ধরণের চিন্তাগুলিরও পরিবর্তন ঘটছে। 

(ix) কর্মক্ষেত্রে নারী নির্যাতন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা :- বর্তমানে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে নারীদের বিরুদ্ধে ঘটে চলা বিভিন্ন নির্যাতনমূলক আচরণগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি দপ্তরে নারীদের যৌন লাঞ্ছনা , হেনস্থা - পৃথক পৃথক কমিটি গঠনের ব্যবস্থা রয়েছে এবং এই সকল ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য স্বাধীন পরিবেশ গঠনের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। 

(x) পারিবারিক ক্ষেত্রে নারী ক্ষমতায়ন :- শিক্ষার বিস্তার , রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন , অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা - ইত্যাদির কারণে বর্তমানে নারীরা নিজেদের প্রতি ঘটে যাওয়া পারিবারিক শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এরফলে পারিবারিক ক্ষেত্রে নারীদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। 

(xi) বর্তমান সমাজে নারীদের বিভিন্ন সমস্যা :- তবে এসব স্বত্ত্বেও নারীদের মর্যাদা যে সম্পর্ণরূপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সকল প্রকার বৈষম্যের অবসান ঘটেছে - এমন কথা বলা যাবেনা। আজও বহু ক্ষেত্রে নারীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে লাঞ্ছনা ও বৈষম্যের শিকার হতে হয়। যেমন - 
(a) আজও ভারতীয় সমাজ পুরুষতান্ত্রিক। তাই কাগজে কলমে নারীদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হলেও বাস্তবে বহু বিপরীত চিত্র দেখা যায়। 
(b) পারিবারিক ক্ষেত্রেও নারীরা আজও পুরুষদের অধীন। নারীর স্বাধীনতা ও অধিকার নির্ভর করে পুরুষের সম্মতির উপর। 
(c) প্রাথমিক ও মাধ্যমিক ক্ষেত্রে নারীশিক্ষার যথেষ্ট বিকাশ ঘটলেও নারীদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার ক্ষেত্রে ইতিবাচক মানসিকতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। 
(d) বিবাহের পর শিক্ষা ও কর্মসংস্থান উভয়ই সম্পূর্ণরূপে পুরুষের সম্মতির উপর নির্ভরশীল।
(e) সমাজে পুরুষদের তুলনায় নারীদের অনেক বেশি সংস্কার , প্রথা , রীতিনীতি মান্য করে চলতে হয়। পারিবারিক ও সামাজিক অনুশাসন নারীজীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠে। 
(f) বর্তমান সমাজে সতীদাহের মত মধ্যযুগীয় প্রথা প্রচলিত না থাকলেও তার আধুনিক রূপ নিয়েছে পরিবারের সম্মানার্থে হত্যা। 
(g) খুব কম হলেও বাল্য বিবাহ আজও ঘটে চলেছে। কিছু ঘটনা প্রতিরোধ করা গেলেও লোকচক্ষুর আড়ালে বাল্যবিবাহের কত ঘটনা যে ঘটে চলেছে - তার কোনো হিসেবে নেই।   
(h) আজও মধ্যবিত্ত , নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলির মধ্যে নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও মর্যাদার বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব পায়না। বহু ক্ষেত্রেই সংসার বা পারিবারিক চাপে নারীদের চাকরি ছাড়তে হয়। 
(i) কর্মরতা নারীদের আজও বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। যেমন ভারতে কৃষিকাজে নিযুক্ত মহিলারা বছরে ৬/৭ মাস কর্মহীন অবস্থায় থাকেন। সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও বহু ক্ষেত্রেই পুরুষদের তুলনায় নারীদের পারিশ্রমিক কম দেওয়া হয়। 
(j) UNICEF এর রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে পুরুষদের তুলনায় নারীরা অধিক অপুষ্টিতে ভোগেন। 
(k) আজও আইন ও সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কন্যাভ্রূণ হত্যার ঘটনা ঘটে। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

