Pages

Powered by Blogger.

Pages

Pages

Pages

facebook twitter instagram pinterest bloglovin Email
Career CLASS 11 (XI) Class XI 1st Semester CLASS XI 2nd Semester H.S. 3rd SEM H.S. 4th SEM H.S. EDUCATION H.S. HISTORY HS SOCIOLOGY HS SUGGESTION INDIAN HISTORY NCERT POLITY PROJECT Sociological Studies Teaching & Education TEST PAPERS SOLVE TEST PAPERS SOLVE 2020 WORLD HISTORY XI EDUCATION XI HISTORY XI POL SC XI SOCIOLOGY XII Bengali XII Sanskrit

Pages

Nandan Dutta

School project and education news.

Pages

উচ্চমাধ্যমিক প্রকল্প : সত্যজিৎ রায় - জীবন ও সাহিত্য :- 

সাহিত্যকর্মে সত্যজিৎ রায়ের অবদান :- 

H.S. Project : Satyajit Ray 



 
ভূমিকা :- 

বাংলা সাহিত্যে উচ্চস্থানীয় প্রতিভাবান লেখকদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যতিক্রমী লেখক হলেন সত্যজিৎ রায়। তিনি একদিকে যেমন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে বিশ্বজুড়ে প্রসিদ্ধ , ঠিক তেমন ভাবেই বাংলা সাহিত্যকেও তিনি তাঁর অনন্য লেখনীর দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর অন্যতম কৃতিত্ব হল তিনি বাংলা সাহিত্যে ছোটদের জন্য এক আশ্চর্য কল্পনার জগৎ খুলে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর লেখা '' প্রফেসর শঙ্কু '' র কথা উল্লেখ করতে হয়। বাংলা গোয়েন্দা চরিত্রকে তিনি এক উচ্চতম ও আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁর সৃষ্ট ফেলুদা আজও বাংলা সাহিত্যে , চলচ্চিত্র জগতে ও সামাজিক মাধ্যমগুলোতে উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের ন্যায় বিরাজমান। এছাড়াও তাঁর এমন কিছু অনুবাদ কর্ম আছে যেগুলি প্রতিটি বয়সের মানুষকে কল্পবিজ্ঞানের ডানা মেলে উড়ে যেতে সাহায্য করে। এই অনুবাদ কর্মগুলির মধ্যে অন্যতম হল '' মঙ্গলই স্বর্গ ''।  

বর্তমান প্রতিবেদনমূলক প্রকল্পটিতে সত্যজিৎ রায়ের জীবন , সাহিত্যকর্ম ও বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এর সাথে সাথে সত্যজিৎ রায়ের লেখনশৈলী , শিক্ষার্থীদের ওপর তাঁর সাহিত্যকীর্তির প্রভাব ও বর্তমান সময়ে তাঁর সাহিত্যকীর্তিগুলির প্রাসঙ্গিকতা - এ সকল বিষয়গুলির প্রতিও আলোকপাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। 


XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

প্রকল্পটির উদ্দেশ্য :- 

যে সকল উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রকল্পটি রচনা করা হয়েছে - সেগুলি হল - 
১. সত্যজিৎ রায়ের জীবন ও সাহিত্যকর্মগুলি সম্পর্কে জানা। 
২. সত্যজিৎ রায় কর্তৃক সৃষ্ট চরিত্রগুলি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। 
৩. সত্যজিৎ রায়ের লেখনীশৈলী বিচার করা। 
৪. বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান সম্পর্কে আলোচনা করা। 
৫. বর্তমান সময়ে সত্যজিৎ রায় ও তাঁর সাহিত্যকীর্তিগুলির প্রাসঙ্গিকতা বিচার করা। 
৬. শিক্ষার্থীরা তাঁর রচনা দ্বারা কতটা প্রভাবিত - সে সম্পর্কে অবগত হওয়া। 
৭. তাঁর রচনার বিশেষ বৈশিষ্টগুলি উন্মোচন করা। 
৮. সর্বোপরি , সত্যজিৎ রায় ও তাঁর সাহিত্যকীর্তি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কৌতূহলী করে তোলা। 

প্রকল্পটির গুরুত্ব :- 

যেসকল কারণে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতে পারে , সেগুলি হল - 
১. প্রকল্পটির মাধ্যমে খুব সহজেই সত্যজিৎ রায়ের জীবন ও তাঁর সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা সম্ভব। 
২. প্রকল্পটির মাধ্যমে সত্যজিৎ রায়ের রচনাশৈলী সম্পর্কে জানা সম্ভব। 
৩. বর্তমান কালে সত্যজিৎ রায় ও তাঁর সাহিত্যকীর্তিগুলি কতটা প্রাসঙ্গিক - সে সম্পর্কে জানতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ। 
৪. প্রত্যেক লেখকের সাহিত্যসৃষ্টির বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট থাকে। প্রকল্পটির মাধ্যমে সত্যজিৎ রায়ের সাহিত্যসৃষ্টিগুলির বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্টগুলি সম্পর্কে জানা সম্ভব। 
৫. সত্যজিৎ রায়ের সাহিত্যকীর্তিগুলি চলচ্চিত্র জগৎকে কতটা প্রভাবিত করেছে - প্রকল্পটি থেকে তা জানা যায়। 
৬. শিক্ষার্থীরা সত্যজিৎ রায়ের সাহিত্যসৃষ্টিগুলি দ্বারা কতটা প্রভাবিত - সে সম্পর্কেও প্রকল্পটিতে আলোচনা করা হয়েছে। 
৭. সর্বোপরি , সত্যজিৎ রায় ও তাঁর সাহিত্যকীর্তিগুলি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কৌতূহলী করে তুলতে প্রকল্পটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। 


তথ্য সংগ্রহ / পরীক্ষামূলক উপাদান :- 

সত্যজিৎ রায় : জীবন ও সাহিত্য :- 

জন্ম ও বংশপরিচয় :- ১৯২১ সালের ২ রা মে সত্যজিৎ রায়ের জন্ম হয়। পিতার নাম সুকুমার রায় ও পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। মাতার নাম সুপ্রভা রায়। এই মহান বংশে জন্ম নেওয়ার ফলে পূর্বসূরীদের সহজাত গুণগুলি সত্যজিৎ রায় বংশপরম্পরায় প্রাপ্ত করেন। পরিচিত মহলে তিনি মানিক নামেও পরিচিত ছিলেন। 

শিক্ষাজীবন :- তিনি বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। এরপর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতি অনার্স নিয়ে বি এ পাশ করেন। এরপর তিনি শান্তিনিকেতনের কলাভবনে ভর্তি হন। এই সময় তিনি বিভিন্ন ধরণের সংগীত ,সাহিত্য ও কৃষ্টিমূলক কর্মের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ লাভ করেন। শান্তিনিকেতনে তাঁর শিক্ষাগুরু ছিলেন বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়। 

কর্মজীবন :- তিনি ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে ডি জে কিমার নামক বিজ্ঞাপন সংস্থায় ভিসুয়ালাইজার পদে যোগদান করেন। এরপর সিগন্যাস প্রেসের প্রতিষ্ঠা হলে তিনি বইয়ের প্রচ্ছদ আঁকা শুরু করেন। মৌচাক পত্রিকায় তাঁর প্রথম অলংকরণ চিত্র প্রকাশিত হয়। এরপর ধীরে ধীরে তিনি ডি জে কিমার - এ আর্ট ডিরেক্টরের পদে উন্নীত হয়েছিলেন। 

চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অবদান :- চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে সত্যজিৎ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এবং তাঁর কাজের পরিমাণ বিপুল। তিনি ৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র পথের পাঁচালী (১৯৫৫) ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে, এর মধ্যে অন্যতম ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া Best Human Documentary পুরস্কার। পথের পাঁচালী, অপরাজিত (১৯৫৬) ও অপুর সংসার (১৯৫৯) – এই তিনটি একত্রে অপু ত্রয়ী নামে পরিচিত, এবং এই চলচ্চিত্র-ত্রয়ী সত্যজিতের জীবনের শ্রেষ্ঠ কর্ম হিসেবে বহুল স্বীকৃত। চলচ্চিত্র মাধ্যমে সত্যজিৎ চিত্রনাট্য রচনা, চরিত্রায়ন, সঙ্গীত স্বরলিপি রচনা, চিত্রগ্রহণ, শিল্প নির্দেশনা, সম্পাদনা, শিল্পী-কুশলীদের নামের তালিকা ও প্রচারণাপত্র নকশা করাসহ নানা কাজ করেছেন।  বর্ণময় কর্মজীবনে তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে বিখ্যাত হল ১৯৯২ সালে পাওয়া অ্যাকাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার বা অস্কার, যা তিনি সমগ্র কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেন। তিনি এছাড়াও ৩২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।     

সত্যজিৎ রায়ের সাহিত্যকীর্তি :- বাংলা সাহিত্য জগতে সত্যজিৎ রায় এক অনন্য ও বিরল প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তাঁর প্রতিটি সাহিত্যকীর্তি আজও সমানভাবে সকল বয়সের পাঠকবৃন্দের কাছে জনপ্রিয়। সত্যজিৎ রায়ের সাহিত্যকীর্তিগুলিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যেতে পারে। যেমন :- (ক) প্রফেসর শঙ্কুর গল্পসমূহ , (খ) গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদার গল্পসমূহ , (গ) তারিণীখুড়োর গল্পসমূহ , (ঘ) মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্পসমূহ , (ঙ) আত্মজীবনী , (চ) প্রবন্ধ , (ছ) কবিতা , (জ) অন্যান্য সাহিত্য সৃষ্টি , (ঞ) অনুবাদ গল্প ও (ঝ) অসমাপ্ত রচনাসমূহ। 

(ক) প্রফেসর শঙ্কুর গল্পসমূহ :- প্রফেসর শঙ্কু হলেন সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন বাঙালি বৈজ্ঞানিক। শঙ্কুর গল্পগুলি মূলতঃ কল্পবিজ্ঞান ও রহস্যগল্প। প্রফেসর শঙ্কুকে নিয়ে সত্যজিৎ রায় মোট আটটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন। এই গ্রন্থগুলির মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য গল্পগুলি হল - ব্যোমযাত্রীর ডায়রি , স্বর্ণপর্ণী , প্রফেসর শঙ্কু ও রক্তমৎস্য রহস্য , প্রফেসর শঙ্কু ও আশ্চর্য পুতুল , শঙ্কুর পরোলোকচর্চা , ডক্টর শেরিং এর স্মরণশক্তি - ইত্যাদি।

(খ) গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদার গল্পসমূহ :- সত্যজিৎ রায়ের অমর সৃষ্টি হলেন গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদা। এই চরিত্রটি সৃষ্টির মাধ্যমে তিনি গোয়েন্দা গল্পকে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে দিয়েছেন। ফেলুদা চরিত্রটি নিয়ে তিনি প্রায় ১৮ টি ছোটগল্প ও ১৭ টি উপন্যাস রচনা করেন। এই সকল রচনাগুলির মধ্যে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল - ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি , শেয়াল দেবতা রহস্য , সমাদ্দারের চাবি , গোলোকধাম রহস্য , নেপোলিয়নের চিঠি , জাহাঙ্গীরের স্বর্ণমুদ্রা , বাদশাহী আংটি , সোনার কেল্লা , কৈলাসে কেলেঙ্কারি , জয়বাবা ফেলুনাথ , বোম্বাইয়ের বোম্বেটে , ছিন্নমস্তার অভিশাপ , দার্জিলিং জমজমাট - ইত্যাদি। 

(গ) তারিণীখুড়োর গল্পসমূহ :- তারিণীখুড়ো হলেন সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট বিচিত্র ও বহুবিধ অভিজ্ঞতাসমন্ন একজন মানুষ। তারিণীখুড়োকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন গল্পগুলি হল -  মহারাজা তারিণীখুড়ো, তারিণীখুড়ো ও ঐন্দ্রজালিক, নরিস সাহেবের বাংলো, গণৎকার তারিণীখুড়ো , গল্পবলিয়ে তারিণীখুড়ো, ডুমনিগড়ের মানুষখেকো ,কনওয়ে কাস্‌লের প্রেতাত্মা , শেঠ গঙ্গারামের ধনদৌলত , লখ্‌নৌর ডুয়েল , ধুমলগড়ের হান্টিং লজ , খেলোয়াড় তারিণীখুড়ো , টলিউডে তারিণীখুড়ো , তারিণীখুড়ো ও বেতাল , মহিম সান্যালের ঘটনা - ইত্যাদি। 

(ঘ) মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্পসমূহ :- মধ্যপ্রাচ্যের মোল্লা নাসীরুদ্দীন হলেন এক জনপ্রিয় চরিত্র। তার অনেকগুলি গল্প সংগ্রহ করে সত্যজিৎ রায় মোল্লা নাসীরুদীনের গল্প নামে একটি সংকলন প্রকাশ করেন।

(ঙ) আত্মজীবনী :- সত্যজিৎ রায় নিজের আত্মজীবনীও লিখে গেছেন। এই আত্মজীবনীটির নাম হল - ''যখন ছোট ছিলাম'' । 

(চ) প্রবন্ধ :- সত্যজিৎ রায় রচিত প্রবন্ধগুলি হল - আওয়ার ফিল্ম - দেয়ার ফিল্ম , বিষয় চলচ্চিত্র , একেই বলে সুটিং। 

(ছ) কবিতা :- কিছু অনুবাদ ও লিমেরিক কবিতা '' তোরায় বাঁধা ডিম '' নামে প্রকাশিত হয়। 

(জ) অন্যান্য সাহিত্য সৃষ্টি :- একের পিঠে দুই , এগারো-বারো - ইত্যাদি। 

(ঞ) অনুবাদ গল্প :- মঙ্গলই স্বর্গ। 

(ঝ) অসমাপ্ত রচনাসমূহ :- বাক্স রহস্য (প্রথম খসড়া) , তোতা রহস্য (প্রথম খসড়া) ও আদিত্য বর্ধনের আবিষ্কার। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

তথ্য বিশ্লেষণ :- 

উপরোক্ত তথ্যগুলিকে নীচে বিশ্লেষণ আকারে উপস্থাপন করা হল। 

১. সত্যজিৎ রায়ের অন্যতম পরিচয় তিনি একজন মহান চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অস্কার বিজয়ী পরিচালক। কিন্তু অপরদিকে তাঁর সাহিত্য সাধনার ইতিহাসও সুদীর্ঘ। শঙ্কু , ফেলুদা , তারিণীখুড়ো , বঙ্কুবাবু ইত্যাদি চরিত্রগুলিকে নিয়ে বিভিন্ন সাহিত্য সৃষ্টি করে তিনি বাঙালি তথা ভারতীয় পাঠক হৃদয়ে চিরস্থায়ী স্থান দখল করে নিয়েছেন। 

