Pages

Powered by Blogger.

Pages

Pages

Pages

facebook twitter instagram pinterest bloglovin Email
Career CLASS 11 (XI) Class XI 1st Semester CLASS XI 2nd Semester H.S. 3rd SEM H.S. EDUCATION H.S. HISTORY HS SOCIOLOGY HS SUGGESTION INDIAN HISTORY NCERT POLITY PROJECT Sociological Studies Teaching & Education TEST PAPERS SOLVE TEST PAPERS SOLVE 2020 WORLD HISTORY XI EDUCATION XI HISTORY XI POL SC XI SOCIOLOGY XII Bengali XII Sanskrit

Pages

Nandan Dutta

School project and education news.

Pages

H.S. Bengali Project 

পোস্টমাস্টার গল্পের নাট্যরূপ :- 




প্রথম দৃশ্য : - 

মঞ্চ - পরিকল্পনা :- একটি সাধারণ মঞ্চ। মৃদু , কম্পমান বাতির আলো। ঘরে একটি চারপেয়ে। মঞ্চের একপাশে রান্নার জন্য কিছু বাসন ও একটি উনুন। 
দৃশ্যের শুরুতে দেখা যায় পোস্টমাস্টার মঞ্চের খাটিয়াতে বসে আছেন , অস্থির বোধ করছেন। কিছুটা বিরক্ত। 
 
পোস্টমাস্টার : আমার অবস্থা কেমন জানেন তো ! জলের মাছকে ডাঙায় তুললে যেমন হয় , এই গন্ডগ্রামের মধ্যে এসে আমার অবস্থাও ঠিক সেইরকম। ………. গ্রামটি অতি সামান্য , উলারপুর গ্রাম। চাকরিটা পেয়ে পোস্টমাস্টার হিসাবে আমাকে প্রথমেই এই গ্রামে আসতে হয়। কাজ যদিও বিশেষ কিছু নেই , কবিতা - টবিতা লেখার সময়ও পাই ; কিন্তু কেন জানি না গ্রামটার সাথে আমি ঠিক মানিয়ে নিতে পারছি না। আসলে ঝাঁ চকচকে কলকাতা শহরে থেকে অভ্যস্থ আমার মতো একজনের পক্ষে হঠাৎ করে এইরকম একটা গন্ডগ্রামে মানিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। 
 
[ খাটিয়া থেকে উঠে পাশে রাখা কলসি থেকে জল ঢেলে একটু পান করলো। ] 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

খুব ভালো হত , যদি আরব্য উপন্যাসের কোনো দৈত্য এসে এক রাতের মধ্যে এই শাখাপল্লব সমেত সমস্ত গাছগুলো কেটে পাকা রাস্তা বানিয়ে দেয় এবং সারি সারি অট্টালিকা চারপাশে গড়ে ওঠে তাহলে আমার মত আধমরা এই ভদ্রসন্তানটি পুনচ্চঃ নবজীবন লাভ করতে পারে। 
 
তাও ভালো , একটি কাজের মেয়ে পাওয়া গেছে। রতন। বয়স বারো তেরো। পিতৃমাতৃহীন অনাথা বালিকা। এই বালিকা আমার কাজকর্ম করে দেয় , বদলে চারটি খেতে পায়। ওর বিবাহের বিশেষ সম্ভাবনা তো দেখতে পাচ্ছি না।     
রতন  …………. এই রতন  ……...একবার এদিকে আয় তো  ………
 
[ রতন মঞ্চে প্রবেশ করলো। ] 
 
রতন : কী গো বাবু , কেন ডাকছো ? 
 
পোস্টমাস্টার : তুই কী করছিস ? 
 
রতন : এই তো এখনই হেঁসেলের চুলো ধরাতে হবে। 
 
পোস্টমাস্টার : তোর হেঁসেলের কাজ পরে হবে এখন  ……. একবার তামাকটা সেজে দে তো। 
 
[ রতন প্রস্থান করলো এবং অনতিবলম্বে দুটি গাল ফুলিয়ে কলকে তে ফুঁ দিতে দিতে রতন পুনরায় মঞ্চে প্রবেশ করলো। রতনের হাত থেকে কলকেটি পোস্টমাস্টার নিজের হস্তগত করলো। ] 
 
পোস্টমাস্টার : আচ্ছা রতন , তোর মাকে মনে পড়ে ? 
 
রতন : সে অনেক কথা। কতক মনে পড়ে , কতক মনে পড়ে না। মায়ের চেয়ে বাপ আমায় বেশি ভালোবাসতো। বাপকে অল্প অল্প মনে আছে। সারাদিন পরিশ্রম করে বাপ সন্ধ্যাবেলা ঘরে ফিরে আসতো। [ কথাগুলো বলতে বলতে রতন পোস্ট মাস্টারের পায়ের কাছে গিয়ে বসে পড়ে। ] আর আমার এক ছোট ভাই ছিল। আমরা দুইজনে মিলে বর্ষার দিনে ডোবার ধারে ভাঙা ডালকে ছিপ করে মিছিমিছি মাছ ধরা খেলা খেলতাম। এই কথাগুলো কিছু কিছু মনে পড়ে। 
 
[ কিছুক্ষণ দুজনেই চুপ। ] 
 
পোস্টমাস্টার : বাদ দে রতন আজকে আর রান্না করতে হবে না। সকালের বাসি খাবার তো আছেই। কয়েকটা রুটি সেঁকে দে তাহলেই হবে। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

দ্বিতীয় দৃশ্য :- 
 
[ পোস্টমাস্টার এবং রতন মঞ্চে উপবিষ্ট। ] 
 
পোস্টমাস্টার : জানিস রতন , আমারও বাড়ির কথা মনে পড়ে। খুব মনে পড়ে। ছোটভাই , মা আর দিদির কথা। ………… এই জনহীন , সঙ্গীহীন , বন্ধুহীন প্রবাসে যদি তারা কেউ থাকতো , নিজের যদি কেউ থাকতো , স্নেহ করার জন্য মায়ের মতো কেউ থাকতো  ……. তাহলে নিজেকে এতটা অসহায় লাগতো না। 
 
[ রতন এবং পোস্টমাস্টার দুজনেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে। ] 
 
পোস্টমাস্টার : ছাড় এসব কথা। অন্য একটা কথা বলি। …….. বলছি তোর কি পড়াশোনা কিছু শেখা আছে ? 
 
রতন : না গো দাদাবাবু। 
 
পোস্টমাস্টার ( উৎসাহ পেয়ে ) : শোন্ রতন , তোকে আমি প্রতিদিন একটু একটু করা পড়তে শেখাবো পড়বি তো ? 
 
রতন : হ্যাঁ , দাদাবাবু।     
 
তৃতীয় দৃশ্য : - 
 
[ রতন খাটিয়ার উপর শুয়ে আছে। রতন ধীরে ধীরে মঞ্চে প্রবেশ করলো। হাতে খাবারের থালা। ] 
 
রতন : কী হয়েছে দাদাবাবু , এসময় শুয়ে আছো যে ! ঘুমোছিলে ? 
 
পোস্টমাস্টার ( ক্লান্ত কণ্ঠে ) :  শরীরটা ভালো বোধ হচ্ছে না। দেখ তো আমার কপালে হাত দিয়ে। 
 
[ রতন দ্রুত খাবারের থালা পাশে রেখে পোস্টমাস্টারের কপালে হাত দিল। ] 
 
রতন ( উদ্বিগ্ন কণ্ঠে ) : এ কী দাদাবাবু , তোমার যে জ্বর ! গা যে একেবারে পুড়ে যাচ্ছে গো। 
 
[ একথা বলে রতন একবাটি জল ও একটি ন্যাকড়া নিয়ে পোস্টমাস্টারের কপালে জলপট্টি দিতে শুরু করলো। কিছুক্ষন পর পর জিজ্ঞেস করতে থাকলো - ‘’ হ্যাঁ গো দাদাবাবু , একটুখানি ভালো বোধ হচ্ছে কি ?  ] 
 
পোস্টমাস্টার ( কাতর কণ্ঠে ) : জানিস রতন , মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে। এসময় মা পাশে থাকলে খুব ভাল হত।  …………. তুই  ……… তুইও না ঠিক মায়ের মতো  ……… স্নেহময়ী।   

চতুর্থ দৃশ্য : - 
 
পোস্টমাস্টার : নাহঃ , এভাবে আর চলতে পারে না। …….. আজই আমি স্থানীয় অস্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করে কলকাতার কর্তৃপক্ষের নিকট বদলির জন্য দরখাস্ত করবো। ……….. না দরখাস্ত করেই আসি। 
 
[ পোস্টমাস্টার মঞ্চ ত্যাগ করলো এবং কিছুক্ষন পরেই আবার ফিরে এল। ] 
 
পোস্টমাস্টার : রতন  ……… এই রতন  …….. একবার এদিকে আয় তো  ……
 
[ রতন মঞ্চে প্রবেশ করে। ] 
 
পোস্টমাস্টার : শোন , আমি কলকাতার কর্তৃপক্ষের কাছে বদলির আবেদন করেছিলাম। কিন্তু দরখাস্ত নাকচ হয়ে গেছে। তাই আমি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছি। তাই কাল’ই আমি চলে যাচ্ছি।      
 
রতন : কোথায় যাচ্ছ , দাদাবাবু ? 
 
পোস্টমাস্টার : বাড়ি যাচ্ছি। 
 
রতন : আবার কবে আসবে ? 
 