তথ্য বিশ্লেষণ :- 

সংগৃহীত তথ্যগুলিকে নীচে বিশ্লেষণ আকারে উপস্থাপন করা হল। 

১. ভারতীয় সংবিধানে স্বীকৃত বিভিন্ন আইনগুলি ভারতীয় নারীদের মর্যাদাগত বিবর্তনের ক্ষেত্রে ও সুরক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই সাংবিধানিক স্বীকৃতি নারীদের অধিকারের বিষয়টিকে একটি বিধিবদ্ধ ও আইনগত বিষয়ে পরিণত করেছে। 

২. ভারতীয় সংবিধানে স্বীকৃত স্বাধীনতা ও সাম্যের অধিকার এবং মৌলিক অধিকারগুলিতে নারী ও পুরুষ উভয়কেই সমান মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাই স্বাধীনতালাভের পরবর্তীকালে নারীদের অধিকারের বিষয়টি দৃঢ় ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এ বিষয়ে নারীরা সচেতন হয়েছেন। 

৩. নারী অধিকার ও মর্যাদার বিষয়টিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষার প্রসার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। নারীদের মধ্যে শিক্ষার প্রসারের ফলে তারা নিজেদের অধিকার ও মর্যাদা বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠেছেন। 

৪. স্বাধীনতার পরবর্তীকালে গ্রাম ও শহরের নাগরিকদের জন্য পৃথক পৃথক অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এই অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলির দ্বারা গ্রাম ও শহরের মহিলাগণ অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠেছে। ফলে তাদের সামাজিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

৫. বিশেষভাবে নারীদের জন্য গৃহীত বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মসূচি নারীদের সামাজিক মর্যাদার স্তর উন্নত করেছে। 

৬. স্বাধীনতার পরবর্তীকালে সাংবিধানিক ব্যবস্থাদির মাধ্যমে ভারতে নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলে নারীরা যেমন একদিকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হয়েছেন তেমনি অন্যদিকে নারীদের বিভিন্ন সমস্যাগুলিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে উপস্থাপন করে আন্দোলন পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছেন। 

৭. যুগ যুগ ধরে নারীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়টি অবহেলিত ছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তীকালে নারীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এর ফলে বিভিন্ন রোগ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে নারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গর্ভবতী মহিলা ও সন্তান প্রসবের পর মা ও সন্তান উভয়ের বিভিন্ন টীকা , যথার্থ পুষ্টি - ইত্যাদি বিষয়গুলি কিছুটা হলেও সুনিশ্চিত করা গেছে। 

৮. আধুনিক ভারতে কর্মক্ষেত্রে নারীদের স্বাধীনতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাড়ির বাইরে গিয়ে নারীরা কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করবে - এইরূপ মানসিকতা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নারীদের মধ্যে ব্যবসায়িক উদ্যোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

৯. বিভিন্ন বিধিবদ্ধ ব্যবস্থার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে নারীদের যৌন হয়রানি ও অন্যান্য হেনস্থা প্রতিরোধের চেষ্টা করা হয়েছে। এর ফলে কর্মক্ষেত্রে নারীদের সুরক্ষা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

১০. তবে নারী নির্যাতনের সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান সম্ভব হয়নি এবং নারীদের অধিকার পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠা করা গেছে - এমনটাও বলা যাবে না। পণপ্রথা , বাল্যবিবাহ , কন্যাভ্রূণ হত্যার মত ঘৃণ্য ঘটনা , পণের দায়ে বধূহত্যার মত জঘন্যতম অপরাধ , ধর্ষণ , শ্লীলতাহানির মত কার্যকলাপ প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে। প্রশাসনিক উদাসীনতা , রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব , দুর্নীতি , পিতৃতান্ত্রিক সমাজ কাঠামো - ইত্যাদির কারণে নারীরা আজও পূর্ণ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হতে পারেননি।                   

উপসংহার :- 
সামগ্রিক আলোচনা থেকে স্পষ্ট যে , বর্তমান সমাজে নারী অধিকার ও মর্যাদার বিবর্তনের বিষয়টি কিছুটা আলোকিত ও কিছুটা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আছে। আইন , আদালত , কমিশন , কমিটি - এই সবের বাইরেও এমন কিছু ঘটছে যা নারীরাই নিভৃতে রাখতে চান ; কেননা এর সাথে জড়িত থাকে তাদের কেরিয়ার , পেশাগত বিষয়। আবার অনেক সময় আপসহীন সংগ্রামের মানসিকতাও সকলের থাকেনা। তাই পরিশেষে বলা যেতে পারে - নারীদের বিরুদ্ধে ঘটে চলা প্রত্যেকটি অন্যায় অত্যাচারের কথা নারীদেরকেই সামনে নিয়ে আসতে হবে - তাহলেই জোটবদ্ধ হবে সমাজ , শুভচেতনা জাগ্রত হয়ে উঠবে এবং সমাজে বিবর্তনের পথে নারী - মর্যাদা অধিকতর উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হবে।    