২. ফেলুদা চরিত্রটির মধ্যে দিয়ে তিনি এক অনবদ্য গোয়েন্দা চরিত্র নির্মাণ করেছেন এবং গোয়েন্দা চরিত্রকে তিনি আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে দিয়েছেন। ফেলুদার স্বভাবগত বৈশিষ্ট , তার বাঙালিয়ানা , মগজাস্ত্রের প্রয়োগ বাঙালি পাঠকবর্গকে তীব্রভাবে আকৃষ্ট করে। 

৩. প্রফেসর শঙ্কু চরিত্রটির মধ্যে দিয়ে তিনি পাঠকবর্গের কল্পবিজ্ঞানের চেতনাকে বলিষ্ঠ করেছেন। শঙ্কুর আবিষ্কৃত বিভিন্ন রক্তপাতহীন অস্ত্র , সর্বরোগনাশক মিরাকিউরল - ইত্যাদি যেন ভবিষ্যত বিজ্ঞান সাধনার দিশারী। এছাড়াও শঙ্কুর কিছু গল্প বিশ্ব - ব্রম্মান্ড সম্পর্কে পাঠকবর্গের কৌতূহল উদ্রেক করে। 

৪. সত্যজিৎ রায়ের অপর এক মহান সৃষ্টি হলেন তারিণীখুড়ো। এই চরিত্রটি বিচিত্র ও বহুবিধ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। তার মধ্যে গল্প বলিয়ে এবং মজলিসি একটি চরিত্র বর্তমান। এই গল্পগুলির মাধ্যমে পাঠক বর্গের বিচিত্র ও বহুবিধ অভিজ্ঞতালাভ সম্ভব। এছাড়াও তারিণীখুড়োর বেশিরভাগ গল্প দুর্দান্ত রহস্যময়। 

৫. সত্যজিৎ রায়ের প্রায় প্রতিটি সাহিত্য সৃষ্টি আজও পাঠকমহলে সমানভাবে জনপ্রিয় এবং সমাদৃত। ফেলুদা , শঙ্কু , তারিণীখুড়ো - এই গল্পগুলির জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। 

৬. সত্যজিৎ রায়ের লেখা বিভিন্ন গল্প ও উপন্যাস চলচ্চিত্র জগৎকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। তিনি নিজে তাঁর বিভিন্ন গল্প থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু আজও সেই ধারা প্রবহমান এবং বহু সৃজনশীল পরিচালকেরা তাঁর রচিত গল্প ও উপন্যাস থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন এবং সেগুলি বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত সফল হচ্ছে। এ থেকেই সত্যজিৎ রায়ের জনপ্রিয়তা ও তাঁর সাহিত্য প্রতিভার পরিচয় মেলে।       

৭. সত্যজিৎ রায়ের সাহিত্যসৃষ্টিগুলির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট হল ভাষার সরলতা। অত্যন্ত রোমহর্ষক বা মানবীয় আবেদন পরিবেশের উপস্থাপনের সময়ও তিনি সহজ সরল ভাষার মাধ্যমে তা উপস্থাপন করেছেন। 

৮. সত্যজিৎ রায়ের সাহিত্যসৃষ্টি বিচিত্র অভিজ্ঞতার সমাহারের সৃষ্ট। ভৌতিক পরিবেশ , রোমহর্ষক রহস্য , হাস্যরস ও কৌতুক , ভ্রমণ , খাদ্য , জীবনবোধ এবং সর্বোপরি কল্পবিজ্ঞান - ইত্যাদি সবকিছুই তাঁর রচনায় সংযোজিত হয়েছে। 

৯. তাঁর রচনার সাহিত্যমূল্য অপরিসীম। তাঁর সাহিত্যগুলির মধ্যে তরুণ পাঠককুল ও শিশু মনস্তত্বের স্বাভাবিক বিকাশ ঘটার সমস্তরকম উপাদান বর্তমান। 

১০. সত্যজিৎ রায়ের সমস্ত সাহিত্য সৃষ্টি উচ্চ মানের রুচির পরিচায়ক। তাঁর সাহিত্যসৃষ্টিগুলির মধ্যে কোথাও অশ্লীলতা , চটকদারি বিষয় , চটুলতা - ইত্যাদির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এজন্যই প্রতিটি শিক্ষার্থীকে তাঁর সাহিত্যকীর্তিগুলি পাঠ করা অবশ্যই প্রয়োজন এবং পাঠক্রমে সেগুলি অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। 

উপসংহার :- 

পরিশেষে বলা যায় যে , সত্যজিৎ রায়ের রচনা কোনো বিশেষ শ্রেণি , বিশেষ বয়সের পাঠকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সকলপ্রকার পাঠকবর্গ সত্যজিৎ রায়ের সাহিত্যকীর্তিগুলির সাথে পরিচিত হয়েছেন এবং নিজেদের সমৃদ্ধ করেছেন। বর্তমানে সাহিত্য , চলচ্চিত্র , সামাজিক মাধ্যম , টেলিভিশন - সর্বক্ষেত্রেই তাঁর অবাধ গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা। পাঠকবর্গের কুসুম কোমল মননের বিকাশে সত্যজিৎ রায়ের সাহিত্যকীর্তিগুলি অনন্য ভূমিকা পালন করে - এখানেই তার মূল কৃতিত্ব। 

গ্রন্থপঞ্জি :- 

যে সকল গ্রন্থগুলি থেকে প্রকল্পটির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে , সেই গ্রন্থগুলি হল - 

১. প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি - পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। 
২. বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতি : একাদশ শ্রেণি - পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। 
৩. বাংলা ভাষা ও শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস : দ্বাদশ শ্রেণি - পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।     

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


উচ্চমাধ্যমিক প্রকল্প : সত্যজিৎ রায় - জীবন ও সাহিত্য :- 

সাহিত্যকর্মে সত্যজিৎ রায়ের অবদান :- 


Share
Tweet
Pin
Share
No comments

Dramatization : Strong Roots 

H.S. English Project : Dramatization of a story 

H.S. English Project : Strong Roots - A.P.J. Abdul Kalam 




Stage preparation :- The stage should be decorated in such a way that it looks like a typical twentieth century house. There will be very simple lighting and very simple furniture in the room.

SCENE : ONE 

When the screen rises, it is seen that Kalam is studying with one mind.

Father: Kalam, have you eaten son ?

Kalam: Yes father , I ate.

Father : What do you eat today?

Kalam : Rice , aromatic sambar , pickle and a dollop of fresh coconut chutney . Mother gave the food in banana leaf. Honestly, eating from a banana leaf is very tasty. But father ……… 

Father : What ? 

Kalam : Why does mother feed so many outsiders every day?

Father : Your mother Ashiamma is a noble woman. The outsiders are very poor . So your mother feeds them .

Kalam : Really , mother is a noble woman. 

Father : ok , P.L. Sastry will come soon. I have a lot of discussions with him. Now I go. 

Kalam : Father , who is Sastry uncle ? 

Father : He is the high priest of Rameswaram temple and a very close friend of mine. 

Kalam : One thing I like very much is that we do not have any religious conflict between Hindus and Muslims here.