পোস্টমাস্টার : আর আসবো না। 
 
[ রতনের মুখ কালো হয়ে এল। সমস্ত আনন্দ মুছে গেল মুখ থেকে। কিছুক্ষন চুপ করে থাকার পর রতন রান্না করার উদ্যোগ করতে শুরু করলো।       
 
রতন : দাদাবাবু , আমাকে তোমাদের বাড়ি নিয়ে যাবে ? 
 
পোস্টমাস্টার : সে কী করে হবে ! ( কথাটা বলার সময় পোস্টমাস্টার যেন একটু বেদনা অনুভব করলো। )  
 
[ রতন কিছু না বলে চুপচাপ রান্নার উদ্যোগ করছে। কিছুক্ষন পর  …. ]  
 
পোস্টমাস্টার : শোন রতন , আমার জায়গায় যে লোকটি আসবেন তাঁকে বলে দিয়ে যাব , তিনি তোকে আমারই মতন যত্ন করবেন।  ………. আর এই নে ( জামার পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে ) তোকে আমি কখনো কিছু দিতে পারিনি। আজ যাবার সময় ক’টা টাকা তোকে দিয়ে গেলাম , এতে তোর কদিন চলবে। 
 
[ হঠাৎ রতন রান্না ছেড়ে কাঁদতে কাঁদতে সরাসরি পোস্টমাস্টারের পায়ে লুটিয়ে পড়ে। ] 
 
রতন ( কাঁদতে কাঁদতে ) : না না তোমার কাউকে কিছু বলতে হবে না , আমি আর এখানে থাকতে চাই নে  ………… আর দাদাবাবু , তোমার দুটি পায়ে পড়ি , আমাকে কিছু দিতে হবে না। আমার জন্য কাউকে কিছু ভাবতে হবে না। 
 
[ একথা বলে উচ্ছসিত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে রতন এক দৌড়ে মঞ্চ থেকে প্রস্থান করলো। পোস্টমাস্টার কিছুক্ষন চুপ করে থাকলো , তারপর যেন নিজেকেই স্বান্তনা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বলে উঠল  ……. ] 
 
পোস্টমাস্টার : হায় বুদ্ধিহীন মানব হৃদয় ! মিথ্যা আশাকে দুই বাহুবন্ধনে বেঁধে মানুষ সত্য বলে মনে করে। এক ভ্রান্তি থেকে এক ভ্রান্তিতে জড়িয়ে পড়া মানবের চিরকালের অভ্যাস। ……….. কিন্তু সত্যিই খুব ইচ্ছা হয়  ……… খুব ইচ্ছা হয়  ……. এই অনাথিনীকে সঙ্গে করে নিয়ে যাই  ……….. কিন্তু কি লাভ ! জীবনে এমন কত বিচ্ছেদ আছে , মৃত্যু আছে  ………. পৃথিবীতে কে কার ! 
 
[ ধীরে ধীরে যবনিকা পতন। ] 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


Share
Tweet
Pin
Share
No comments

HS BENGALI PROJECT :- 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রকল্প :-  

চরিত্র পর্যালোচনা : ব্যোমকেশ বক্সী। 




ভূমিকা : - 

বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট হল মহান সাহিত্যিকদের সৃষ্ট বিভিন্ন চরিত্রগুলিকে কেন্দ্র করে সাহিত্য ক্ষেত্রে এক - একটি বিশেষ জগৎ তৈরী করেছে। এই সকল সাহিত্য চরিত্রগুলির মধ্যে অন্যতম হল - ফেলুদা , ঘনাদা , টেনিদা , ব্যোমকেশ বক্সী , কিকিরা , কাকাবাবু - প্রমুখ। প্রতিটি চরিত্রের ক্ষেত্রে তাদের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট বর্তমান। এই ধরণের চরিত্র কেন্দ্রিক সাহিত্য বাংলা সাহিত্য জগৎকে আরো প্রসারিত করেছে এবং চরিত্রগুলি পাঠককুলের মনে চিরস্থায়ী স্থান দখল করে রেখেছে ও বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। এই চরিত্রগুলির মধ্যে অন্যতম হল শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়ের রচিত ও সৃষ্ট ব্যোমকেশ বক্সী চরিত্রটি। 

বর্তমান প্রকল্পটিতে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ও সৃষ্ট ব্যোমকেশ বক্সী চরিত্রটির পর্যালোচনা করা হয়েছে। ব্যোমকেশ বক্সীকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন গল্প ও উপন্যাস , চারিত্রিক বৈশিষ্ট , গল্পগুলির রচনাশৈলী , ব্যোমকেশ বক্সীকে নিয়ে তৈরী বিভিন্ন চলচ্চিত্র ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মের পাঠককুলের কাছে ব্যোমকেশ বক্সী কতটা গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় সে বিষয়েও তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য :- 

যে সকল উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই প্রতিবেদনমূলক প্রকল্পটি রূপায়ণ করা হয়েছে , সেগুলি হল - 
১. বাংলা সাহিত্যে চরিত্রনির্ভর সাহিত্যকীর্তিগুলি সম্পর্কে জ্ঞানলাভ। 
২. শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ব্যোমকেশ বক্সী চরিত্রটি সম্পর্কে আলোকপাত করা। 
৩. চরিত্রটির চারিত্রিক বৈশিষ্ট সম্পর্কে আলোচনা করা। 
৪. শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখনীশৈলী সম্পর্কে আলোচনা করা। 
৫. ব্যোমকেশ বক্সী চরিত্রটি নিয়ে যে সকল গঠনমূলক শিল্পকীর্তি রচিত হয়েছে সেগুলির তথ্য তুলে ধরা। ৬. বর্তমান প্রজন্মের পাঠককুলের মধ্যে ব্যোমকেশ বক্সী কতটা জনপ্রিয় - সে বিষয়ে পর্যালোচনা করা। ৭. বর্তমান সাহিত্য জগতে ব্যোমকেশ বক্সীর প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা। 
৮. সর্বপরি , বাংলা সাহিত্যের অমর সৃষ্টি ব্যোমকেশ বক্সী চরিত্রটি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কৌতুহলী করে তোলা। 

প্রকল্পটির গুরুত্ব : - 

যে সকল কারণে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতে পারে , সেগুলি হল -    

১. প্রকল্পটির মাধ্যমে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি ব্যোমকেশ বক্সী চরিত্রটি সম্পর্কে জানা সম্ভব। ২. ব্যোমকেশ বক্সীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট , লেখকের রচনাশৈলী - এই বিষয়গুলি সম্পর্কে প্রকল্পটিতে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। 
৩. ব্যোমকেশ বক্সী চরিত্রটি বাংলা সাহিত্যকে কতটা প্রভাবিত করেছে  - সে সম্পর্কে জানতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ। 
৪. বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থী ও পাঠকবৃন্দের মধ্যে ব্যোমকেশ বক্সী কতটা জনপ্রিয় ও চরিত্রটি তাদের সাহিত্য ও সৃজনশীল মননকে কতটা প্রভাবিত করেছে - সে সম্পর্কে জানতে প্রকল্পটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। 
৫. লেখক শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায় ব্যোমকেশ বক্সীকে নিয়ে যেসকল গল্প লিখেছেন , ব্যোমকেশ বক্সীকে নিয়ে যেসকল চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে - সে সকল তথ্য প্রকল্পটিতে সহজেই পাওয়া সম্ভব। 
৬. সর্বপরি , ব্যোমকেশ বক্সীর মত একটি কালজয়ী চরিত্র সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কৌতুহলী করে তুলতে প্রকল্পটি কার্যকরী। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

তথ্য সংগ্রহ :- 

প্রকল্পের বিষয় নির্বাচিত করার পর বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের প্রকল্প তত্ত্বাবধায়ক / তত্ত্বাবধায়িকা নির্দেশ অনুসারে বিভিন্ন গ্রন্থপাঠ করে প্রকল্পের প্রতিবেদন রচনার জন্য বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠ করা হয়। এই ক্ষেত্রে ব্যোমকেশ বক্সীর গল্পগুলি পাঠ করা হয় চরিত্রটির সম্পর্কে সাধারণ ধারণা পাওয়ার জন্য। এরপর পাঠ করা গল্পগুলির ভিত্তিতে ও ইন্টারনেট থেকে আরো কিছু তথ্য সংগ্রহ করে একটি প্রকল্প রচনা করে প্রকল্প তত্ত্বাবধায়ক / তত্ত্বাবধায়িকার নিকট উপস্থাপন করা হয় ও পরে তার নির্দেশমত প্রয়োজনীয় সংশোধনের পর প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হয়। 

তথ্য বিশ্লেষণ : - 

সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রকল্পের বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। 

ব্যোমকেশ বক্সী শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় সৃষ্ট বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র।