পাঠের সীমাবদ্ধতা :- 
প্রকল্পটি রূপায়ণ করতে গিয়ে এবং রূপায়ণ করার পর যেসকল ত্রুটি - বিচ্যুতি ও সীমাবদ্ধতা দৃষ্টিগোচর হয়েছে - সেগুলি হল - 
(ক ) প্রকল্প রচনার সীমাবদ্ধ পরিসরে নারীদের বর্তমান অবস্থা ও মর্যাদাগত বিবর্তন বিষয়টিকে আলোচনা করা হয়েছে। তাই প্রতিটি অংশকে সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। বহু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন ছিল - কিন্তু তা করা হয়নি। 
(খ ) বিভিন্ন আইন নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নারী সুরক্ষার জন্য রচিত হলেও , এখনও এমন বেশ কিছু আইন আছে যা নারী মর্যাদা ও স্বাধীনতার পরিপন্থী। এই সকল আইনগুলিকে তুলনামূলক পদ্ধতিতে সমালোচনামূলক আলোচনা করা প্রয়োজন ছিল। 
(গ ) নারীদের মর্যাদার অবমাননার বিষয়ে বহু ক্ষেত্রেই নারীরাও বিভিন্নভাবে দায়ী থাকেন। এ প্রসঙ্গে প্রকল্পটিতে কোনো আলোচনা নেই। 
(ঘ ) বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীসুরক্ষা আইনগুলি আরো বিশদে আলোচনা করা প্রয়োজন ছিল। 
(ঙ ) বর্তমান যুগে বিভিন্ন নারী সংগঠন রয়েছে - যারা নারীদের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া অবমাননা ও লাঞ্ছনার প্রতিকারের জন্য কাজ করে থাকেন। এই প্রতিবেদনটিতে সেই সকল সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলির কার্যাবলীর বিষয়ে কোনো আলোচনা উপস্থাপন করা হয়নি। 
(চ ) নারীদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদনটি রচিত হলেও তাদের বাস্তব অবস্থা জানার জন্য নিজস্ব এলাকায় সমীক্ষা করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি। 

গ্রন্থপঞ্জি :- 

প্রতিবেদনটি রচনার জন্য তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে যে সকল গ্রন্থের সাহায্য নেওয়া হয়েছে - সেগুলি হল - 
১. উচ্চমাধ্যমিক সমাজতত্ত্ব - ডক্টর অরুনাংশু প্রধান। 
২. উচ্চমাধ্যমিক সমাজবিদ্যা - ডক্টর মৃনাল কান্তি দত্ত। 
৩. বি এ ভারতীয় সামাজিক সমস্যা - বাণী প্রকাশন। 
৪. রাজনীতিক সমাজতত্ত্ব ( স্নাতক ) - অনাদিকুমার মহাপাত্র। 
৫. ভারতীয় সমাজ ( স্নাতক ) - অনাদিকুমার মহাপাত্র।  

[ কৃতজ্ঞতা স্বীকার , অভিজ্ঞানপত্র বা শংসাপত্র - ইত্যাদি যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তা এই ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। '' সমস্ত প্রকল্পের তালিকা '' - Page - টি তে একটু খুঁজলেই পেয়ে যাবে। ]    

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

Test Papers এর উত্তর পেতে এখানে CLICK করো। 

অধ্যায়ভিত্তিক MCQ ও SAQ - CLICK HERE 


Share
Tweet
Pin
Share
No comments

Dramatization: All Summer in a Day.

H.S. English Project.

Dramatization of a story.  




Here is the dramatization of All Summer in a Day. The original text was written by Ray Bradbury. This project work will help the H.S. students and also C.B.C.S. students. In this project work, some changes have been made to the story to dramatize it while keeping the original concept of the story and characters intact.