Father : Yes it is true. Rameswarm is so famous to pilgrims. Our locality is predominantly Muslim, but there are quite a lot of Hindu fafamilies too , living amicably with their Muslim neighbours. There is no communal conflict. 

Kalam : Father , I want to make a confession in front of you. 

Father : Confession ! 

Kalam : You would take me to the old mosque for evening prayers everyday . But I have not the faintest idea of the meaning of the Arabic prayers chanted, but I am totally convinced that they reached God. 

Father : That is enough for your age ,son.   

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

SCENE : TWO 

Four to five people are present on the stage. They are all talking to Kalam's father about their problems. Each of them has a bowl in their hand. Kalam's father listens attentively to everyone's problems. 

People 1 : Sir, my son has no interest in studies. 
People 2 : My son is very scared at night.
People 3: There is a lot of unrest in my family.

Father : Put your trust in God. Everything will be fine. 

[ Saying this, Kalam’s father  put his finger in each bowl and recited a prayer .

Father : Take this water home and feed it. It contains God's mercy. Everything will be fine. 

People 1 & 2 & 3 : Thank you sir ! 

Father : Thank only to Allah , the merciful . 

[ Kalam had been watching everything with deep attention for so long. As soon as the outsiders left, he started talking to his father. ] 

Kalam : Father , what is the relevance of prayer which you just did ? 

Father : There is nothing mysterious about prayer. Rather, prayer made possible a communion of the spirit between people . When you pray , you transcend your body and become a part of the Cosmos , which knows no division of wealth , age , caste or Creed. 

Kalam : Why don’t you say this to the people who came to you for help and advice ? 

[ Father put his hands on Kalam’s shoulders and looked straight into his eyes . For quite some time he said nothing .] 

Father : Whenever human beings find themselves alone , as a natural reaction , they start looking for company. Whenever they are in trouble , they look for someone to help them. Whenever they reach an impasse , they look to someone to show them the way out. Every recurrent anguish , longing , and desire finds its own special helper . For the people who come to me in distress , I am but a go - between in their effort to propitiate demonic forces with prayers and offerings . This is not a correct approach at all and should never be followed . One must understand the difference between a fear - ridden vision of destiny and the vision that enables us to seek the enemy of fulfillment within ourselves .

Kalam : Why do we exist ? Why are people suffering so ? 

Father : In his own time , in his own place , in what he really is , and in the stage he has reached - good or bad - every human being is a specific element within the whole of the manifest divine Being . So why be afraid of difficulties , sufferings and problems ? When troubles come , try to understand the relevance of your sufferings . Adversity always presents opportunities for introspection.  

SCENE : THREE 

[ Kalam is old now. He is around 60 years old. ] 

Kalam : In my childhood my father’s answer to my question filled me with a strange energy and enthusiasm. In Fact I have , throughout my life , tried to emulate my father in my own world of science and technology.  I have endeavoured to understand the fundamental truths revealed to me by my father, and feel convinced that there exists a divine power that can lift one up from confusion , misery , melancholy and failure , and guide one to one’s true place . And once an individual severs his emotional and physical bond , he is on the road to freedom , happiness and peace of mind .   

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


Dramatization : Strong Roots 

H.S. English Project : Dramatization of a story 

H.S. English Project : Strong Roots 


Share
Tweet
Pin
Share
No comments

Dramatization : The Eyes Have It ( Ruskin Bond ) 

Dramatization of a story : The Eyes Have It 

H.S. English Project : The Eyes Have It . 




Stage Preparation :- 
The stage has to be prepared in such a way that the audience thinks it is a railway bogie. For this, the sound of the train must be added in the background. The sound from the backstage  of the train will diminish when the characters speak; and when they are silent, the sound in the background will be loud. The role of focus of light  is very important in this play. So we have to arrange focus light in order to make it realistic for the audience to have a railway bogie on the stage, the focus of the light should be on the characters only, without the use of bright lights throughout the stage.

The stage curtain rose. The sound of the train slowly stopping in the background. Then that sound will stop. The spectators realized that the train had stopped completely. A male passenger was sitting in his seat. After the train stopped, he left his seat and got up. Then begins his short conversation with the audience. 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

The male passenger : Hi, I’m travelling here by this train . You know , I’m completely blind. I always wander aimlessly like this. And I also play a game with it. The game is that I don't let anyone understand that I'm blind. Needless to say, I always win this game. I have become quite efficient day by day. This is how light enters my dark world. Anyway, let's sit down. 

[ Saying this, the male passenger took his seat again. ] 

[ Then a girl entered the stage with only one piece of luggage. At this point, some people start talking to the girl from behind the scenes. They talk from behind the scenes and the girl talks to them from the stage. ] 

Background ( Male ) : We are very anxious about your comfort in the train. You are going alone …….

The girl : It’s ok , I can take care of myself . Don’t worry .

Background ( Female ) :  Keep the bag close at hand all the time and don’t  lean out the window. And always remember don't talk to strangers.

The girl : Oh mother ! I am a grown up girl . Don’t worry so much . ( The train began to whistle ) Ok , good bye .

Background ( Both male and female ) : Good bye ……. Good bye …… 

[ The girl waved her one hand towards them . Then she moved to his seat. The sound of running trains from the background has already started. ] 

The male passenger : Are you going all the way to Dehra ? 

The girl : Who ? 

The male passenger : I didn’t see you either , but I heard you come in . 

The girl : I’m getting off at Saharanpur . My aunt is meeting me there. 

The male passenger : Then I had better not get too familiar .

The girl : Why are you saying that ? 

The male passenger ( laughing ) : You know , aunts are usually formidable creatures .

[ The girl started laughing .]    

The girl : Where are you going ? 

The male passenger : To Dehra , and then to Mussoorie . 

The girl ( excited ) : Oh , how lucky you are ! I wish I were going to Mussoorie . I love the hills , especially in October . 

The male passenger : Yes , this is the best time. ( A little pause ) In October , the hills are covered with wild dahlias , the sun is delicious , and at night you can sit in front of a logfire and drink a little brandy . Most of the tourists have gone , and the roads are quiet and almost deserted. Yes , October is the best time . 

[ A little pause . ] 

What is it like outside ? 

[ As soon as he says this, he will act or gesture in such a way that it will seem that he has made a mistake .] 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

 LIST OF ALL PROJECTS CLICK HERE

The girl : Why don't you look out of the window ? 

[ After hearing this word from the girl , the male passenger should be relieved - such an act or gesture should be done. ] 

The male passenger : I can tell with my eyes closed what is seen now through the window. I could see telegraph posts flashing by ……….. Have you noticed that the trees seem to be moving while we seem to be standing still ? 

The girl : That always happens , ………………… do you see any animals ? 

The male passenger : No ……….. I still closed my eyes but I can tell you that there is no animal outside there . I know that there were hardly any animals left in the forests near Dehra … 

The girl : Wow , you have a very powerful inward eye. 

The male passenger : But you have an interesting face . 

( The girl started laughing pleasantly ) 

The girl : It’s nice to be told I have an interesting face . I’m tired of people telling me that I have a pretty face. 

The male passenger ( after a little thought ) : Well , an interesting face can also be pretty . 

The girl : You are a gallant young man ,.............. But why are you so serious ? 

[ A little pause ] 

The male passenger : We’ll soon be at your station . 

The girl : Thank goodness it’s a short journey . I can’t bear to sit in a train for more than two or three hours. 

