class 11 (xi) bengali project

by - November 06, 2021

বাংলার খেলাধুলো - বর্তমান ছবি। 


ভূমিকা :- 

বাঙালির নিজস্ব ক্রীড়াশৈলীর প্রকৃত রূপ আজ খুঁজে বের করা অত্যন্ত কঠিন। কারণ পাল যুগের পরবর্তী মহামারি ও মন্বন্তর ছাড়াও হিন্দু - বৌদ্ধ সংঘর্ষ , তুর্কি বিজয় এবং ইংরেজ উপনিবেশ সামগ্রিকভাবে বাঙালির ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় হাজার বিচ্ছেদ রচনা করেছে। ক্রীড়া বেঁচে থাকে প্রতিদিনের অভ্যাসের পুনরাবৃত্তিতে। নৈমিত্তিক অভ্যাস ব্যাহত হলে ক্রীড়াসংস্কৃতিতে বিকার আসাটাই স্বাভাবিক। বাঙালির ইতিহাসের সূত্র ছিন্নবিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণেই আজ তার নিজস্ব ক্রীড়া সংস্কৃতির আদিপর্ব স্বাভাবিক ক্ষেত্রে অর্থাৎ মাঠে ময়দানে খুঁজে পাওয়া যাবে না। 

তবে তার সাথে সাথে একথাও বলতে হয় যে , জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাঙালি তার প্রতিভার পরিচয় দিয়ে আসছে। বর্তমান প্রকল্পটিতে বাঙালির বর্তমান ক্রীড়া অভ্যাস ও তার পরিচয় প্রসঙ্গে আলোচনা করার সাথে সাথে ক্রীড়া জগতে সম্ভাবনাময় প্রতিভাদের সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।           


প্রকল্পের উদ্দেশ্য :- 
যে সকল উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রকল্পটি রচনা করা হয়েছে সেগুলি নিম্নরূপ - 
১. প্রকল্পটির মাধ্যমে বাংলার বর্তমান ক্রীড়া সংস্কৃতি সম্পর্কে আলোকপাত করা। 
২. ক্রীড়া জগতে নতুন নতুন বাঙালি প্রতিভাদের সম্পর্কে আলোচনা করা। 
৩. জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাঙালিদের সাম্প্রতিক সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরা। 
৪. ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা ও তার সম্ভাব্য সমাধানের ওপর আলোকপাত করা। 
৫. বর্তমান প্রজন্ম ক্রীড়া ক্ষেত্রে কতটা আগ্রহী তা পর্যালোচনা করা। 

প্রকল্পের গুরুত্ব :- 
যেসকল কারণে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতে পারে সেগুলি হল - 
১. প্রকল্পটির মাধ্যমে বাংলার বর্তমান ক্রীড়া চর্চা সম্পর্কে জানা সম্ভব। 
২. প্রতি বছরই নতুন নতুন প্রতিভার বাংলার ক্রীড়া জগতে উঠে আসছে। সেই সকল উঠতি প্রতিভাদের সম্পর্কে জানতে প্রকল্পটি অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। 
৩. জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাঙালিরা সাম্প্রতিককালে যেসকল সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে - সে সম্পর্কে জানতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ। 
৪. আধুনিক প্রজন্মের ছাত্র ছাত্রীরা ক্রীড়া ক্ষেত্রে কতটা আগ্রহী তা জানতে প্রকল্পটি তাৎপর্যপূর্ণ। 
৫. সর্বপরি প্রকল্পটির মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের ক্রীড়াক্ষেত্রে আগ্রহ ও কৌতূহল বৃদ্ধি ঘটতে পারে। 

প্রকল্পের বর্ণনা ( তথ্য সংগ্রহ ) :- 

বাংলার খেলাধুলো - বর্তমান ছবি। 

বর্তমান প্রজন্মে বাঙালিদের মধ্যে একঝাঁক তারকা ও উঠতি তারকা রয়েছেন যাঁরা ক্রীড়া জগতে নিজ নিজ সাফল্যের পরিচয় দিয়ে আসছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন সম্পর্কে আলোচনা করা হল। 