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

Dramatization : All Summer in a Day .


SCENE : ONE 

Stage preparation : A tiny classroom. Almost ten students are sitting on their own seats. A lady teacher was taking the class. The students are all nine years old and they are wearing the same school uniform. There are lots of writings on the blackboard. 

Teacher : Ok, today’s class is over. But now I am going to tell you something special. 

Student 1 : ( With excitement ) : What is it ma'am ? 

Teacher : Tomorrow is a special day. Tomorrow, after seven years, the Sun will be in the sky for just one hour. 

Student 2 : But what is the Sun , ma’am ?  

Teacher :   You saw the sun seven years ago . You were all two years old then. See, we all live on the planet Venus. You have come to Venus by rocket from Earth to study in school. But here the sun rises only once in seven years, and that too for just one hour. Tomorrow we will all see the sun again. [ All the students become excited.] So get ready to see the sun tomorrow.

Student 3 : I think the sun is a flower that blooms for just one hour. 

Student 5 : No, the Sun is a hot lemon.

[ Everyone started laughing.] 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

SCENE : TWO 

Stage preparation : There will be a large glass window on one side of the stage. The entire middle stage will be completely empty. 
As the curtain rose, several students are seen looking out of the large glass window. 

Student 1 : Ready ? 

Student 2 : Ready. 

Student 1 : Now ? 

Student 2 : Very soon . 

Student 3 : Will it happen today, will it ? 

Student 2 : Look, look , see for yourself. 

Student 4 : But I don’t see anything. It is continuously raining outside. 

Student 5 : Yes , it is still raining. But what are you looking for ?   

Student 1 : Sun . We are looking for the Sun as the ma’am said yesterday. 

Student 4 : But do you remember the Sun ? 

Student 1 : No, when the Sun came out last time seven years ago, we were all too young, only two years old. No one of us can recall the Sun when it came out seven years back , for just an hour and showed its face to the stunned world.   

Student 2 : Look, look , the rain is slackening. 

Student 1 : Where is our teacher ? 

Student 4 : She’ll be back.

Student 1 : She must hurry or she’ll miss it. 

Student 2 : The rain slackened still more.    

Student 2 : Look, look, the rain has stopped.   

Student 1 : Yes, it is. 

Student 3 : It is like a hurricane has lost its sound.  

Student 4 : There is silence everywhere outside. 

Student 1 : The silence is so immense one would feel as if ears have been stuffed.
 
Student 2 : We should go outside of this room and enjoy the sun and nature. 

Student 1 & 4 : Yes, we should go outside. 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.


SCENE : THREE 

[ The stage is now brightly lit. Everyone came out of the room. They are looking at the sky, playing with each other, laughing , jumping and singing. Now their teacher is there on the stage. ]

Student 1 : Wow, the sun is looking like a flaming bronze and it is very large. 

Student 2 : The sky around it is blazing blue.   

Teacher : Now , don't go too far, you’ve only an hour, you know.

[ The children are running and turning up their faces to the sky to feel the warm sun on their cheeks. They take - off their jackets and let the sun warm their arms.] 

Student 1 : Oh, it’s better than lamplights, isn’t it ? 

Student 2 & 3 : Much , much better. 

[ They all started running and jumping and laughing again. Some of them are playing hide and seek. A few moments later , suddenly a girl - student stopped running and wailed. Everyone stops whatever they are doing. Everyone has gathered now around that girl student. The girl is standing still and holding out her hands. ] 

The girl student : Oh, look, look. 

[ She is now trembling. All the students gathered slowly to look at her opened palm. 

Student 1 : Oh, my god, it is a single large raindrop. 

[ The girl started crying looking at her hands. All the students glanced quickly at the sky. The lights on the stage began to dim.  The sound of a storm starting from the background. There is frequent loud thunder. The students are now looking very very sad. Their smiles have vanished. ] 

Teacher : Now , go to your underground houses, you are not safe here. And in no time this place will become terrifying. So go , hurry-up. 

[ All the students quickly entered their room. Again,  several students are seen looking out of the large glass window. In the background, the sound of storms and thunder became louder. The light went down completely. Only the children's faces are visible now. ] 

Student 1 : Will it be seven more years before the sun comes out again ?