[ A long pause . Only the background sound of the running train is heard . And then the carriage wheels changed their sound and rhythm , and the girl got up and collected her luggage. She is standing very close to the male passenger and the male passenger is feeling her presence. At one time , the background sound stopped . ]  

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

 LIST OF ALL PROJECTS CLICK HERE

The girl : Goodbye [ and then she moved ] 

[  At this time some special words have to be presented in the background. There will be the shouts of the coolies, the shouts of the hawkers. And a shout can be heard so that it seems as if someone has hit someone and is arguing about that. After that , one is heard saying - 
‘’Oh well well, I did not understand, forgive me.’’
After hearing it , the train's whistle blew and the sound of a running train was heard again . A new passenger entered the stage .He sat right in front of the male passenger. ]    

The new passenger : You must be disappointed ! 

The male passenger :  Why are you saying that?

The new passenger ( Laughing ) : You must be disappointed . I’m not nearly as attractive a travelling companion as the one who just left . 

The male passenger : She was an interesting girl . 

The new passenger : I think so . 

The male passenger : Can you tell me - did she keep her hair long or short ? 

The new passenger : I don’t remember …………… It was her eyes I noticed , not her hair . 

The male passenger : Why ? Anything special ? 

The new passenger : She had beautiful eyes - but they were of no use to her . She was completely blind . Didn’t you notice ? 

[ The male passenger sat bewildered and speechless . Only the terrifying roar of the train can be heard from the background. Slowly the curtain came down. ] 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


Share
Tweet
Pin
Share
No comments

উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রকল্প : বিভিন্ন ধরণের জাদুঘর :- 


বিভিন্ন ধরণের জাদুঘর / জাদুঘরের প্রকারভেদ। 




ভূমিকা : - 

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আজ অসংখ্য জাদুঘরের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন জাদুঘর বিভিন্ন ধরনের, যেমন—শিল্প, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি প্রভৃতি বিষয়ের সামগ্রী সংরক্ষণ করে , সেসব বিষয়ের প্রতি আলােকপাত করে। আবার কোনাে কোনাে জাদুঘর নির্দিষ্ট কোনাে একটি বা গুটিকয় বিষয়ের সামগ্রী সংগ্রহ করে এবং সেগুলির প্রতি আলােকপাত করে। প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে জাদুঘরে সংরক্ষিত বস্তুগুলির ভিত্তিতে এসব জাদঘরকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা যায়। অবশ্য কোনাে একটি জাদুঘর একই সঙ্গে একাধিক শ্রেণিবিভাগের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। 

বর্তমান প্রকল্পটিতে বিভিন্ন প্রকারের জাদুঘর সম্পর্কে আলােচনা করা হল এবং তার সাথে সাথে প্রতিটি জাদুঘরের বিশেষ বৈশিষ্ট ও তাদের নিদর্শন ও উদাহরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

প্রকল্প রচনার উদ্দেশ্য : - 

যে সকল উদ্দেশ্যগুলিকে সামনে রেখে প্রকল্পটি রচনা করা হয়েছে , সেগুলি নীচে আলোচনা করা হল। 
১. পৃথিবীর বিভিন্ন ধরণের জাদুঘর সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। 
২. জাদুঘরগুলির বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্টগুলি সম্পর্কে অবগত হওয়া। 
৩. বিভিন্ন ধরণের জাদুঘরগুলিতে কোন ধরণের নিদর্শন সংরক্ষিত থাকে - সে সম্পর্কে আলোচনা করা। 
৪. বিভিন্ন প্রকার জাদুঘরগুলি কিভাবে ঐতিহাসিক উপাদান হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ - সে বিষয়ে আলোচনা করা। 
৫. ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে জাদুঘরগুলির ভূমিকা পর্যালোচনা করা। 
৬. সর্বোপরি বিভিন্ন ধরণের জাদুঘর সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কৌতুহলী করে তোলা। 

প্রকল্পটির গুরুত্ব :- 

যে সকল কারণে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতে পারে সেগুলি হল - 
১. প্রকল্পটির মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন ধরণের জাদুঘর সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে প্রকল্পটি কার্যকর। 
২. প্রতিটি ধরণের জাদুঘর ঠিক কোন কোন ধরণের নিদর্শন সংরক্ষণ করে - তা এই প্রকল্পটি থেকে সহজেই জানা যায়। 
৩. জাদুঘর কিভাবে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ করে - তা জানতে প্রকল্পটি উপযোগী। 
৪. ইতিহাস রচনার উপাদান হিসাবে জাদুঘরের ভূমিকার মূল্যায়ন করতে প্রকল্পটি বিশেষ সহায়ক হতে পারে। 
৫. সর্বোপরি , ইতিহাস ও জাদুঘর বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কৌতুহলী করে তুলতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

তথ্য সংগ্রহ :- 

প্রকল্পের জন্য তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের মাননীয় শিক্ষক / মাননীয়া শিক্ষিকা - র নির্দেশমত বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠ করা হয়। যে সকল গ্রন্থ প্রকল্পটি রচনার কাজে বিশেষভাবে সহায়ক হয়েছে , তার মধ্যে অন্যতম হল - ভারত ও বিশ্বের ইতিহাস - জীবন মুখোপাধ্যায় ও সুভাষ বিশ্বাস। তথ্য সংগ্রহে সময় পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন ধরণের জাদুঘর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগৃহীত হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ধরণের জাদুঘরের বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট ও তাদের নিদর্শন সম্পর্কেও তথ্য সংগৃহীত হয়েছে। জাদুঘর গুলির বর্ণনা ছাড়াও ইতিহাসের উপাদান হিসাবে জাদুঘরের ভূমিকা , অতীত ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে জাদুঘর কিভাবে ভূমিকা পালন করে সে সকল বিষয়গুলি সম্পর্কেও তথ্য সংগৃহীত হয়েছে ও প্রকল্পটিতে সংযোজিত হয়েছে। 

প্রকল্পের বর্ণনা : তথ্য বিশ্লেষণ : - 

জাদুঘরের প্রকারভেদ :- 


১. বিশ্বকোশ জাদুঘর : - বিশ্বকোশ জাদুঘর (Encyclopedic Museums) বলতে সুবৃহৎ, বিশেষ করে বিভিন্ন দেশের জাতীয় জাদুঘরকে বােঝায় ; যেখানে বিপুল সংখ্যক দর্শকের প্রবেশের সুযােগ থাকে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন বিষয়ের বিপুল ও অসাধারণ সংগ্রহ থাকে।  উদাহরণ : বিশ্বকোশ জাদুঘরের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হল ব্রিটিশ মিউজিয়াম। ব্রিটিশ মিউজিয়ামকে সর্বজনীন জাদুঘর’ (universal museum) বলা হয়। 

২. প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর : প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে (Archaeology Museums) কেবলমাত্র প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং প্রদর্শন করা হয়। এই ধরনের জাদুঘরকে দুইভাগে বিভক্ত করা যায়, যথা— খােলা জায়গায় ও অট্টালিকার অভ্যন্তরে। প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের উদাহরণ হল ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়াম। এখানে বিভিন্ন প্রাচীন নৌযানের সংগ্রহ রয়েছে। 