সুনীল ছেত্রী : সাফল্যের অপর নাম :- 
বয়স ৩৭ হলেও সুনীল ছেত্রী ভারতের বর্তমান ফুটবল গরিমার পতাকাবাহক। মূলতঃ তাঁকে রোলমডেল করেই ভারতীয় ফুটবলে উঠে আসছে একের পর এক খেলোয়ার। আন্তর্জাতিক স্তরে তিনি প্রায় ৮০ টি গোল করে তিনি প্রায় মেসিকে ছুঁয়ে ফেলেছেন ভারতীয় ফুটবল বর্তমানে যে উজ্জ্বল আলোর সন্ধান পেয়েছে তার পেছেন সুনীলের অবদান অনস্বীকার্য। মনে করা হচ্ছে ২০২৩ এ এ এফ সি এশিয়ান কাপ খেলে এবং সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেই এই ফুটবল তারকা অবসর নেবেন। 

আদিত্য ও সৈকত : ব্যাডমিন্টনের সেরা জুটি :- 
দুজনেই বাংলার রাজ্য ব্যাডমিন্টনের পরিচিত মুখ। একজন আদিত্য মন্ডল , অন্যজন সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি সিনিয়র রাজ্য র‍্যাঙ্কিং ব্যাডমিন্টনে ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নজর কাড়ল এই জুটি। এই দুজনেই বর্তমানে অনুর্দ্ধ ১৯ পর্যায়ের খেলোয়াড়। ইতিপূর্বে অনুর্দ্ধ ১৭ পর্যায়ে এই দুজনে ভারতের হয়ে এশিয়ান ব্যাডমিন্টনে অংশ নিয়েছিলেন। দুজনের চোখেই বর্তমানে রয়েছে অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন। 

উইম্বলডন জিতে শিরোনামে সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় :- 
অতীতে এক বাঙালি খেলোয়াড় ফাইনালে উঠেও জুনিয়র উইম্বলডন খেতাব জিততে পারেননি। বহু বছর পর এবার জুনিয়র উইম্বলডন বয়েজ সিঙ্গলসে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেই সাফল্যকে ছুঁয়ে ফেললেন অপর এক বাঙলি। জুনিয়র উইম্বলডন জিতে আমেরিকার নিউ জার্সির প্রবাসী বাঙালি , উঠতি টেনিস খেলোয়াড় সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় এখন খবরের শিরোনামে। সম্প্রতি কলকাতায় ঘুরে যাওয়া সমীরের সাফল্যের আঁচ লেগেছে বঙ্গ ক্রীড়া জগতেও। 

সুতীর্থা মুখার্জি : টেবিল টেনিসের উঠতি তারকা :- 
বাংলার টেবিল টেনিসে মান্তু ঘোষ , অনিন্দিতা চক্রবর্তী , পৌলমী ঘটক , অঙ্কিতা দাস , মৌমা দাসের পর এখন একমাত্র উজ্জ্বল মুখ সুতীর্থা মুখার্জি। বিশ্বের ৯৫ স্থানের অধিকারিণী সুতীর্থা দোহায় অনুষ্ঠিত অলিম্পিক গেমসের কোয়ালিফায়িং ম্যাচে মণিকা বাত্রাকে হারিয়ে টোকিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণের ছাড়পত্র পেয়েছিলেন। স্লাভাস্কিয়ায় ওপেন টি টি এবং সাউথ জুনিয়র এশিয়ান টি টি চ্যাম্পিয়নশিপে মোট ৬ টি স্বর্ণপদক লাভ করেন। এছাড়া রয়েছে অসংখ্য ব্রোঞ্জ পদক এবং কমনওয়েলথ গেমসের স্বর্ণপদক। 

ভলিবল : ঋত্বিকা সাঁতরা :- 
এ বছর রাজ্য ভলিবলে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য যোগ্য খেলোয়াড় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন ব্যান্ডেল কোদালিয়া গ্রামের ঋত্বিকা সাঁতরা। রাজ্য ভলিবল সুপার ডিভিশন লিগ এবং নকআউট টুর্নামেন্টে জোড়া খেতাব অর্জন করেছে সালকিয়া অ্যাসোসিয়েশন ; এবং এই সাফল্যের নেপথ্যে ছিল ঋত্বিকার অশেষ অবদান। এ বছর তিনি জাতীয় সিনিয়র দলে বাংলার ক্যাপ্টেন ছিলেন। ফলস্বরূপ বাংলার ঘরে এসেছে ব্রোঞ্জ পদক। তার আগে জাতীয় ইয়ুথ মিটে কেরল দলকে হারিয়ে জিতেছেন স্বর্ণ পদক। এছাড়া গত মরসুমে ফেড কাপে সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হয়েছে ব্রোঞ্জ পদক। 

