সংস্কৃত প্রকল্প : কোণার্কের সূর্য মন্দির।
সংস্কৃত প্রকল্প : কোণার্কের সূর্য মন্দির।
উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত প্রকল্প : কোণার্কের সূর্য মন্দির।
কোণার্কের সূর্য মন্দির বিষয়ে প্রকল্প নির্মাণ।
সংস্কৃত প্রকল্প : কোণার্কের সূর্যমন্দির।
ভূমিকা : -
ভারত সারা বিশ্বের প্রেক্ষাপটে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির আধার। যুগে - যুগে এদেশে বিভিন্ন জাতির আগমন ঘটেছে এবং সেইসকল সংস্কৃতির সংমিশ্রনে ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধশালী হয়েছে। প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন স্থাপত্য নিদর্শন , মন্দির , সৌধ - ইত্যাদি ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। এরকমই একটি ঐতিহ্যমন্ডিত স্থাপত্য নিদর্শন হল কোণার্কের সূর্য মন্দির। ভারতীয় সভ্যতা ও সভ্যতার চমৎকারিত্বে উল্লিখিত স্থাপত্য নিদর্শনটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। প্রাচীনত্ব , গঠনশৈলী , অভিনবত্ব , ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট - ইত্যাদি ক্ষেত্রে কোণার্কের সূর্যমন্দির সমগ্র বিশ্ববাসীর মনে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান প্রকল্পটিতে উল্লিখিত স্থাপত্য নিদর্শনটির সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী গুরুত্ব এবং বর্তমান ভারতীয় সভ্যতা এই স্থাপত্য নিদর্শনটির দ্বারা কতখানি প্রভাবিত হয়েছে - সে সম্পর্কে তথ্য - সমৃদ্ধ আলোচনা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি জানার ক্ষেত্রে কোণার্কের সূর্য মন্দির কীভাবে শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করে - সে সম্পর্কেও আলোকপাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। সর্বোপরি , প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্য , প্রাচুর্য ও বৈভবের ইতিহাস এবং তার সঙ্গে সঙ্গে উন্নত ও সমৃদ্ধ শিল্পরীতির ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে এই প্রতিবেদনমূলক প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে - এমনটা আশা করা যেতে পারে।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য :-
যেসকল উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রকল্পটি রূপায়ণ করা হয়েছে - সেগুলি হল -
১. ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম নিদর্শন কোণার্কের সূর্য মন্দির সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
২. কোণার্কের সূর্য মন্দিরের স্থাপনা ও সেই সংক্রান্ত ইতিহাস সম্পর্কে জানা।
৩. ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে কোণার্কের সূর্য মন্দির কতটা তাৎপর্যপূর্ণ - তা বিচার করা।
৪. কোণার্কের সূর্য মন্দিরের গঠনশৈলী ও শিল্প বিচার করা।
৫. বর্তমান ভারতীয় সভ্যতায় কোণার্কের সূর্যমন্দিরের অবস্থান নির্ণয় করা।
৬. প্রাচীন ভারতীয় স্থাপত্যরীতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা।
৭. প্রাচীন ভারতীয় শিল্প - স্থাপত্যের উৎকর্ষতার ইতিহাস আলোচনা করা।
৮. প্রাচীন ভারতীয় স্থাপত্যরীতিতে ধর্মীয় প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা।
৯. মন্দিরের দৈনন্দিন কার্যাবলী ও সাধারণ প্রশাসন সম্পর্কে অবহিত হওয়া।
১০. সর্বোপরি , প্রাচীন ভারতীয় শিল্প সংস্কৃতি ও কোণার্কের সূর্য মন্দির সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কৌতূহলী করে তোলা।
প্রকল্পের গুরুত্ব :-