চরিত্রটির পরিচয় :-     
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্ট চরিত্র হিসেবে ব্যোমকেশ বক্সীর আবির্ভাব হয় সত্যান্বেষী গল্পে। ১৩৩১ বঙ্গাব্দে কলকাতার চীনাবাজার অঞ্চলে পরপর কয়েকটি খুনের ঘটনার কিনারা করতে 'বে-সরকারী ডিটেকটিভ' ব্যোমকেশ বক্সী পুলিশ কমিশনারের অনুমতি নিয়ে অতুলচন্দ্র মিত্র ছদ্মনামে এই অঞ্চলে এক মেসে বসবাস শুরু করেছিলেন। এই মেসে তার ঘরের অন্য ভাড়াটিয়া অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলমে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যোমকেশের অধিকাংশ গোয়েন্দা গল্পগুলি লিখিয়েছিলেন। সত্যান্বেষী গল্পে ব্যোমকেশের বিবরণ দিতে গিয়ে অজিত বলেছেন, ...তাহার বয়স বোধকরি তেইশ-চব্বিশ হইবে, দেখিলে শিক্ষিত ভদ্রলোক বলিয়া মনে হয়। গায়ের রঙ ফরসা, বেশ সুশ্রী সুগঠিত চেহারা-মুখে চোখে বুদ্ধির একটা ছাপ আছে। এই গল্পের শেষে জানা যায়, হ্যারিসন রোডের একটি বাড়ীর তিনতলা ভাড়া নিয়ে ব্যোমকেশ বসবাস করেন। এই বাড়িতে ব্যোমকেশ ছাড়া দ্বিতীয় ব্যক্তি তার পরিচারক পুঁটিরাম। ব্যোমকেশের অনুরোধে অজিত এই বাড়ীতে বসবাস শুরু করেন। বাড়ীর দরজায় পেতলের ফলকে লেখা ছিল শ্রীব্যোমকেশ বক্সী, সত্যান্বেষী। সত্যান্বেষীর অর্থ জিজ্ঞাসা করায় অজিতকে ব্যোমকেশ বলেন, ওটা আমার পরিচয়। ডিটেকটিভ কথা শুনতে ভালো নয়, গোয়েন্দা শব্দটা আরও খারাপ, তাই নিজের খেতাব দিয়েছি সত্যান্বেষী। পরের গল্পগুলিতে ব্যোমকেশ নিজেকে সত্যান্বেষী বলেই পরিচয় দিয়েছেন। অর্থম - অনর্থম্‌ গল্পে ব্যোমকেশের সঙ্গে একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সুকুমারবাবুর বোন সত্যবতীর পরিচয় হয় , যার সাথে পরে তার বিবাহ সম্পন্ন হয়। আদিম রিপু গল্পে ব্যোমকেশের বাল্যকাল সম্বন্ধে কিছু তথ্য জানা যায়। ব্যোমকেশের পিতা স্কুলে অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন ও বাড়িতে সাংখ্য দর্শনের চর্চা করতেন এবং তার মাতা বৈষ্ণব বংশের মেয়ে ছিলেন। ব্যোমকেশের যখন সতেরো বছর বয়স, তখন তার পিতা ও পরে তার মাতা যক্ষ্মা রোগে মারা যান। পরে ব্যোমকেশ জলপানির সাহায্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও ভারতের স্বাধীনতা লাভের পরেও অজিত ও সপরিবারে ব্যোমকেশ হ্যারিসন রোডের বাড়িতে বসবাস করেন। পরে তারা দক্ষিণ কলকাতার কেয়াতলায় জমি কিনে সেখানে বাড়ি বানিয়ে চলে যাবেন বলে মনস্থির করেন। 

গল্পলেখক অজিত - এর পরিচয় :- 
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যোমকেশ বক্সী সিরিজের গল্পগুলিতে লেখক হিসেবে ব্যোমকেশের বন্ধু অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপস্থাপিত করেছেন। ব্যোমকেশের প্রতিটি রহস্যভেদের সঙ্গী অজিতের লেখনীতে ব্যোমকেশের অধিকাংশ গল্পগুলি তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু রুম নম্বর দুই, শজারুর কাঁটা, বেণীসংহার, লোহার বিস্কুট, বিশুপাল বধ এই গল্পগুলিতে অজিতকে গল্পলেখক হিসেবে উপস্থিত করা হয়নি। এই প্রসঙ্গে শরদিন্দু বলেছেন, অজিতকে দিয়ে ব্যোমকেশের গল্প লেখানো আর চলছে না। একে তো ভাষা সেকেলে হয়ে গেছে, এখনো চলতি ভাষা আয়ত্ত করতে পারেনি, এই আধুনিক যুগেও 'করিতেছি', 'খাইতেছি' লেখে। উপরন্তু তাঁর সময়ও নেই। পুস্তক প্রকাশের কাজে যে লেখকেরা মাথা গলিয়েছেন তাঁরা জানেন, একবার মা-লক্ষ্মীর প্রসাদ পেলে মা-সরস্বতীর দিকে আর নজর থাকে না। তাছাড়া সম্প্রতি অজিত আর ব্যোমকেশ মিলে দক্ষিণ কলকাতায় জমি কিনেছে, নতুন বাড়ি তৈরী হচ্ছে; শীগ্‌গিরই তারা পুরনো বাসা ছেড়ে কেয়াতলায় চলে যাবে। অজিত একদিকে বইয়ের দোকান চালাচ্ছে, অন্যদিকে বাড়ি তদারক করছে; গল্প লেখার সময় কোথায়? ...... দেখেশুনে অজিতকে নিস্কৃতি দিলাম, এখন থেকে আমিই যা পারি লিখব। 

ব্যোমকেশ বক্সীকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন গল্প ও উপন্যাস :- 
রচনাকাল অনুসারে ব্যোমকেশ সিরিজের প্রথম গল্প পথের কাঁটা (৭ই আষাঢ়, ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ) এবং দ্বিতীয় গল্প সীমন্ত-হীরা (৩রা অগ্রহায়ণ, ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ)। এই দুইটি গল্প লেখার পর শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যোমকেশ বক্সী চরিত্র নিয়ে সিরিজ লেখার কথা চিন্তা করে ১৩৩৯ বঙ্গাব্দের ২৪শে মাঘ সত্যান্বেষী গল্প রচনা শেষ করে ব্যোমকেশ চরিত্রকে পাঠকের সামনে উপস্থিত করেন। সেই কারণে সত্যান্বেষী গল্পটিকে ব্যোমকেশ সিরিজের প্রথম গল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। ১৩৩৯ থেকে ১৩৪৩ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত দশটি গল্প লেখার পর পাঠকদের ভালো লাগবে না ভেবে পনেরো বছর ব্যোমকেশকে নিয়ে আর কোন গল্প লেখেননি। এরপর কলকাতার পরিমল গোস্বামীর বাড়ির ছেলেমেয়েদের অনুরোধে ১৩৫৮ বঙ্গাব্দের ৮ই পৌষ চিত্রচোর গল্পটি লেখেন। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যোমকেশ চরিত্র নিয়ে তেত্রিশটি কাহিনী রচনা করেছেন। এর মাঝে বিশুপাল বধ গল্পটি তিনি সম্পূর্ণ করে যেতে পারেননি। পরবর্তীতে এই গল্প সম্পূর্ণ করেন সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যাল। 

ব্যোমকেশ বক্সী চরিত্র নিয়ে রচিত কাহিনীগুলি হল - সত্যান্বেষী , পথের কাঁটা , সীমন্ত-হীরা , মাকড়সার রস , অর্থমনর্থম্‌ , চোরাবালি , অগ্নিবাণ , উপসংহার , রক্তমুখী নীলা , ব্যোমকেশ ও বরদা , চিত্রচোর , দুর্গরহস্য , চিড়িয়াখানা , আদিম রিপু , বহ্নি-পতঙ্গ , রক্তের দাগ , মণিমণ্ডন , অমৃতের মৃত্যু , শৈলরহস্য , অচিন পাখি , কহেন কবি কালিদাস , অদৃশ্য ত্রিকোণ , খুঁজি খুঁজি নারি , অদ্বিতীয় , মগ্নমৈনাক , দুষ্টচক্র , হেঁয়ালির ছন্দ , রুম নম্বর দুই , ছলনার ছন্দ , শজারুর কাঁটা , বেণীসংহার , লোহার বিস্কুট , বিশুপাল বধ (অসমাপ্ত) , তিতির সেন হত্যা রহস্য। 

চলচ্চিত্রে ব্যোমকেশ বক্সী :- 
ব্যোমকেশ বক্সী চরিত্র নিয়ে রচিত গল্পগুলিকে ভিত্তি করে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এই চলচ্চিত্রগুলি তালিকাবদ্ধ করা হল-
১. চিড়িয়াখানা - সত্যজিৎ রায় -১৯৬৭
২. শজারুর কাঁটা - মঞ্জু দে - ১৯৭৪
৩. শজারুর কাঁটা - শ্যামল ঘোষাল , শৈলেন মুখোপাধ্যায়
৪. মগ্ন মৈনাক - স্বপন ঘোষাল -২০০৯
৫. ব্যোমকেশ বক্সী - অঞ্জন দত্ত -২০১০
৬. আদিম রিপু - আবীর চট্টোপাধ্যায় ,শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়
৭. আবার ব্যোমকেশ - অঞ্জন দত্ত -২০১২
৮. চিত্রচোর- আবীর চট্টোপাধ্যায় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়
৯. সত্যান্বেষী-ঋতুপর্ণ ঘোষ-২০১৩ 
১০. চোরাবালি -সুজয় ঘোষ ,অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়
১১. দূরবীন - স্বাগত চৌধুরী - ২০১৪
১২. ব্যোমকেশ ফিরে এলো- অঞ্জন দত্ত-২০১৪
১৩. বেণী সংহার -আবীর চট্টোপাধ্যায় , শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়
১৪. ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী -হিন্দি দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৫। ইত্যাদি। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

সিদ্ধান্ত - গ্রহণ :- 

উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রক্ষিতে যে সকল সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় তা নিম্নরূপ :- 

১. বাংলা সাহিত্যে বেশ ক'জন গোয়েন্দার আবির্ভাব হলেও সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ফেলুদা এবং ব্যোমকেশ। কিন্তু গোয়েন্দা হলেও ব্যোমকেশ আর ফেলুদা এক কাতারের মানুষ নন। বইয়ের পাতায় ব্যোমকেশ যেন আমাদের চেনা একটি মুখ, যার সংসার আছে, সমাজে বিস্তর চলাফেরা আছে, নিজের উপার্জনের চিন্তা করতে হয়, এবং রক্ত-মানুষের মানুষের মতো সময়ের সাথে বয়স বৃদ্ধি হয়। আর তার কাছে আসা কেসগুলো অনেকটা সামাজিক সমস্যার, আমাদের সাংসারিক সমস্যার, একটি সমাজের বিবাদ ও ষড়যন্ত্রের। 