৩.  শিল্প জাদুঘর: শিল্প জাদুঘরে (Art Museums) বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। এসব শিল্পকলা মৃৎশিল্প, আসবাবপত্র, ধাতুর ফলকে খােদিত শিল্প, ভাস্কর্য, চিত্র, নকশা, শিল্প-সংক্রান্ত পুস্তক, প্রাচীন মুদ্রণ প্রভৃতি নানা ধরনের হতে পারে।  উদাহরণ : ১৬৭৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসমােলিয়ান জাদুঘর (Ashmolean Museum) হল পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক শিল্প জাদুঘরের উদাহরণ।

৪. ঐতিহাসিক গৃহ জাদুঘর :  কোনাে প্রাচীন ঐতিহাসিক গৃহকে কেন্দ্র করে যে জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়, তা ঐতিহাসিক গৃহ জাদুঘর (Historic House Museums) নামে পরিচিত। ঐতিহাসিক গৃহ বলতে কোনাে বিশেষ স্থাপত্যরীতি সমন্বিত অট্টালিকা, কোনাে খ্যাতনামা ব্যক্তির জন্মস্থান বা কোনাে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী ছিল এমন বাড়ি হতে পারে। উদাহরণ : মুরশিদাবাদ জেলার লালবাগে অবস্থিত হাজার দুয়ারি একটি ঐতিহাসিক গৃহ জাদুঘরের উদাহরণ। 

৫. জীবন্ত জাদুঘর :  ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রাচীনযুগের মানুষের জীবনযাত্রা অনুকরণ করে যেসব জাদুঘরে দর্শকদের দেখানাে হয় সেগুলিকে জীবন্ত জাদুঘর (Living Museums) বলা হয়। এই ধরনের জাদুঘরে প্রাচীন সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক পরিবেশ, ঐতিহাসিক সময়কাল ইত্যাদি কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করে দর্শকদের দেখানাে হয়। উদাহরণ ; প্রথম জীবন্ত জাদুঘর হল ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে সুইডেনের স্টকহােমের কাছে আর্থার হ্যাজেলিয়াস (Arthur Hazelius) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। 

৬. সমুদ্র জাদুঘর :  সমুদ্র জাদুঘর (Maritime Museums) হল প্রাচীনকালের সমুদ্রজীবন সংক্রান্ত সংগ্রহশালা। এই ধরনের জাদুঘরে সমুদ্র সংক্রান্ত ইতিহাস, সংস্কৃতি, প্রত্নতত্ত্ব প্রভৃতি বিশেষ করে জাহাজ সংক্রান্ত নিদর্শন প্রদর্শন করা হয়।  উদাহরণ : ভার্জিনিয়ার মেরিনার্স মিউজিয়াম, সান ফ্রান্সিসকো মেরিটাইম মিউজিয়াম।  

৭.  সামরিক জাদুঘর : সামরিক জাদুঘরে (Military Museums) কোনাে দেশের সামরিক বাহিনী ও যুদ্ধসংক্রান্ত নানা নিদর্শন সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করা হয়। সাধারণত কোনাে দেশের জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে সেদেশে এ ধরনের জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়। উদাহরণ : দ্য ন্যাশনাল ফাস্ট ওয়ার্ল্ড ওয়ার মিউজিয়াম’, কানাডিয়ান ওয়ার মিউজিয়াম’ প্রভৃতি হল সামরিক জাদুঘরের উদাহরণ।

৮. প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর : প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর (Natural History Museums) প্রাকৃতিক পৃথিবীর বিভিন্ন নিদর্শন সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করে থাকে। এই ধরনের জাদুঘরগুলি বিশ্বপ্রকৃতি এবং সংস্কৃতির ওপর বেশি আলােকপাত করে। উদাহরণ : লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম, অক্সফোর্ডের অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি। 

৯. বিজ্ঞান জাদুঘর : বিজ্ঞান জাদুঘর (Science Museums) বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত বিবর্তন, বিজ্ঞানের অগ্রগতি, বিস্ময় প্রভৃতি বিষয়ের নিদর্শন সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করে থাকে। বিজ্ঞানের জাদুঘরগুলি অধিকাংশ সময়ই একটি গম্বুজের চতুর্দিকে বৃত্তাকার অট্টালিকায় গড়ে ওঠে। উদাহরণ : শিকাগাের ‘মিউজিয়াম অব সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’ হল একটি বিজ্ঞান জাদুঘর। 

১০. খোলা আকাশের নীচে জাদুঘর : অতীতের কোনাে প্রাচীন অট্টালিকার অনুকরণে খােলা জায়গায় যখন পরবর্তীকালে নতুন করে অট্টালিকা নির্মাণ করে তা দর্শকদের প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে খুলে দেওয়া হয় তখন তাকে খােলা আকাশের নীচে জাদুঘর (Open-air Museums) বলা হয়। উদাহরণ : নরওয়ের অসলাে শহরের কাছে নির্মিত (১৮৮১ খ্রি.) দ্বিতীয় অস্কারের জাদুঘরটি হল খােলা আকাশের নীচে স্থাপিত প্রথম জাদুঘর।

১১. চলমান জাদুঘর :  যখন কোনাে চলমান যানের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে ঐতিহাসিক বা দুর্লভ  নিদর্শনসমূহ দর্শকদের সামনে প্রদর্শন করা হয় তখন তাকে চলমান জাদুঘর (Mobile Museums) বলে। 
উদাহরণ: ২০১১ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বকবি রবীন্দ ঠাকরের জন্মের সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে তাঁর জীবনকাহিনিকে কেন্দ্র করে ভারতীয় রেল এক ট্রেনে জাদুঘর তৈরি করে।

 ১২.  ক্ষণস্থায়ী জাদুঘর : ক্ষণস্থায়ী জাদুঘর (Pop-up Museums)  বলতে অস্থায়ী প্রেক্ষাপটে অল্প সময়ের জন্য নির্মিত জাদুঘরকে বোঝায়। এই ধরনের জাদুঘর প্রতিষ্ঠার প্রবণতা ১৯৯০-এর দশকে প্রসার লাভ করে। মানুষের সঙ্গে নিবিড় যােগাযােগ গড়ে তােলার উদ্দেশ্যে স্থায়ী জাদুঘরগুলিই অনেক সময় বিভিন্ন স্থানে ক্ষণস্থায়ী জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করে জনগণকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। উদাহরণ : ক্ষণস্থায়ী জাদুঘরের উদাহরণ হল মিচিগানের মিউজিয়াম অব নিউ আর্ট’ (১৯৯৬ খ্রি.) । 

১৩.  বিশেষ জাদুঘর :  কিছু কিছু জাদুঘর বিভিন্ন ধরনের পৃথক এবং বিশেষ বিষয়ের নিদর্শন সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করে থাকে। এই ধরনের জাদুঘর বিশেষ জাদুঘর (Specialized Mueums) নামে পরিচিত, যেমন— উদাহরণ : সুরকারদের জীবন ও কর্মের ওপর আলােকপাত করে ক্লীভল্যান্ডের রক অ্যান্ড রােল হল অব ফেম’ এবং খ্যাতনামা ব্যক্তিদের মােমের মূর্তি সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করে লন্ডনের মাদাম তুসাের জাদুঘর।