কবাডি : বর্ষা মন্ডল :- 
এ বছর আন্তঃজেলা কবাডি টুর্নামেন্টে হাওড়াকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে চন্দননগর ; আর এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই উঠে এসেছে গ্রাম্য পরিবারের মেয়ে বর্ষা মন্ডলের নাম। বর্ষার বুদ্ধিদীপ্ত কৌশল , পারদর্শিতা কবাডি জগতে ত্রাস হয়ে উঠেছে। প্রায় আট বছরের অভিজ্ঞতায় ইতিমধ্যেই বর্ষা জেলা স্তর থেকে রাজ্য দলে উন্নীত হয়েছেন। এছাড়াও বাংলার স্কুল দল , জাতীয় সাবজুনিয়র কবাডি চ্যাম্পিয়নশিপের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় বর্ষা। 

খো খো : দীপিকা চৌধুরী :- 
বাংলার মেয়ে দীপিকা চৌধুরী এখন দেশের প্রথম সারির খো খো খেলোয়াড়। আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় দীপিকার দক্ষতায় বাংলার ঘরে এসেছে ১২ টি পদক। জাতীয় সাবজুনিয়র , জুনিয়র , সিনিয়র এবং সাউথ এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়ে একটি স্বর্ণপদক সহ মোট ১২ টি পদক জয়ে প্রধান ভূমিকা ছিল দীপিকার। তেঁতুলতলা জাগরণী সংঘের কোচ রাজেশ দত্ত দীপিকার স্বপ্নপূরণের লড়াইয়ে সবসময় পাশে থেকেছেন। 

প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা প্রাক্তন ভারতীয় জাতীয় নির্বাচক দেবাং গান্ধীকে বাংলার অনুর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ নির্বাচিত করা হল :- 
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা প্রাক্তন ভারতীয় জাতীয় নির্বাচক দেবাং গান্ধীকে বাংলার অনুর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ নির্বাচিত করা হল। প্রায় এক মাস ধরেই এই বিষয়ে জল্পনা চলছিল। মঙ্গলবার সিএবির তরফে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য বাংলার এই প্রাক্তন ওপেনার ব্যাটসম্যান ভারতের হয়ে ৪ টেস্ট ম্যাচেও খেলেছেন। এছাড়াও তিনি ৯৫ টি প্রথম শ্রেনীর ম্যাচ, ৯৮ টি লিস্ট-এ ম্যাচে খেলেছেন। উল্লেখ্য দেবাং গান্ধীর পাশাপাশি বর্তমান সিএবি নির্বাচক এবং প্রাক্তন বাংলার রঞ্জি ক্রিকেটার শুভময় দাসও এই কোচ হওয়ার দৌড়ে ছিলেন।

আই লিগে বড় জয় পেল মোহনবাগান :- 
আই লিগে বড় জয় পেল মোহনবাগান। বারাসতে  সালগাঁওকরকে চার-দুই গোলে হারিয়ে দিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম ম্যাচে আইজলকে তিন গোল দেওয়ার পর গোয়ার দলটিকেও চার গোল দিল সঞ্জয় সেনের দল। পরপর দুম্যাচে গোল পেলেন গ্লেন,বলবন্ত। সবুজ-মেরুন জার্সিতে প্রথম ম্যাচেই গোল পেলেন ব্রাজিলীয় ডিফেন্ডার লুসিয়ানোও। তবে এত কিছুর পরও ডার্বির আগে ডিফেন্স নিয়ে চিন্তা থেকেই গেল মোহনবাগান কোচের। আটচল্লিশ মিনিটে চার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দু গোল হজম করতে হল বাগান ডিফেন্সকে। আগের ম্যাচের মতই সালগাঁওকরের বিরুদ্ধেও প্রথমার্ধটা ছিল মোহনবাগানেরই। প্রথম মিনিটেই পেনাল্টি পেতে পারত সবুজ-মেরুন। তবে আট মিনিটের মধ্যেই গোল করে সবুজ-মেরুনকে এগিয়ে দেন কাতসুমি। বাইশ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান কর্নেল গ্লেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই হেডে সবুজ-মেরুন জার্সিতে নিজের প্রথম গোলটা করে যান লুসিয়ানো। তখন মাঠ জুড়ে শুধুই সবুজ-মেরুন জার্সির দাপট। জ্যাঁকিচাদ-হাওকিপ-ডাফিদের সেভাবে দাঁত ফোটাতে দেননি শৌভিক-প্রণয়রা। 


তথ্য বিশ্লেষণ :- 
উপরোক্ত সংগৃহিত তথ্যগুলিকে নীচে বিশ্লেষণ আকারে উপস্থাপন করা হল। 