২. ব্যোমকেশের প্রত্যেকটি গল্পের অন্যতম সুন্দর দিক, যে সময়ে গল্পটি বলা হচ্ছে, সে সময়ের কলকাতার খুব দুর্দান্ত উপস্থাপন। পাঠক গল্পের সাথে, ব্যোমকেশের সমস্যা সমাধানের চিন্তাধারার পাশাপাশি তৎকালীন সময়ের কলকাতার চিত্র যেন নিজের চোখের সামনে কল্পনা করতে পারবেন। যেমন- 'আদিম রিপু'। এ গল্পের পটভূমি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে। বাংলায় এ বিশ্বযুদ্ধের তাণ্ডব বোঝা না গেলেও, সে সময়ে কলকাতার অবস্থা, মুসলমান বনাম হিন্দু দাঙ্গার প্রভাব পড়েছে গল্পেও। 

৩. এই বাংলায় ইংরেজ শাসনের সময়কাল ও সে সময়ের পরিস্থিতির উল্লেখ আছে। তাই অমৃতের মৃত্যু, খুঁজি খুঁজি নারী, রক্তের দাগ, সীমান্ত-হীরা এ সকল গল্প শুধু একজন গোয়েন্দার সত্য আবিষ্কারের কাহিনী নয়, এ গল্পগুলো সে সময়ে বাংলা ও কলকাতার অবস্থা ও পরিস্থিতিকে মনে করিয়ে দেয়। 

৪. গোয়েন্দা সাহিত্য ও প্রেম যে একই রেখায় চলতে পারে এমনটি দুর্লভ। কিন্তু শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় তার চরিত্রকে প্রেমে আবদ্ধ করে রাখেননি। সত্যবতীর সাথে তাকে বিয়েও করিয়ে দেন। তাদের একটি সন্তানের কথাও কয়েকটি গল্পে উল্লেখ আছে। পরবর্তীতে প্রায় প্রত্যেকটি গল্পে সত্য অন্বেষণের পাশাপাশি তাদের সংসারের গল্প, তাদের খুনসুটি, মনোমালিন্য এবং দু'জনের ভালোবাসার নমুনা পাওয়া যায়। একজন গোয়েন্দা চরিত্রের এমন সাংসারিক কাব্য বাংলা সাহিত্যে এর আগে দেখা যায়নি।

৫. শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখনীতে ব্যোমকেশের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রত্যেকটি সত্য আবিষ্কারের পরিশেষে যবনিকা পতন। 'অগ্নিবাণ' গল্পটি ছিলো এক ভয়ংকর রাসায়নিক নিয়ে। যে রাসায়নিক নিঃশ্বাসের সাথে দেহের ভেতরে ঢুকলে চোখের পলকে মৃত্যু ঘনিয়ে আসে। এমন মৃত্যুবাণ নিয়ে ব্যোমকেশ বলেছিল ভবিষ্যতের কথা। পৃথিবী হিংসায় যেমন জ্বলে-পুড়ে একে অন্যেকে ধ্বংস করার মাতাল খেলায় মেতেছে। এমন পদার্থ তৈরি করলে এ বিশ্ব কতদিন টিকবে!

৬.  'বহ্নি-পতঙ্গ' গল্পে দেখা মিলেছে কাব্যিক ব্যোমকেশের। এ গল্পের শেষে সত্যকে সামনে টেনে আনার সময় সে ভালোবাসা ও প্রেমের দুর্দান্ত এক সংজ্ঞা দিয়েছে, যা গোয়েন্দা চরিত্রের ভেতরে একটুকরো মানুষের প্রতিচ্ছবিকে তুলে ধরে। 

৭. শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় চেষ্টা করে গিয়েছেন ব্যোমকেশ বক্সী চরিত্রকে যতটা সম্ভব বাস্তবভাবে তুলে ধরার, যাতে পাঠকরা তাকে একজন সমাজে বসবাস করা সাধারণত মানুষ ও অন্যের সমস্যা সমাধানের পেশাকে আর দশটা পেশার মতো স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে। এজন্য ব্যোমকেশের স্বভাব, কর্মকাণ্ড, পরিচয় বা অবস্থা আর দশটি বাস্তব মানুষের মতো, কোনো বইয়ের পাতার চরিত্র নয়। তার কাছে আসা সমস্যাগুলোও আমাদের চারপাশের লোভ-লালসার, পারিবারিক কলহ, প্রেম ও ষড়যন্ত্রের মিশ্রণ। 

উপসংহার :- 

বাংলা সাহিত্যের এক অমর সৃষ্টি ব্যোমকেশ বক্সী। চরিত্রটি বাঙালির দৈনন্দিন জীবনের সাথে এমনভাবে মিশে গেছে যে , লেখকের মৃত্যুর এত বছর পরও ব্যোমকেশ বক্সীকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলির জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। চরিত্রটির মধ্যে দিয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা , ঘাত - প্রতিঘাত - ইত্যাদির প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও গল্পগুলির মধ্যে দিয়ে তৎকালীন সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের প্রতিচ্ছবি লক্ষ্য করা যায়। গল্পগুলির মধ্যে দিয়ে যেভাবে দৈনন্দিন জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে তাতে তৎকালীন সময়ের বাঙালিদের সাধারণ জীবনযাত্রা , সাজ পোশাক , খাদ্যাভ্যাস - ইত্যাদি সম্পর্কেও জানা যায়। বাংলা সাহিত্য জগতের এক বিশিষ্ট অংশ জুড়ে ব্যোমকেশ বক্সী চরিত্রটি এক গুরুত্বপূর্ণ অংশের অধিকারী এবং রাতের আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্রের ন্যায় বিরাজমান। 

গ্রন্থপঞ্জি / তথ্যসূত্র :- 

যে সকল গ্রন্থ ও ওয়েবসাইট প্রকল্পটি রচনার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে , সেগুলি হল - 

১. বাংলা ভাষা ও শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস - দ্বাদশ শ্রেণি - পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

২. www. wikipedia.com 

৩. roarmedia.com        

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


Share
Tweet
Pin
Share
No comments

HS PROJECT 

Dramatization/ Theatrical Script : Selfish Giant ( Oscar Wilde ) 



SCENE : ONE 
Stage Preparation : The stage should be arranged as if it is a garden. There will be green carpet on the stage. There will be small flowering trees on the stage. There will be some flowers in it. As soon as the curtain rises, the audience  can see some children playing on the stage.

Boy 1 : Wow ! What a lovely garden ! 

Boy 2 : Yes , it is the most wonderful garden in the world .

Boy 3 : How happy we are here ! 

Boy 1 & 2 : Yes we are very happy here .

[ They started playing again .  After a while the giant came on the stage . He looked very surprised to see that the children were playing in his garden here and there . He became furious  . ] 

Giant ( cried in a very gruff voice ) : What are you doing here ? I visited with my friend Cornish Ogre seven years ago . And during that time , you are misusing my beautiful garden ? You children ! What are you doing here ? 

[  The children are very scared to see the giant . They fled from the stage . ] 

Giant : My own garden is my own garden, any one can understand that, and I will allow nobody to play in it but myself. I will build a high wall all round it, and will put up a notice-board , commanding ( loud ) TRESPASSERS WILL BE PROSECUTED . 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

SCENE : TWO 

Stage :  Remove everything that was on stage in the first scene ,the stage will be completely empty . 
[ A few children entered the stage. ] 

Boy 1 : He is a selfish giant .

Boy 2 : Yes , very selfish .

Boy 3 : We are feeling very poor .

Boy 4 : We have nowhere to play . 

Boy 1 : We tried to play on the road . But the road was very dusty and full of hard stones . We do not like it  . 

Boy 2 : I used to wander round the high wall when my lessons were over and thought about the beautiful garden inside .

Boy 3 & 4 : Me to ……

All the boys : How happy we were there ! 

[ Suddenly a boy entered the stage ] 

The new boy : Friends , friends ………… I have a good news for all of you .

Boy 1 & 2 : Good news ! What is it ? 

The new boy : I noticed a small hole in the wall in the giant’s garden . 

Boy 2 : But if we enter , the giant will throw us away from there . 

The new boy : No , no …… I think he is sleeping . 

Boy  3 & 4 : Are you sure ? 

The new boy : I think so . 

Boy 1 & 2 : Ok , let’s go to the garden . 

[ They left the stage and the giant came . ] 

Giant :  The Spring came all over the country . There are little blossoms and little birds. But only in my garden it is still winter. The birds do not care to sing in it as here are no children, and the trees forget to blossom. The only people who are pleased are the Snow and the Frost. Spring has forgotten this garden . The Snow covered up the grass with her great white cloak, and the Frost painted all the trees silver. Then they invited the North Wind to stay with them, and he came. He was wrapped in furs, and he roared all day about the garden, and blew the chimney-pots down. 
I cannot understand why the Spring is so late in coming . I hope there will be a change in the weather.

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.


SCENE : THREE 

Stage Preparation : As same as the first scene . 

Giant : I am seeing the most wonderful sight .  I can't believe that spring has come . But how is it possible ? ( Looking here and there ) I think the children came into the garden so the spring came . ( Loud ) Hey boys …. 

[ But the children are terrified when they see the giant and try to escape .] 

Giant : Hey boys don’t go away . I am a giant , but now your friend .