১৪.  নেট জাদুঘর :  সাম্প্রতিককালে দেখা যায় যে, বিভিন্ন জাদুঘর বা অন্য কোনাে সংস্থা তাদের বিভিন্ন নিদর্শনগুলির ছবি তুলে সেগুলি ইন্টারনেটে প্রকাশ করছে। দর্শকরা প্রত্যক্ষভাবে বাস্তব নিদর্শনগুলি না দেখতে পেলেও জাদুঘরের ওয়েবসাইটগুলি দেখে তাদের চাহিদা অনেকটাই মেটাতে পারছেন। এই ধরনের জাদুঘরকে নেট জাদুঘর (Net Museums) বা তাত্ত্বিক জাদুঘর (Virtual Museums) বলা হয়। উদাহরণ : ভারচুয়াল মিউজিয়াম অব কানাডা’। 

১৫.  জৈব পার্ক ও বৃক্ষের বাগান : জৈব পার্ক অর্থাৎ চিড়িয়াখানা এবং বৃক্ষের বাগান (Zoological Parks and Botanic Gardens) এক ধরনের জাদুঘর বলে বিবেচিত হয়। কেননা, জাদুঘরের মতাে এগুলিরও লক্ষ্য হল বিভিন্ন নিদর্শন সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন, শিক্ষাদান প্রভৃতি। উদাহরণ : কলকাতা চিড়িয়াখানা’ প্রভৃতি। 

১৬. স্থানীয় জাদুঘর : স্থানীয় এলাকা থেকে বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন সংগ্রহ করে ছােটো শহর।
বা গ্রামাঞলে জাদুঘর গড়ে উঠতে দেখা যায়। এগুলি স্থানীয় জাদুঘর নামে পরিচিত।  উদাহরণ : আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রিমন্ট শহরে এরূপ জাদুঘর রয়েছে।

১৭. ব্যক্তিগত জাদুঘর : বিভিন্ন ধনী ব্যক্তি বা পরিবার নিজস্ব উৎসাহ ও ব্যয়ে ঐতিহাসিক উপাদান সংগ্রহ করে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন। এগুলি ব্যক্তিগত জাদুঘর নামে পরিচিত। উদাহরণ : ব্যক্তিগত জাদুঘরের একটি উদাহরণ হল নদীয়া জেলার কৃয়নগরে মােহিত রায়ের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত জাদুঘর। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

সিদ্ধান্ত গ্রহণ : - 

উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়। যেমন - 

প্রথমতঃ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন ধরণের জাদুঘরের প্রকৃতি ও উদ্দেশ্য ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। একেক ধরণের জাদুঘর একেক ধরণের উদ্দেশ্য নিয়ে নির্মিত হয়।   

দ্বিতীয়তঃ যে উদ্দেশেই প্রতিষ্ঠিত হোক না কেন , জাদুঘরগুলিকে ইতিহাস ও পুরাবস্তুর সংরক্ষণে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। ঐতিহাসিক লিপি , প্রাচীন মুদ্রা , শিল্পকর্ম - ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের প্রত্নবস্তুর সংরক্ষণ করা হল জাদুঘরের প্রধান কাজ। 

তৃতীয়তঃ জাদুঘরগুলি শুধুমাত্র প্রত্নবস্তু সংরক্ষণ করেই নিজের ভূমিকা সমাপ্ত করে না। প্রত্নবস্তুগুলিকে সংরক্ষণের সাথে সাথে নাগরিকদের উদ্দেশ্যে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করাও জাদুঘরের প্রধান কাজ। 

চতুর্থতঃ একই প্রত্নবস্তুকে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য জাদুঘর ওই প্রত্নবস্তুটির প্রতিকৃতি বা মডেল নির্মাণ করে। 

পঞ্চমতঃ প্রতিটি জাদুঘর ইতিহাসের উপাদান হিসাবে , সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসাবে তার ভূমিকা পালন করে। 

ষষ্ঠতঃ এইভাবে বিভিন্ন উপায়ে জাদুঘর সাধারণ মানুষের মধ্যে ঐতিহাসিক জ্ঞানের প্রসার ঘটায়। 

সপ্তমতঃ জাদুঘর শুধুমাত্র যে ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তুগুলিই সংরক্ষণ করে এমনটা নয় ; তার সাথে সাথে প্রাকৃতিক পরিবেশ , মানব সংস্কৃতি , মহান ঘটনা , গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা , খ্যাতনামা ব্যক্তি - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়েও সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কাজ করে থাকে। 

অষ্টমতঃ অতীত ও বর্তমানের সেতুবন্ধক রূপে জাদুঘর অতীতের সভ্যতার জ্ঞান প্রদান করে বর্তমান সভ্যতার গঠনে ও তার প্রসারে সহায়তা করে। 

উপসংহার : - 

পরিশেষে বলা যায় যে , বিভিন্ন বিষয়ের বিভিন্ন জাদুঘর মানুষের জ্ঞানের আঙ্গিক ও চেতনাকে পরিপূর্ণ করে তোলে। মানব জাতিকে তার অতীত , সমাজ ও সংস্কৃতির পরিচয় প্রদান করে মানব সমাজকে গড়ে উঠতে সাহায্য করে ও ইতিহাসের উপাদান হিসাবে ইতিহাস রচনা করতে সাহায্য করে। 

গ্রন্থপঞ্জি :- 

যে সকল গ্রন্থ থেকে প্রকল্পটির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগৃহীত হয়েছে সেগুলি হল - 
১. ভারত ও বিশ্বের ইতিহাস -  জীবন মুখোপাধ্যায় ও সুভাষ বিশ্বাস। 
২. ভারত ইতিহাসের সন্ধানে - দিলীপ কুমার গঙ্গোপাধ্যায়। 
৩. Helps to the study of WBCS optional HISTORY - Oriental Publication .  

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

 
Share
Tweet
Pin
Share
1 comments

H.S. Sociology project 

Class 11 Sociology Project 

ব্যক্তিত্ব গঠনে বংশগতি ও পরিবেশের ভূমিকা :- 




ভূমিকা :- 

 প্রাকৃতিক ও সামাজিক—উভয় প্রকার পরিবেশই মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠনে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। এটিকে বলা হয় ব্যক্তিত্বের নির্ণায়ক। প্রাকৃতিক পরিবেশ একদিকে যেমন ব্যক্তিত্বের কিছুকিছু দিককে সীমাবদ্ধ করে, তেমন কিছুকিছু দিকের বিকাশও ঘটিয়ে থাকে। | ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের গঠন ও তার প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভূমিকা আলােচনা করলে দেখা যায় যে, সাধারণত উত্তপ্ত ও আর্দ্র ভৌগােলিক আবহাওয়ায় বসবাসকারী লােকজন দুর্বল ও ভীরুপ্রকৃতির হয়ে থাকে। কারণ উত্তাপ ব্যক্তিকে অল্পতেই ক্লান্ত করে তােলে। আবার অতিরিক্ত শীত মানুষের কর্মকাণ্ডের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে। অতএব, নাতিশীতােষ্ণ আবহাওয়াই মানুষের কর্মক্ষমতাকে বৃদ্ধি করার জন্য উপযুক্ত। উষ্ণতার পাশাপাশি ভূমিরূপের গঠনও ব্যক্তিত্ব গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত দেখা গেছে। সমতলে বসবাসকারী ব্যক্তিগণ অপেক্ষাকৃত বেশি শিক্ষিত হন, তাদের ললিতকলাসমূহের বিকাশ অগ্রগতি লাভ। করে, তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত প্রকৃতির হয়।