যেসকল কারণে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতে পারে , সেগুলি হল -
১. প্রকল্পটির মাধ্যমে কোণার্কের সূর্য মন্দির সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব।
২. প্রকল্পটিতে কোণার্কের সূর্য মন্দিরের শিল্পরীতি ও গঠনশৈলী আলোচনা করা হয়েছে। তাই প্রকল্পকর্মটি গুরুত্বপূর্ণ।
৩. প্রকল্পটির মাধ্যমে তৎকালীন সময়ের জীবনযাত্রা ও আর্থ - সামাজিক ব্যবস্থার পরিচয় পাওয়া যায়। তাই ঐতিহাসিক উপাদান হিসাবেও প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ।
৪. বর্তমান সময়কালে ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে কোণার্কের সূর্য মন্দিরের প্রভাব সম্পর্কে জানতে প্রকল্পটি কার্যকর।
৫. প্রাচীন ভারতীয় শিল্পরীতি ও স্থাপত্য উৎকর্ষতা সম্পর্কে জানতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কর্মপরিকল্পনা / পদ্ধতিগত দিক :-
প্রকল্পটি নির্মাণ করতে যেসকল পদ্ধতি ও পরিকল্পনা অনুসরণ করা হয়েছে সেগুলি হল -
>> বিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিষয়ের মাননীয় শিক্ষক / মাননীয়া শিক্ষিকা X মহাশয় / মহাশয়া কর্তৃক প্রকল্পের বিষয়বস্তু নির্বাচন।
>> বিষয় নির্বাচনের পর মাননীয় শিক্ষক মহাশয় / মাননীয়া শিক্ষিকা মহাশয়া - প্রকল্প রূপায়ণের জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতিগত দিকগুলি সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
>> মাননীয় শিক্ষক মহাশয় / মাননীয়া শিক্ষিকা মহাশয়া - র নির্দেশমত বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠ করে প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
>> সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে একটি খসড়া প্রতিবেদন রচনা করে সেটি মাননীয় শিক্ষক / মাননীয়া শিক্ষিকার নিকট উপস্থাপন করা হয় এবং তিনি প্রয়োজনীয় সংশোধনের নির্দেশ প্রদান করেন।
>> মাননীয় শিক্ষক / মাননীয়া শিক্ষিকার নির্দেশমত প্রয়োজনীয় সংশোধনের পর পুনরায় প্রকল্পটি প্রস্তুত করা হয়।
>> প্রয়োজনীয় চিত্র সংগ্রহ করে সেগুলি প্রতিবেদনে সংযোজিত করা হয়।
>> পূর্ণাঙ্গ প্রকল্পটি বিদ্যালয়ে জমা দেওয়া হয়।
তথ্য সংগ্রহ / পরীক্ষামূলক উপাদান :-
কোণার্কের সূর্য মন্দির :-
ভারতের সপ্ত আশ্চর্যের তালিকার মধ্যে কোণার্কের সূর্য মন্দির একটি অন্যতম নিদর্শন। এটি পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে ৩৫ কিমি এবং ভুবনেশ্বর থেকে ৬৫ কিমি দূরে অবস্থিত। মন্দিরটি ত্রয়োদশ শতকে নির্মিত হয় এবং এর নির্মাতা ছিলেন গঙ্গা বংশের নরসিংহদেব। আনুমানিক ১২৫৫ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটি নির্মিত হয়। মন্দিরটি সামগ্রিকরূপে একটি অতিকায় রথের ন্যায় এবং সম্পূর্ণ প্রস্তর দ্বারা তা নির্মিত। মন্দিরটি সূর্য দেবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। কোণার্ক শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ 'কণা ' থেকে। বর্তমানে মন্দিরটি '' UNESCO ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট '' এর অন্তর্ভুক্ত। তবে মন্দিরটির প্রধান অংশ বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত। ইউরোপীয় নাবিকরা এটিকে '' ব্ল্যাক প্যাগোডা '' নামে অভিহিত করতেন। কোণার্কের সূর্য মন্দিরের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট হল - স্তম্ভের ব্যবহার।