Teacher : Yes. 

[  Now only sounds of storm and thunder are heard. The curtain slowly came down. ] 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

 LIST OF ALL PROJECTS CLICK HERE

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

Test Papers এর উত্তর পেতে এখানে CLICK করো। 

অধ্যায়ভিত্তিক MCQ ও SAQ - CLICK HERE
Share
Tweet
Pin
Share
No comments
Newer Posts
Older Posts

Contact Form

Name

Email *

Message *

About me

Hellow viewers, myself Nandan Dutta reside at Maheshpur ,Malda, West Bengal, India.

My intent to make the website is to share my view and knowledge to the HS students. They can easily find projects, HS suggestion and many more here.


Categories

  • Career (2)
  • CLASS 11 (XI) (1)
  • Class XI 1st Semester (7)
  • CLASS XI 2nd Semester (16)
  • H.S. 3rd SEM (8)
  • H.S. EDUCATION (5)
  • H.S. HISTORY (1)
  • HS SOCIOLOGY (2)
  • HS SUGGESTION (1)
  • INDIAN HISTORY (30)
  • NCERT (1)
  • POLITY (61)
  • PROJECT (96)
  • Sociological Studies (79)
  • Teaching & Education (128)
  • TEST PAPERS SOLVE (11)
  • TEST PAPERS SOLVE 2020 (7)
  • WORLD HISTORY (53)
  • XI EDUCATION (7)
  • XI HISTORY (3)
  • XI POL SC (1)
  • XI SOCIOLOGY (1)
  • XII Bengali (1)
  • XII Sanskrit (1)

recent posts

Sponsor

Facebook

Blog Archive

  • July 2025 (13)
  • June 2025 (4)
  • May 2025 (23)
  • April 2025 (75)
  • March 2025 (32)
  • December 2024 (5)
  • November 2024 (70)
  • October 2024 (1)
  • September 2024 (1)
  • July 2024 (5)
  • June 2024 (3)
  • April 2024 (2)
  • March 2024 (3)
  • February 2024 (11)
  • January 2024 (1)
  • November 2023 (4)
  • October 2023 (8)
  • September 2023 (10)
  • April 2023 (9)
  • March 2023 (18)
  • February 2023 (2)
  • January 2023 (1)
  • December 2022 (3)
  • November 2022 (3)
  • October 2022 (4)
  • September 2022 (16)
  • August 2022 (3)
  • July 2022 (5)
  • June 2022 (5)
  • April 2022 (23)
  • March 2022 (10)
  • February 2022 (18)
  • January 2022 (30)
  • December 2021 (8)
  • November 2021 (12)
  • October 2021 (2)
  • September 2021 (5)
  • August 2021 (2)
  • July 2021 (2)
  • June 2021 (5)
  • May 2021 (1)
  • April 2021 (2)
  • November 2020 (1)
  • October 2020 (1)
  • August 2020 (2)
  • June 2020 (3)
  • May 2020 (1)
  • October 2019 (3)
  • September 2019 (5)
  • August 2019 (3)
  • June 2019 (3)
  • May 2019 (3)
  • April 2019 (1)
  • March 2019 (2)
  • February 2019 (3)
  • December 2018 (1)
  • November 2018 (3)
  • October 2018 (4)
  • August 2018 (1)

Total Pageviews

Report Abuse

About Me

subhankar dutta
View my complete profile

Sponsor

Pages

  • Home
  • Project
  • জাতীয় শিক্ষানীতি 1986 SAQ
  • EDU FINAL A 2020
  • Class XI ( Class 11 ) Sociology chapter wise MCQ &...
  • Class 12 (H.S.) History Chapter Wise MCQ & SAQ
  • Class 11 (XI) Sociology 1st chapter MCQ & SAQ
  • H.S. Sociology notes .
  • H.S. Sociology 1st chapter MCQ & SAQ ( only reduce...
  • H.S. Education 10th chapter SAQ & MCQ
  • H.S. Education 10th chapter MCQ & SAQ
  • CLASS 12 SOCIOLOGY 4TH CHAPTER SAQ WITH ANSWER

Pages

  • About Me
  • Contact
  • Privacy Policy
  • Disclaimer

Created with by ThemeXpose | Distributed by Blogger Templates