[ The boys stopped , looking at each other’s faces . Giant came closer to them . ] 

Giant : Look boys , I am now very decent . You may consider me as your friend . You can play here whenever you wish . 

[ The boys are looking very happy . They started playing . But a kid, who is too young, cannot play . The giant noticed him . ] 

Giant : Hey , little one , why are you not playing  ? 

The little kid : I am too tiny . So I can not play . 

Giant : Ok , I will play with you . 

[ Then the giant started playing with the little kid  . The stage light faded . The stage went completely dark . It was heard from the background : ‘ Next Day ’  . The stage lit up again . Boys are playing in the garden . The giant is looking for someone .]  

Giant ( to a boy ) : Hey where is he ? 

The boy : Who ? 

Giant : Your little companion ? 

The boy :    I do not understand whom you are talking about . 

Giant : The little kid , I played with him yesterday . 

The boy : I do not see him right now . 

Giant : Ok , keep continue your playing .  

[ Again stage light faded and the stage went into complete darkness . A background voice heard : ‘Next Day’ . The stage lit up again .]

Giant : Hey boys , where is your little companion ? 

A boy :  We haven't seen him in recent days . 

Giant :  You must tell him to be sure and come here to-morrow . I love him most because we played together . 

SCENE : FOUR 

The Giant grew very old and feeble. He could not play about any more, so he sat in a huge armchair, and watched the children at their games, and admired his garden. 

Giant : I have many beautiful flowers, but the children are the most beautiful flowers of all.
 
[ Children are playing . After a while , they left the stage . The giant is alone on the stage . After a few moments , the little kid entered the stage . The giant noticed him . He is surprised . He start running towards the little kid . ] 

Giant : Hey , little friend , Where have you been all this time?

[ Suddenly he noticed the arm of the little boy and his face grew red with anger . ] 

Giant : Who hath dared to wound thee?  The prints of two nails, and the prints of two nails on your little feet. Who hath dared to wound thee? (  cried ) tell me, that I may take my big sword and slay him.

The little kid : Nay ! But these are the wounds of Love.

Giant ( surprised ) Who art thou ? 

[ The Giant knelt before the little child. ] 

The little kid ( smiled at the Giant ) : You let me play once in your garden, to-day you shall come with me to my garden, which is Paradise. 

SCENE : FIVE  

[ The kids entered the stage to play. Upon entering, they saw the giant lying on one side of the garden . ] 

Boy 1 : Hey giant , why are you sleeping . Let’s play . 

Boy 2 ( Noticing the giant carefully ) Oh my god ! He is dead .

[ Hearing this, all the children broke down in tears. After a while they picked flowers from the garden and spread them on the body of the giant. ] 

[ Curtain down slowly . ] 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.


Share
Tweet
Pin
Share
No comments

Dramatization / Theatrical Script of PACKING . ( Jerome K. Jerome ) 



Stage preparation : - A simple stage. There will be various furniture scattered in a messy way. There will be some chairs on the stage. The chairs also are in disarray. Three people are present on the stage - George , Harris and Jerome k. Jerome . They are all very busy with different things in the room . 

George ( Annoyance on the face ) :  Tomorrow we will all go for a boat ride, and today is so late. But we have not packed anything. We have to wake up tomorrow very early in the morning .

[ Being annoyed, George threw away his belongings . He spread himself over the easy-chair and put on a pipe . Harris cocked his legs on the table and lit a cigar . They both stared at Jerome. Jerome also looked at the two of them at once . Jerome got up from his chair. An all-knowing smile on his face. He looked at the two of them again. Then he started looking at the things scattered all over the stage. Then he smiled again. He looked at the two again. George and Harris too stare at Jerome . ] 

Jerome ( Proudly ) : I rather pride myself on my packing . Packing is one of those many things that I feel I know more about than any other person living . …….. ( after a few moments ) But now I will teach you how to pack .   

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

[ George and Harris both are surprised .They are looking at each other's faces . ] 

Jerome : Now you two get up. Get up , get up ……..  

[ George and Harris both got up with a look of surprise on their faces . ] 

Jerome :  Now do as I say . This is hardly what I intended . Now I am the boss of the job and you two should potter about under my directions .   

[ This time Jerome started giving different instructions to George and Harris. Despite the reluctance of George and Harris, they began to follow Jerome's lead. They are working and Jerome is helping them and instructing them - ‘’ Oh you …..! ‘’ , ‘’ Here , let me do it .’’ , ‘’ There you are , simple enough ! ‘’ .  That's how Jerome started teaching packing to George and Harris like a teacher . 
George and Harris followed Jerome's instructions for a while, but after a while they both got bored, quit their jobs, got back in their chairs, and looked at Jerome.  This time Jerome started working . ] 

Jerome : It seems to me a longer job than I had thought . 

[ Jerome finished his job at last and sat on a packed bag and strapped it . ] 

Harris : Aren’t you going to put the boots in ? 

Jerome : Oh ! No ! I Have forgotten them .  [ Jerome opened the bag and packed the boots in . Just as he is going to close his bag he pauses . ] Oh ! No ! Had I Packed my toothbrush ? I don’t know how it is , but I never do know whether I’ve packed my toothbrush. ………… My toothbrush is a thing that haunts me when I’m travelling and makes my life a misery . I dream that I haven’t packed it , and wake up in a cold perspiration , and get out of bed and hunt for it . And in the morning , I pack it before I have used it , and have to unpack again to get it , and it is always the last thing I turn out of the bag ; and then I repack and forget it , and have to rush upstairs for it at the last moment and carry it to the railway station , wrapped up in my pocket handkerchief . 

[ Jerome started taking things out of the bag one by one as he said the above and at the very end he got his toothbrush from inside a boot . ] 

Jerome : Wow ! I Finally I got it.

George : Hey Jerome , Have you packed your soap ? 

Jerome : I don’t care whether the soap is in or whether it is not . [ Jerome said angrily and closed the bag. Just then …….. ] Oh ! No ! I had packed my tobacco pouch in it ! Oh God ! I have to re-open it . 

[ Jerome started re-open his packed  bag again . ] 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.


Jerome : George and Harris, these mistakes of mine are happening because of you. I have to do a lot of work because you can't do the packing properly and that is why I am making various mistakes. 

[ George got up and began to help Jerome. After a while Jerome found his tobacco pouch. Jerome sat down very tired with that . ] 

George : Hey Harris , where is the butter ? 

Harris : ( Trying to remember . ) : I think it is there ………. Or there …….. Or here ….. 

[ Harris got up and started looking for butter. George is also doing the same . Suddenly Harris looked down . ] 

Harris : Oh my God ! 

George : What’s happened ? 

Harris : You trod on the butter . 

George : What ! 

Harris : Yes …………… 

[ After George got it ( a packet of butter ) off his slipper , they are now trying to put it in a kettle . It is not going in . At last they put the butter on a chair , and Harris sat on it . ] 

George : Well , finally we found the butter ……... ( pause ) ……. But Harris I can't remember clearly and properly where we put  the butter at last ? 

Harris : Yes , you are right ! Where do we put the butter at last ?  

[ They both tried to remember. And got up. Then they started looking for butter around the room . The packet of butter is now stuck behind Harris. They should act in such a way that the audience can see that the packet of butter is stuck behind Harris . ] 

George ( Staring at the empty seat ) : I’ll take my oath. I put the packet of butter down on the chair . 

Harris : I saw you do it myself , not a minute ago . 

[ Then they started round the room again looking for it ; and then they met again in the centre of the stage and stared at one another . ] 

George : Most extraordinary thing I ever heard of .’’ 

Harris : So mysterious ! 

[ And then George got round the back of Harris and saw it . ] 

George ( Indignantly ) : Why ? Here it is all the time . 

Harris ( Surprised and spinning round ) : Where ? 

George ( Roared ) : Stand still , can’t you ! 

[ George pulled out a packet of butter from behind Harris. Harris began to laugh like a fool. Jerome had already joined them.] 

George : Look Jerome , you see , we can pack properly . 

Jerome : All this is the result of my teaching and leadership . My teaching is successful today . 

George : Your teaching ! Leadership ! Rubbish ! 

Jerome : Ok , our packing is done . We are already late for bed . So we should leave the mess now and go to bed . 

[ The light began to go out. 
Curtain downs slowly . ] 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.