নির্মাতা : নরসিংহদেব :- গঙ্গা বংশের রাজা নরসিংহদেবের রাজত্বকাল ছিল ১২৩৮ থেকে ১২৬৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে। স্থানীয় লোককথা অনুসারে রাজা নরসিংহদেব মন্দির নির্মাণের জন্য বিশু মহারাণা নামক প্রধান স্থপতিকে অর্থ প্রদান করেন ও বারো বছরের মধ্যে মন্দিরের নির্মাণকার্য সমাধা করতে হবে - এইরূপ নির্দেশিকা জারি করেন। কিন্তু বারো বছর ধরে বারোশত শ্রমিক নিয়োগ করেও মন্দিরের নির্মাণকার্য সম্পূর্ণ করা যায়নি। মন্দিরের প্রায় পুরোটাই নির্মিত হলেও মন্দিরের মুকুট বা চূড়া - টি নির্মিত হয়নি। তখন অধৈর্য্য হয়ে রাজা নরসিংহদেব নির্দেশিকা জারি করেন তিন দিনের মধ্যে মন্দিরের নির্মাণকার্য সমাপ্ত না হলে সমস্ত কারিগরদের প্রাণদন্ড দেওয়া হবে। এমতাবস্থায় প্রধান স্থপতির পুত্র ধর্মপুত্র মন্দিরের সম্মুখভাগে আরোহন করে গম্বুজের চূড়া নির্মাণকার্য সমাপ্ত করেন।
মন্দিরের সংরক্ষণ :- প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরটি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন। এছাড়াও এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল মন্দিরটি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল - এর অনুরোধে মন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকে পাথর সরানো যাবেনা - এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়। এছাড়াও ১৯০৩ সালে বাংলার তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নর জে বরডিলন মন্দির সংলগ্ন অঞ্চল সিল করে দিয়ে বিভিন্ন ক্ষয়প্রাপ্ত এলাকা গুলিকে বালি দিয়ে ভরাট করার নির্দেশ প্রদান করেন।
মন্দিরের নির্মাণশৈলী :- কোণার্কের সূর্য মন্দির নির্মাণগত দিক দিয়ে একটি অতিকায় রথের ন্যায়। মন্দিরের নীচে প্রস্তর দ্বারা বারো জোড়া চাকা নির্মিত হয়েছে। এছাড়াও মন্দিরের সামনে সাতটি ঘোড়া বা অশ্ব নির্মিত হয়েছে প্রস্তর দ্বারা। সামগ্রিকভাবে মন্দিরটি নির্মাণের ক্ষেত্রে রথের আকার দেওয়া হয়েছে। মূল মন্দিরটির উচ্চ বিমান বা জগমোহন - যা ছিল দর্শকদের জন্য একটি বিরাট হলঘরের স্বরূপ - তাকে ১২৮ ফুট বা ৩৯ মিটার নামিয়ে আনা হয়। মন্দিরটিতে এখনও বর্তমান আছে - তার প্রধান পরিকাঠামো , নাটমন্দির এবং ভোগমন্ডপ।
কোণার্কের সূর্যমন্দিরের ভাস্কর্য পরিচিত প্রেমমূলক বা , মৈথুন রীতির জন্য। মন্দিরটি মূলতঃ কলিঙ্গ স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত। এছাড়াও মন্দিরটির নিকটবর্তী অঞ্চলে দুটি ছোট মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে যার মধ্যে একটি হল মায়াদেবীর মন্দির। এটি মূল মন্দিরের দরজা থেকে দক্ষিণ - পশ্চিমে অবস্থিত। মূল মন্দিরের ভাস্কর্য সৌন্দর্য উপলব্ধি করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন - '' এখানে পাথরের ভাষা মানুষের ভাষা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।''
এছাড়াও , মন্দির চত্বরে সূর্যের সঠিক সময় নিরুপনের জন্য একটি Sundial নির্মিত আছে। এথেকে অহোরাত্র সঠিক সময় নিরুপন করা যেতে পারে।
তথ্য - বিশ্লেষণ / প্রকল্পের ব্যাখ্যা :-
উপরোক্ত তথ্যগুলিকে নীচে বিশ্লেষণ আকারে উপস্থাপন করা হল।
১. স্থাপত্যকলার ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে সারা বিশ্বে ভারতের স্থান শিখরস্থানীয় - এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
২. কোণার্কের সূর্য মন্দির হল ভারতীয় প্রাচীন স্থাপত্য ইতিহাসে অতি উৎকৃষ্ট একটি স্থাপত্য নিদর্শন।
৩. ত্রয়োদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাজা নরসিংহদেব কর্তৃক মন্দিরটি নির্মিত হয়।