১. ক্রিকেট , ফুটবল ইত্যাদি খেলাগুলি অত্যন্ত জনপ্রিয় হলেও অন্যান্য বিভিন্ন খেলাগুলিও যেমন - ব্যাডমিন্টন , টেবিল টেনিস , লন টেনিস , কবাডি , খো খো - ইত্যাদিতেও বর্তমান প্রজন্মের বাঙালিদের আগ্রহ সাফল্য উল্লেখ করার মত। 

২. বর্তমান প্রজন্মের বাঙালি খেলোয়াড়দের সাফল্যের ধারা অব্যাহত থেকেছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও। 

৩. বর্তমানে বিভিন্ন খেলাগুলিতে বাঙালিদের সাফল্য বহু নতুন খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করছে ; যার ফলে আমরা অনেক নতুন প্রতিভাকে বাংলার ক্রীড়াঙ্গনে দেখতে পাচ্ছি। 

৪. যে সকল খেলোয়াড়রা বর্তমানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের সাথে যুক্ত , তাদের প্রায় প্রত্যেকের অর্থাভাব লক্ষ্য করা যায়। যার ফলে আমরা প্রতি বছর বহু বাঙালি প্রতিভাকে হারিয়ে যেতে দেখছি। 

৫. যে পরিমান অর্থানুকূল্য ক্রিকেট , ফুটবল ইত্যাদি জনপ্রিয় খেলা ও খেলোয়াড়রা পেয়ে থাকেন , অন্যান্য খেলাগুলি এবং তাদের সাথে জড়িত খেলোয়াড়রা ন্যূনতম অর্থানুকূল্য লাভ করেন না। সরকরি সাহায্য , স্পনসরশিপ - ইত্যাদির অভাব হতাশা ও বেদনাদায়ক। 

৬. একমাত্র আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য ও খ্যাতি লাভ করতে পারলেই খেলোয়াড়রা প্রতিষ্ঠা ও অর্থানুকূল্য পেয়ে থাকেন। কিন্তু , অনুশীলন , অংশগ্রহণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের তীব্র অর্থ সংকটের সাথে লড়াই করতে হয়। 

৭. তবে সামগ্রিকভাবে বিচার করলে বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও পাল্টেছে। সরকার ও বিভিন্ন ক্রীড়াপ্রেমী প্রতিষ্ঠান ক্রীড়ার বিস্তার ও খেলোয়াড়দের উন্নয়নকল্পে বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। এছাড়া , বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও জেলায় জেলায় সরকারি তরফে খেলাধুলার প্রতি উৎসাহ প্রদান - ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলার ক্রীড়াজগৎ আজ নতুন রূপে সেজে উঠেছে। 

৮. ক্রিকেট , ফুটবল , ব্যাডমিন্টন , কবাডি , খো খো - ইত্যাদি খেলাতে বাঙালি খেলোয়াড়রা বিশেষ পারদর্শিতার পরিচয় দিয়ে বাঙালির খেলাধূলাকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দিয়েছেন। 

৯. বাঙালির ঐতিহ্যের ইতিহাসে ফুটবল সর্বদাই এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। মোহনবাগান , ইস্টবেঙ্গল , মহামেডান স্পোর্টিং - ইত্যাদি ক্লাবগুলি ফুটবলের সাফল্যময় পরম্পরাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিভিন্ন বণিক সংগঠন , বাণিজ্য সংস্থা ফুটবলের উন্নয়নে এগিয়ে আসছে , যা একটি ইতিবাচক বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে। 

১০. বর্তমানে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমগুলি উঠতি প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের তাৎক্ষণিক সংবাদ পরিবেশন করে বাঙালির ক্রীড়া বিকাশের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। ঐসকল মাধমগুলির মাধ্যমেই আপামর বাঙালি বাংলার বর্তমান ক্রীড়াজগৎ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন। এর ফলে বাংলার ক্রীড়া জগতের আকাশ দ্যুতিময় হয়ে উঠছে। 

উপসংহার :- 
পরিশেষে বলা যায় , ভারতীয় ক্রীড়া জগতে বাঙালিদের এক বিশিষ্ট অবদান রয়েছে। ভারতীয় ক্রীড়ার বিকাশে বাঙালিদের অবদান অনস্বীকার্য। বিশেষ করে ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে বাঙালিদের অবদান সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য। বাংলার বর্তমান প্রজন্ম সেই ধারাকে আজও একইভাবে বহন করে চলেছে। ক্রীড়াজগতের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাঙালিরা সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। 



You May Also Like

0 comments