Share
Tweet
Pin
Share
No comments

H.S. Sociology Project 

পরিবার ব্যবস্থা পরিবর্তনের সাম্প্রতিক প্রবণতা :- 




ভূমিকা :- 

মানবসমাজের একটি স্বাভাবিক সংগঠন হিসেবে পরিবারের বিশ্বজনীনতা সকল বিরোধ - বিতর্কের ঊর্ধ্বে। পরিবারের এই অস্তিত্ব , স্বরূপ ও সংগঠন সবসময় একই রূপে থাকেনি। আদিম মানব পরিবারের সাথে বর্তমান পরিবারগুলির উল্লেখযোগ্য পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এমনকি বর্তমান পরিবারগুলিরও অন্তরঙ্গে ও বহিরঙ্গে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে চলেছে। একেই পরিবার ব্যবস্থায় পরিবর্তনের সাম্প্রতিক প্রবণতা বলা হয়। পরিবার ব্যবস্থায় পরিবর্তনের কারণ হিসেবে বিভিন্ন উপাদানকে দায়ী করা হয় যেমন - আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা , শিল্পায়ন , নগরায়ণ , বিবাহ ব্যবস্থার পরিবর্তন , বিভিন্ন আইন , পাশ্চাত্যের প্রভাব , নারী আন্দোলন ও নারীমুক্তি - ইত্যাদি। এইসকল উপাদানগুলি প্রতিনিয়ত পরিবার ব্যবস্থার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক পরিবর্তন ঘটিয়ে চলেছে। 

বর্তমান প্রতিবেদনমূলক প্রকল্পকর্মটিতে পরিবার ব্যবস্থায় পরিবর্তনের সাম্প্রতিক প্রবণতা সম্পর্কে আলোচনা করার পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে তার উল্লেখযোগ্য প্রভাব , পরিবার ব্যবস্থার বিবর্তন - ইত্যাদি বিষয়গুলির প্রতিও আলোকপাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য :- 

যে সকল উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রকল্পটি রচনা করা হয়েছে সেগুলি হল - 
১. পরিবার ব্যবস্থায় পরিবর্তন সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা। 
২. পরিবর্তনের কারণগুলি সম্পর্কে অবগত হওয়া। 
৩. কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে সে বিষয়ে  আলোকপাত করা।
৪. পরিবার ব্যবস্থায় পরিবর্তনের জন্য দায়ী বিশেষ উপাদানগুলি বিষয়ে আলোচনা করা। 
৫. সাম্প্রতিক কালে পরিবার ব্যবস্থায় পরিবর্তনের প্রবণতার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা। 
৬. সর্বোপরি সামাজিক পরিবর্তনের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির প্রতি শিক্ষার্থীদের কৌতূহলী করে তোলা।    

প্রকল্পটির গুরুত্ব : - 

যে সকল কারণে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতে পারে সেগুলি হল - 
১. প্রকল্পটির মাধ্যমে বর্তমান পরিবার ব্যবস্থায় পরিবর্তনের সাম্প্রতিক প্রবণতা সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা সম্ভব। 
২. সাম্প্রতিককালে পরিবার ব্যবস্থায় পরিবর্তনের জন্য যে সকল উপাদান দায়ী সেগুলি সম্পর্কে জানতে প্রকল্পটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। 
৩. প্রতিটি সমাজে সাম্প্রতিক কালে যে পরিবর্তনের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে - তার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে জানতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ। 
৪. সামাজিক বিবর্তনের ধারাটিকে যথার্থভাবে অবগত করতে প্রতিবেদনটি সহায়ক। 
৫. সর্বোপরি প্রকল্পটির মাধ্যমে সামাজিক বিবর্তনের এই গুরুত্বপর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কৌতূহলী করে তুলতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

তথ্য সংগ্রহ : - 

বিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিষয়ের মাননীয় / মাননীয়া শিক্ষক / শিক্ষিকা - র নির্দেশমত প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠ করা হয়। এই  সকল গ্রন্থগুলির মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হল দ্বাদশ শ্রেণীর সমাজতত্ত্ব বিষয়ের পাঠ্যবই যা শ্রী অরুনাংশু প্রধান মহাশয় কর্তৃক লিখিত। গ্রন্থটি থেকে এবং আরো কিছু গ্রন্থ ও ওয়েবসাইটের সহায়তায় ও বিদ্যালয়ের মাননীয় / মাননীয়া শিক্ষক / শিক্ষিকা - র তত্ত্বাবধানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি সংগৃহিত হয়। 

তথ্য বিশ্লেষণ :- 

[ এই অংশে দ্বাদশ শ্রেণীর অরুনাংশু প্রধানের সমাজতত্ত্ব পাঠ্য বইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ের ৬২ পাতার টপিক নং ৩.১.৪ সম্পূর্ণ বা যতটা সম্ভব লিখতে হবে। কেউ যদি ছোট করে লিখতে চাও তাহলেও সবগুলি পয়েন্ট লিখবে কিন্তু মাঝের লেখা কমিয়ে দিতে পারো। এখানে আমি ৬২ পাতা উল্লেখ করলাম ; কিন্তু সবার বইয়ে ৬২ পাতায় সেই টপিক টি না'ও থাকতে পারে। তবে একটু আগে - পরে খুঁজলেই পেয়ে যাবে। তবে টপিক নম্বর একই থাকবে ৩.১.৪  । ] 

সিদ্ধান্ত গ্রহণ :- 

উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যে সকল সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় - সেগুলি নীচে আলোচনা করা হল। 

১. সমাজ পরিবর্তন ও বিবর্তনের একটি প্রক্রিয়া। সমাজের হাত ধরে সমস্ত সামাজিক সংগঠনগুলি পরিবর্তনশীল। পরিবারগুলিও এর ব্যতিক্রম নয়। এটি সামাজিক প্রবাহে নতুন কোনো বিষয় নয়। আবহমান কাল ধরেই এই প্রক্রিয়া বহমান। 

২. পরিবার ব্যবস্থায় সাম্প্রতিক পরিবর্তনের প্রবণতার ফলে ভারতীয় পরিবারগুলির মৌলিক কাঠামোয় পরিবর্তন এসেছে। স্বয়ংসম্পূর্ণ , যৌথ ও উৎপাদনশীল পরিবার থেকে ভারতীয় পরিবারগুলি ধীরে ধীরে ভোগকারী একক পরিবারে পরিণত হচ্ছে। 

৩. পরিবারগুলির সাম্প্রতিক পরিবর্তনের প্রবণতার ফলে ভারতীয় পরিবারগুলির স্বয়মসম্পূর্ণ বৈশিষ্টটি আজ  বিলুপ্ত হতে বসেছে। 

৪. পরিবার ব্যবস্থায় পরিবর্তন কোন পথে এগোচ্ছে - ইতিবাচক না নেতিবাচক এই নিয়ে সমাজতাত্ত্বিকদের মধ্যে মতবিরোধ বর্তমান। তবে , সাম্প্রতিক পারিবারিক পরিবর্তনশীলতার প্রেক্ষাপটে কিছু বিষয় সামনে উঠে আসছে যেগুলি চূড়ান্তভাবে হতাশাজনক। যেমন - বিবাহ বিচ্ছেদ , বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক , পারিবারিক ও কর্মক্ষেতে হতাশা , নৈরাশ্য - ইত্যাদি। 

৫. পরিবার ব্যবস্থায় পরিবর্তনের প্রবণতা বহুক্ষেত্রেই বিবাহ বিচ্ছেদের একটি অন্যতম কারণ। এর সর্বাধিক নেতিবাচক প্রভাব গিয়ে পড়ছে তাদের সন্তানদের উপর। সন্তানদের মধ্যে হীনমন্যতা , অপরাধ প্রবণতা  - ইত্যাদি উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। 

৬. পরিবার ব্যবস্থায় পরিবর্তন প্রতিটি মানুষকে ভোগবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ইন্সিত মর্জাদালাভের প্রয়াস , নিজের মত করে বাঁচার প্রবণতা - ইত্যাদি শিথিল করছে পারিবারিক পারস্পরিক বন্ধনকে। 

৭. পরিবার ব্যবস্থায় পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল হিসাবে বলা যায় যে , এর ফলে দুই পুরুষের মধ্যে মানসিক ব্যবধান ক্রমশ বেড়েই চলেছে। একেই Generation Gap বলা হয়। 

৮. এই পরিবর্তন যত সাধিত হচ্ছে তত বেশি করে পুরোনো রীতিনীতি , ধ্যান - ধারণা , আচার - সংস্কার ইত্যাদি নতুন প্রজন্মের কাছে মূল্যহীন হয়ে উঠছে। সংস্কার , রীতিনীতি এগুলি আজকাল প্রাচীনত্বের প্রতীক বলে বিবেচিত হয়। 

৯. পারিবারিক  দায় - দায়িত্ব পালন , কর্তব্যপরায়ণতা ইত্যাদি এখন আধুনিক প্রজন্মের কাছে ব্রাত্য বলে বিবেচিত হয়। পক্ষান্তরে আত্মকেন্দ্রিকতা , স্বার্থ কেন্দ্রিক চিন্তা ভাবনা আধুনিক প্রজন্মের অন্যতম বৈশিষ্ট হয়ে উঠছে। 

১০. পারিবারিক পরিবর্তনের এই প্রবণতা শুধুমাত্র মাত্র ভারতীয় ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় - এমনটা নয়। সারা বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

উপসংহার : - 

মানব সমাজ ও সভ্যতা সদা পরিবর্তনশীল। এর হাত ধরে পরিবার ব্যবস্থাতেও নিরন্তর পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। তাই এই পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করে যে হতাশা জন্মায় সেটিও পরিবর্তনশীল। তবে , এর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হলেও এর ইতিবাচক প্রভাবও কিছু রয়েছে - সেটিও অস্বীকার করা যায়না। নারী স্বাধীনতা , শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ , সার্বিক শিক্ষার বিস্তার , গণতন্ত্রের বিস্তার , শোষিত - বঞ্চিত শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠা - ইত্যাদি আধুনিক ও পরিবর্তনশীল সমাজের বৈশিষ্ট। তাই পরিশেষে বলা যায় , পারিবারিক ব্যবস্থায় পরিবর্তনের সাম্প্রতিক প্রবণতা সমাজকে এক নতুন সমাজের পথ দেখাচ্ছে। 

গ্রন্থপঞ্জি :- 

যে সকল গ্রন্থগুলি থেকে প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে সেগুলি হল - 
১. উচ্চ্যমাধমিক সমাজতত্ত্ব - ( দ্বাদশ শ্রেণি ) - অরুনাংশু প্রধান। 
২. ভারতীয় সমাজ - ডক্টর অনাদিকুমার মহাপাত্র। 
৩. প্রারম্ভিক সমাজতত্ত্ব - বাণী প্রকাশন। 
৪. ভারতীয় সামাজিক সমস্যা - কমল - ইন্দু। 
৫. Helps to the study of WBCS Sociology - Oriental Publication     

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.
      
সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

   
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

উচ্চমাধ্যমিক প্রকল্প : কন্যাশ্রী - প্রকল্প :- 




ভূমিকা :- 

রবীন্দ্রনাথ প্রায় একশো বছর আগে লিখেছিলেন -  
'' নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার 
কেন নাহি দিবে অধিকার 
হে বিধাতা ? '' 
কবির এই প্রশ্নের উত্তর একবিংশ শতকের স্বাধীন ভারত তথা বাংলা আজও খুঁজে পেয়েছে কি ? এখনও দেশের অধিকাংশ মেয়ে শিক্ষার মূলস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অতি অল্প বয়সেই নিতান্ত সাংসারিক সামগ্রী হিসেবেই বিবেচিত হয়। এখনও কন্যাভ্রূণ হত্যা কিংবা বাল্যবিবাহের মতো নির্দয়তা আকছার ঘটে চলেছে। আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও এর ব্যতিক্রম ঘটে না। এখনও মেয়েদের এগিয়ে চলার পথ প্রতিবন্ধকতায় পরিপূর্ণ। মাত্র কয়েক বছর আগেও পশ্চিমবঙ্গ বাল্যবিবাহে পঞ্চম স্থানে ছিল। বালিকাদের মধ্যে মাঝপথে লেখাপড়া ছেড়ে দেওয়ার হারও ছিল যথেষ্ট বেশি। এই প্রবণতা আটকাতে এবং মেয়েদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে অক্টোবর মাস থেকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা হয় '' কন্যাশ্রী - প্রকল্প। '' 

বর্তমান প্রতিবেদনমূলক প্রকল্পকর্মে কন্যাশ্রী প্রকল্প সম্পর্কে , তার উৎস ও পটভূমি , কন্যাশ্রী প্রকল্পের উদ্দেশ্য , কন্যাশ্রী প্রকল্পের রূপরেখা ও বর্তমান চিত্র সম্পর্কে তথ্য সমৃদ্ধ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হল। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

প্রকল্প রূপায়ণের উদ্দেশ্য :- 

যে সকল উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রকল্পটি রূপায়ণ করা হয়েছে সেগুলি হল - 
১. কন্যাশ্রী প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞানলাভ করা। 
২. কন্যাশ্রী প্রকল্পের পটভূমি ও প্রয়োগ সম্পর্কে জানা। 
৩. বর্তমানে সমাজে বালিকারা কীভাবে এই প্রকল্পের দ্বারা উপকৃত হচ্ছে সে সম্পর্কে আলোচনা করা। 
৪. কন্যাশ্রী প্রকল্পের রূপরেখা - কীভাবে এই প্রকল্প থেকে বালিকারা সুবিধা পেতে পারে - সে সম্পর্কে আলোচনা করা। 
৫. সর্বপরি , কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্য ও বর্তমান পরিসংখ্যানগুলি তুলে ধরা। 

প্রতিবেদনমূলক প্রকল্পটির গুরুত্ব :- 

যে সকল কারণে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতে পারে , সেগুলি হল - 
১. প্রকল্পটির মাধ্যমে কন্যাশ্রী প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞানলাভ করা সম্ভব। 
২. কন্যাশ্রী প্রকল্পের রূপরেখা ও মূল বৈশিষ্টগুলি জানা সম্ভব। 
৩. কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে কীভাবে ছাত্রীরা উপকৃত হচ্ছে - সে সম্পর্কে জানা সম্ভব। 
৪. কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্য ও বর্তমান পরিসংখ্যানগুলি সম্পর্কে জানা সম্ভব। 
৫. কন্যাশ্রী প্রকল্পের সামাজিক গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত হওয়া সম্ভব। 

তথ্য সংগ্রহ / পরীক্ষামূলক উপাদান :- 

কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রেক্ষাপটে রয়েছে সামাজিক বৈষম্য ও বঞ্চনার এক করুণ ইতিহাস। ২০১১ সালের জনগণনায় দেখা গেছে যে পশ্চিমবঙ্গে বয়ঃসন্ধিকালীন কিশোর - কিশোরীর মোট জনসংখ্যা ১ কোটি ৭৩ লক্ষ। এর মধ্যে ৪৮.১১ শতাংশই কিশোরী। আবার পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যার ৯.৩ শতাংশ হচ্ছে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়ে ; আর ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে এই পরিমাপ ৯.৫ শতাংশ। কিন্তু এই যে বিপুল নারীশক্তি , তাদের জীবনের বিকাশের পথ কিন্তু একেবারেই মসৃন নয়। দারিদ্র , অশিক্ষা , কুসংস্কার এবং লিঙ্গগত বৈষম্য - ইত্যাদির শিকার হয়েই এদের বিরাট অংশকে জীবন কাটাতে হয়। ; অনেকেই হারিয়ে যায় সমাজের অন্ধকারে। 

২০০৭-০৮ এর সমীক্ষায় শিশু বা অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বিবাহের নিরিখে ভারতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের স্থান পঞ্চম। পরিসংখ্যান অনুসারে ১৮ বছরের কম বয়সি মেয়েদের মধ্যে ৫৪.৭ শতাংশই দ্রুত বিবাহের শিকার। গ্রামীণ এলাকায় সংখ্যাটা আরও বেশি - প্রায় ৫৭.৯ শতাংশ। এই অপ্রাপ্তবয়স্ক বিবাহের ফলে একদিকে যেমন এইসকল মেয়েরা শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় , তেমনই অপুষ্টির শিকার হয় - যা পরবর্তী প্রজন্মকেও প্রভাবিত করে। বাল্যবিবাহ ও নারীপাচারের মত ঘটনাকেও বাড়িয়ে তোলে। মেয়েদের এই দুর্দশা সামাজিক প্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অবস্থা কতটা শোচনীয় তা স্পষ্ট হয় যখন পরিসংখ্যান দেখা যায় স্কুলছুটদের  ৬৩.৫ শতাংশই হল মেয়ে। সমাজের দুর্বল , পিছিয়ে পড়া এবং হতাশার অন্ধকারে ডুবে যাওয়া এইসকল মেয়েদের আলোর পথে ফিরিয়ে আনার জন্যই ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার চালু করে কন্যাশ্রী প্রকল্প , যার ঘোষিত উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয় - " To reduce dropout rate and prevent early marriage .'' 

কন্যাশ্রী প্রকল্পের রূপরেখা :- ১০ থেকে ১৮ বছর বয়স - এই সময়কালকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO বলেছে মানুষের জীবন গঠনের কাল। কন্যাশ্রী প্রকল্পের ভাবনাও এই বয়সকে পরিচর্যা করার জন্যই। নারী এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে যে , যেসকল মেয়েদের পারিবারিক বার্ষিক আয় ১ লক্ষ ২০ টাকা বা তার কম , তারা বছরে ৫০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাবে এবং ১৮ বছর অবধি পড়া চালিয়ে গেলে ১৮ বছর বয়সে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরকার এককালীন ২৫ হাজার টাকা প্রদান করবে। ২০১৫ সালের রাজ্য বাজেটে এই বৃত্তির পরিমাণ ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরে যেখানে ২৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল সেখানে ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

তথ্য - বিশ্লেষণ :- 

সংগৃহীত তথ্যগুলিকে নীচে বিশ্লেষণ আকারে উপস্থাপন করা হল। 

কন্যাশ্রীর শর্তাবলী :- কন্যাশ্রী প্রকল্প অনুযায়ী বয়ঃসন্ধিকালীন মেয়েদের অনুদান ও বৃত্তির অর্থ প্রদানে কতগুলি শর্ত আরোপ করা হয়েছে - 
১. সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া কন্যাটির পারিবারিক বাৎসরিক আয় এক লক্ষ কুড়ি হাজারের কম হতে হবে। 
২. পারিবারিক আয় সংক্রান্ত ব্যাপারে কন্যার পিতা - মাতা বা অভিভাবককে স্বীকৃতিপত্রে সাক্ষর করতে হবে। 
৩. কন্যাটির বাসস্থানের সংশ্লিষ্ট এম পি বা পঞ্চায়েত প্রধান বা মিউনিসিপ্যালিটির কাউন্সিলরের শংসাপত্র প্রদান করতে হবে। 
৪. ছাত্রীর বয়সের প্রমাণপত্র প্রধান শিক্ষিকা কর্তৃক প্রত্যায়িত নকল প্রদান করতে হবে। 

কন্যাশ্রী প্রকল্পের লক্ষ্য :- কন্যাশ্রী প্রকল্প বঙ্গীয় নারীদের সার্বিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত। এর মূল লক্ষ্যগুলি হল - 
১. অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীরা বাল্যবিবাহ নামক নৃশংস কুপ্রথা থেকে মুক্তিলাভ করতে পারবে। 
২. তারা পড়াশোনার সাথে যুক্ত থাকতে পারবে ফলে সহজেই নিজেদের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে অগ্রসর হতে পারবে। 
৩. পড়াশোনায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করায় অকালে শিশুশ্রমিক হওয়ার অভিশাপ থেকে তাদের নিষ্কৃতিলাভ সম্ভব হবে। 
৪. এই প্রকল্পে মেয়েদের গঠনমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণের দ্বারা স্বনির্ভর হওয়ারও সুযোগ করে দিচ্ছে। 
৫. বাল্যবিবাহ রোধ হলে মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর সম্ভাবনা , স্বাস্থ্যবতী জননীর অভাবে শিশুর অপুষ্টির দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পাবে। 