৪. প্রাচীনত্ব , গঠনশৈলী , অভিনবত্ব , ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট - ইত্যাদি ক্ষেত্রে কোণার্কের সূর্য মন্দির বিশ্ববাসীর মনে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
৫. ভারতের সপ্ত আশ্চর্যের তালিকার মধ্যে কোণার্কের সূর্য মন্দির একটি।
৬. এছাড়াও এই স্থাপত্য নিদর্শনটি UNESCO ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট - হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
৭. এই মন্দিরটি ব্ল্যাক - প্যাগোডা নামেও পরিচিত। এইরূপ নামকরণ করেছিলেন ইউরোপীয় বণিকরা।
৮. মন্দিরে স্তম্ভের ব্যবহার মন্দিরটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট।
৯. কোণার্কের সূর্য মন্দির নির্মাণগত দিক দিয়ে একটি অতিকায় রথ আকৃতির। এর প্রস্তর নির্মিত ১২ জোড়া চাকা ও সাতটি অশ্ব - মন্দিরটিকে রথের আকৃতি প্রদান করেছে।
১০. স্থাপত্য নিদর্শনটি মূলতঃ কলিঙ্গ শৈলী অনুসারে নির্মিত হয়েছে।
১১. মন্দিরের দেওয়ালগাত্রে উৎকীর্ণ অসংখ্য ভাস্কর্যগুলিও মন্দিরের শোভা বৃদ্ধি করেছে। এই ভাস্কর্য গুলির মূল বিষয়বস্তু হল মৈথুনের সৌন্দর্য।
১২. মন্দির প্রাঙ্গনে Sundial টি তৎকালীন ভারতের উৎকৃষ্ট বিজ্ঞান চেতনার প্রতীক।
১৩. বিশ্বের দরবারে ভারতীয় স্থাপত্যের উৎকর্ষতা প্রমাণ করতে মন্দিরটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
১৪. ধর্মীয় ভাবাবেগ ও ধর্মীয় প্রথাগত দিক দিয়ে বিচার করলে মন্দিরটির গুরুত্ব আজও অটুট।
১৫. সর্বোপরি , কোণার্কের সূর্য মন্দির প্রাচীন ভারতের স্থাপত্যকীর্তি , স্থাপত্যরীতি , ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতিনিধিস্বরূপ। প্রাচীন ভারতের প্রাচুর্য ও ঐশ্বর্য এই স্থাপত্যকীর্তির মাধ্যমে সহজেই প্রমাণিত হয়।
উপসংহার :-
ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির ইতিহাসে কোণার্কের সূর্য মন্দির উৎকৃষ্ট উপাদান। স্থাপত্য শিল্পের ক্ষেত্রে প্রাচীন ভারতের স্থাপত্যকীর্তিগুলি বিশ্বের অপরাপর স্থাপত্যকীর্তিগুলির মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার। কোণার্কের সূর্য মন্দির সেই দাবীকে আরো দৃঢ় ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করে। নির্মাণকাল থেকে বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত তার গুরুত্ব আজও অমলিন।
সীমাবদ্ধতা :-
প্রকল্পটি রূপায়নকালে এবং রূপায়িত হওয়ার পর যেসকল ত্রুটি - বিচ্যুতি ও সীমাবদ্ধতা দৃষ্টিগোচর হয়েছে - সেগুলি হল -
১. প্রকল্প রচনার ক্ষুদ্র পরিসরে কোণার্কের সূর্য মন্দির সংক্রান্ত প্রতিবেদনমূলক প্রকল্প রচনার সময় সকল বিষয়গুলি যথার্থ ও বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়নি।
২. তথ্যের উপস্থাপন সংক্ষিপ্ত আকারে করা হয়েছে।
৩. বর্তমান সময়কালে ভারতীয় সমাজ ও সভ্যতায় কোণার্কের সূর্য মন্দিরের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা অতি সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে।
৪. কোণার্কের সূর্য মন্দির সম্পর্কে সংস্কৃত পন্ডিতবর্গের মতামত সীমিত আকারে উপস্থাপিত হয়েছে।
গ্রন্থপঞ্জি / তথ্য সূত্র :-
যেসকল গ্রন্থগুলি থেকে প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে - সেগুলি হল -
(ক ) A Textbook of Medieval Indian History - শৈলেন্দ্র সেন।
(খ ) কোণার্ক সূর্য মন্দির (অফিসিয়াল ওয়েবসাইট), পর্যটন বিভাগ, ওড়িশার সরকার।
(গ ) সূর্য মন্দির, বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। UNESCO .
List of Subjects -
[ Just CLICK on the subjects below to get all the projects / notes ]
0 comments