সন্মান ও স্বীকৃতি :- কন্যাশ্রী প্রকল্প দেশের বাইরে একাধিক শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা লাভ করেছে। ২০১৪ সালে দক্ষিণ এশিয়া এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কন্যাশ্রী পেয়েছে মন্থন অ্যাওয়ার্ড। ২০১৪-১৫ তে পেয়েছে ভারত সরকারের ই - গভর্ণনেন্স অ্যাওয়ার্ড। ২০১৪ তে গার্ল সামিটে কন্যাশ্রী প্রকল্পকে বলা হয়েছে - '' ...... best practice amongst several international initiatives for the girl child .''  । তবে কন্যাশ্রীর মুকুটে শ্রেষ্ঠ পালকটি সংযোজিত হয়েছে ২০১৭ সালের ২৩ জুন। রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে জনপরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বীকৃতিতে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

সিদ্ধান্ত - গ্রহণ :- 

উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যে সকল সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় , সেগুলি হল - 
১. পশ্চিমবঙ্গ সরকার বেশ কিছু উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন। এর মধ্যে প্রধান উদ্দেশ্যগুলি হল - নারী শিক্ষার প্রসার , বাল্য বিবাহ রোধ , কন্যা - ভ্রূণ হত্যা রোধ ও নারীদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি। 
২. পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করার পর থেকে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ১৪ থেকে ২১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে। 
৩. কন্যাশ্রী প্রকল্প আজ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও লাভ করেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিকট হতে প্রাপ্ত স্বীকৃতি কন্যাশ্রী প্রকল্পের বাস্তবতা ও উপযোগিতাকে প্রমান করে। 
৪. পশ্চিমবঙ্গে নাবালিকা বিবাহ , বিদ্যালয়ের গন্ডি পার হলেই মেয়েদের বিবাহ স্থির করা - যা সর্বতোভাবে নারীদের উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে বাধা - সেগুলির বিরুদ্ধে এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। 
৫. সরকারি তথ্য অনুসারে বর্তমানে ৪১ লক্ষেরও বেশি বালিকা ছাত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্প দ্বারা উপকৃত। এ পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট কন্যাশ্রী প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি অন্যতম সফল পদক্ষেপ। 
৬. বাল্যবিবাহ , কন্যাভ্রূণ হত্যা - ইত্যাদি সামাজিক ব্যাধিগুলির বিরুদ্ধে কন্যাশ্রী প্রকল্প নিকট ভবিষ্যতে এক সফল রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচিত হবে। 
৭. সর্বপরি , আর্থিক ঋণভাৱে জর্জরিত হয়েও পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেভাবে এই নারী ও সমাজ উন্নয়নমূলক প্রকল্পটি চালু করেছেন - তা প্রশংসার দাবী রাখে। 

উপসংহার :- 

কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা ১ অক্টোবর ২০১৩ থেকে পশ্চিমবঙ্গের সর্বস্তরের স্কুলের ছাত্রীরা পেতে শুরু করেছে। সরকারের উদ্যোগেই জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট প্রতিটি ছাত্রীর নামে স্কুল নির্দিষ্ট ব্যাংকে খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের টাকা ওই অ্যাকাউন্ট- এ জমা পড়ে। সেখান থেকেই ছাত্রীরা প্রয়োজনমতো টাকা তুলে নিতে পারবে - এই ভাবনা থেকেই কন্যাশ্রী প্রকল্পের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে পরিতাপের বিষয় এই যে আমলাতান্ত্রিক প্রশাসনিক জটিলতার কারণে কিছু ছাত্রীদের অর্থ পেতে বিলম্ব হচ্ছে আবার কিছু অভিভাবকের সততার বিষয়টিও আজ প্রশ্নচিহ্নের মুখে। কারণ অনেক ক্ষেত্রে যাদের পারিবারিক আয় সরকার নির্দিষ্ট আয়ের বেশি , অনেক সময় তারাও ভুয়ো নথি দেখিয়ে এই প্রকল্পের সুযোগ নিচ্ছেন। অর্থাৎ , সামাজিক উন্নয়নের দায় শুধুমাত্র সরকারের উপর চাপিয়ে দিলে চলবে না ; সেই সঙ্গে প্রতিটি নাগরিককে সৎ , সচেতন ও কর্তব্য পরায়ণ হতে হবে। 

পাঠের সীমাবদ্ধতা :- 

প্রতিবেদনটি রচনাকালে এবং রূপায়িত হওয়ার পর যে সকল ত্রুটি - বিচ্যুতি ও সীমাবদ্ধতা দৃষ্টিগোচর হয়েছে সেগুলি নিম্নরূপ - 
১. কন্যাশ্রী প্রকল্পের বার্ষিক পরিসংখ্যানগুলির বিস্তারিত উল্লেখ নেই। 
২. কন্যাশ্রী প্রকল্পের মত এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে প্রকল্প রচনার সংক্ষিপ্ত পরিসরে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা সম্ভবপর হয়নি। 
৩. কন্যাশ্রী প্রকল্পের সীমাবদ্ধতা ও ব্যর্থতার দিকগুলির আলোচনা প্রকল্পটিতে অনুপস্থিত। 
৪. কন্যাশ্রী প্রকল্পের বর্তমান রূপরেখার বিস্তারিত পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়নি। 
৫. সর্বপরি , কন্যাশ্রী প্রকল্পের সামাজিক গুরুত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রীগণ , তাদের অভিভাবকগণ ও মাননীয়া প্রধান শিক্ষিকাবৃন্দের মতামত - প্রতিবেদনটিতে অনুপস্থিত। 

গ্রন্থপঞ্জি :- 

যে সকল গ্রন্থ ও ওয়েবসাইট থেকে প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে , সেগুলি হল - 
১. www.wbkanyashree.gov.in 
2. currentaffairs.gktoday.in
3. www.wb.gov.in
4. www.wikipedia.com
5. www.wbfin.nic.in 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

Share
Tweet
Pin
Share
No comments
Newer Posts
Older Posts

Contact Form

Name

Email *

Message *

About me

Hellow viewers, myself Nandan Dutta reside at Maheshpur ,Malda, West Bengal, India.

My intent to make the website is to share my view and knowledge to the HS students. They can easily find projects, HS suggestion and many more here.


Categories

  • Career (2)
  • CLASS 11 (XI) (1)
  • Class XI 1st Semester (7)
  • CLASS XI 2nd Semester (16)
  • H.S. 3rd SEM (9)
  • H.S. EDUCATION (5)
  • H.S. HISTORY (1)
  • HS SOCIOLOGY (2)
  • HS SUGGESTION (1)
  • INDIAN HISTORY (30)
  • NCERT (1)
  • POLITY (61)
  • PROJECT (96)
  • Sociological Studies (79)
  • Teaching & Education (128)
  • TEST PAPERS SOLVE (11)
  • TEST PAPERS SOLVE 2020 (7)
  • WORLD HISTORY (53)
  • XI EDUCATION (7)
  • XI HISTORY (3)
  • XI POL SC (1)
  • XI SOCIOLOGY (1)
  • XII Bengali (1)
  • XII Sanskrit (1)

recent posts

Sponsor

Facebook

Blog Archive

  • July 2025 (14)
  • June 2025 (4)
  • May 2025 (23)
  • April 2025 (75)
  • March 2025 (32)
  • December 2024 (5)
  • November 2024 (70)
  • October 2024 (1)
  • September 2024 (1)
  • July 2024 (5)
  • June 2024 (3)
  • April 2024 (2)
  • March 2024 (3)
  • February 2024 (11)
  • January 2024 (1)
  • November 2023 (4)
  • October 2023 (8)
  • September 2023 (10)
  • April 2023 (9)
  • March 2023 (18)
  • February 2023 (2)
  • January 2023 (1)
  • December 2022 (3)
  • November 2022 (3)
  • October 2022 (4)
  • September 2022 (16)
  • August 2022 (3)
  • July 2022 (5)
  • June 2022 (5)
  • April 2022 (23)
  • March 2022 (10)
  • February 2022 (18)
  • January 2022 (30)
  • December 2021 (8)
  • November 2021 (12)
  • October 2021 (2)
  • September 2021 (5)
  • August 2021 (2)
  • July 2021 (2)
  • June 2021 (5)
  • May 2021 (1)
  • April 2021 (2)
  • November 2020 (1)
  • October 2020 (1)
  • August 2020 (2)
  • June 2020 (3)
  • May 2020 (1)
  • October 2019 (3)
  • September 2019 (5)
  • August 2019 (3)
  • June 2019 (3)
  • May 2019 (3)
  • April 2019 (1)
  • March 2019 (2)
  • February 2019 (3)
  • December 2018 (1)
  • November 2018 (3)
  • October 2018 (4)
  • August 2018 (1)

Total Pageviews

Report Abuse

About Me

subhankar dutta
View my complete profile

Sponsor

Pages

  • Home
  • Project
  • জাতীয় শিক্ষানীতি 1986 SAQ
  • EDU FINAL A 2020
  • Class XI ( Class 11 ) Sociology chapter wise MCQ &...
  • Class 12 (H.S.) History Chapter Wise MCQ & SAQ
  • Class 11 (XI) Sociology 1st chapter MCQ & SAQ
  • H.S. Sociology notes .
  • H.S. Sociology 1st chapter MCQ & SAQ ( only reduce...
  • H.S. Education 10th chapter SAQ & MCQ
  • H.S. Education 10th chapter MCQ & SAQ
  • CLASS 12 SOCIOLOGY 4TH CHAPTER SAQ WITH ANSWER

Pages

  • About Me
  • Contact
  • Privacy Policy
  • Disclaimer

Created with by ThemeXpose | Distributed by Blogger Templates