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

আবার , প্রত্যেক ব্যক্তিই তার কিছুকিছু জৈবিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য তার পিতা-মাতার কাছ থেকে পেয়ে থাকে। এগুলিকে আমরা বলি বংশগতি সূত্রে পাওয়া। অর্থাৎ পিতা-মাতার কাছ থেকে তাদের সন্তান-সন্ততিতে বংশগত বৈশিষ্ট্যসমূহের সঞ্চারণকে বলা হয় বংশগতি বা Heredity। অস্ট্রিয়াবাসী ধর্মযাজক গ্রেগর জোহান মেন্ডেল ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে বংশগতির মূল সূত্রগুলি আবিষ্কার করেন। তার এই সূত্রগুলিকে মেণ্ডেলিজ বা মেণ্ডেলতত্ত্ব বলা হয়। মেণ্ডেলের মতে, মানুষের যাবতীয় বৈশিষ্ট্যাদি কেবলমাত্র একজোড়া নির্ধারকের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই নির্ধারক হল ‘জিন’ (জিন কথাটি প্রথম ১৯০৬ সালে জোহানসেন ব্যবহার করেন। প্রত্যেক কোশের নিউক্লিয়াসে যে ক্রোমােজোম থাকে, সেটাই হল জীনের বাহক। এই জিনগুলিই শিশুর দৈহিক ও মানসিক প্রকৃতি নির্ধারণ করে।

প্রকল্পটি রচনার উদ্দেশ্য :- 

যে সকল উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রকল্পটি রূপায়ণ করা হয়েছে সেগুলি হল - 
১. ব্যক্তিত্বের ওপর পরিবেশের প্রভাব সম্পর্কে জানা। 
২. বংশগতি কাকে বলে - সে সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা। 
৩. ব্যক্তিত্বের ওপর বংশগতির প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা। 
৪. ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গঠনে পরিবেশ ও বংশগতির প্রভাব সম্পর্কে তুলনামূলক আলোচনা করা। 
৫. সর্বপরি , '' ব্যক্তিত্বের ওপর পরিবেশ ও বংশগতির প্রভাব '' বিষয়টির প্রতি শিক্ষার্থীদের কৌতূহলী করে তোলা। 

প্রকল্পটির গুরুত্ব :- 

যে সকল কারণে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতে পারে , সেগুলি হল - 
১. প্রকল্পটির মাধ্যমে ব্যক্তিত্বের ওপর পরিবেশের প্রভাব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব। 
২. ব্যক্তিত্বের ওপর বংশগতির প্রভাব সম্পর্কে জানতে প্রকল্পটি কার্যকর। 
৩. ব্যক্তিত্বের ওপর বংশগতি ও পরিবেশের প্রভাবের তুলনামূলক আলোচনার ফলে প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে সমাজতত্ত্বের শিক্ষার্থীদের নিকট বিবেচিত হতে পারে। 
৪. সর্বপরি , ব্যক্তিত্বের ওপর পরিবেশ ও বংশগতির প্রভাব সম্পর্কিত বিষয়টির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কৌতূহলী করে তোলা সম্ভব। 

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

তথ্য সংগ্রহ :- 

প্রকল্পের তথ্য সংগ্রহের জন্য বিদ্যালয়ের মাননীয় শিক্ষক / মাননীয়া শিক্ষিকার নির্দেশমত বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠ করা হয়। যে সকল প্রকল্পটির জন্য তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সেই গ্রন্থটি হল - উচ্চমাধ্যমিক সমাজতত্ত্ব ( একাদশ ) - অরুনাংশু প্রধান। 
তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের মাননীয় শিক্ষক / মাননীয়া শিক্ষিকা - র নির্দেশমত ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গঠনে পরিবেশ ও বংশগতি উভয় উপাদানগুলির ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। তার সাথে সাথে তুলনামূলক আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টিকে আরও যুক্তিনির্ভর ও গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। 

তথ্য বিশ্লেষণ :- 

ব্যক্তিত্ব গঠনে কার ভূমিকা বেশি—এটি সমাজতত্ত্বে একটি বির্তকমূলক আলােচনা। উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধ থেকে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হলেও আজও এর উত্তর মেলেনি। আসলে ব্যক্তিত্ব গঠনে এই দুইয়ের ভূমিকা আছে। একে অন্যের পরিপূরক হিসাবে কাজ করে থাকে। সেই কারণে এ জাতীয় প্রশ্নের উত্তর প্রদানও খুব সহজ নয়।
একাধিক গবেষণায় দেখানাে হয়েছে যে, বংশগতি ব্যক্তিত্ব গঠনে অধিক ভূমিকা পালন করে। জিউক এডওয়ার্ড-কাল্লিকাক পরিবার নিয়ে সমীক্ষা, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে I.Q. Test  - প্রভৃতির ফলগুলি দেখলে স্বাভাবিক ভাবেই মনে হয় যে, বংশগতিই মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কিন্তু ব্যক্তিত্ব গঠনে বংশগতির ভূমিকা সম্পর্কিত পরীক্ষা ও সে সম্পর্কিত মতামতগুলিকে নিম্নলিখিতভাবে সমালােচনা করা যেতে পারে।

১. বংশগতি দ্বারা দৈহিক বৈশিষ্ট্যসমূহ নির্ণীত হলে দেখা যেত যে, কোনাে ব্যক্তির মাতা - পিতা  সুঠামদেহী, সুদর্শন হলেই তার সন্তানও অনুরূপ হবে, কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। কোনাে সন্তান যদি অস্বাস্থ্যকর ও প্রতিকূল পরিবেশে মানুষ হয়, তাহলে তার উক্ত বৈশিষ্ট্যটি পুরােপুরিভাবে ফুটে উঠবে, এটা আশা করা যায় না।

২. ব্যক্তিত্ব গঠনে সাংস্কৃতিক পরিবেশেরও অবদান আছে। ব্যক্তি সামাজিকীকরণের মাধ্যমে সংস্কৃতির উপাদানগুলিকে আয়ত্ত করে ব্যক্তিত্ববান হয়ে ওঠে। কারুর ঠিকমতাে সামাজিকীকরণ না হলে তার পিতা যতই শিক্ষিত বা বুদ্ধিধারী হন না কেন, তার সন্তানের ওই গুণগুলি প্রকাশ পায় না। 

৩. ব্যক্তির সকল মানসিক বৈশিষ্ট্যাদি বংশগতি সূত্রে প্রাপ্ত নয়। যদি তাই হত, তাহলে ভালাে ব্যক্তির সন্তান ভালােই হত, অপরাধীর সন্তান অপরাধীই হত। কিন্তু বাস্তবে তা হয় না, আসলে ব্যক্তির মানসিক বৈশিষ্ট্যাদি , শিক্ষাগ্রহণ, সামাজিক পরিবেশ প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।

৪. জিউক পরিবারের উত্তরসুরিদের সকলের খুঁটিনাটি জানা সম্ভব হয়েছিল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তাছাড়া আমরা জানি বংশগতি সূত্রে পিতা-মাতার উভয়েরই গুণাগুণ শিশুর মধ্যে সঞ্চারিত হয়। জিউক পরিবারের প্রথম পিতা-মাতার গুণাগুণ পরবর্তী প্রজন্মে প্রবাহিত হলেও, তার পরবর্তী প্রজন্মগুলিতে প্রবাহিত হয়েছিল, এটা মানা যায় না। কারণ ওই পরিবারের পরবর্তী পুরুষেরা অন্য ভালাে পরিবারের মহিলাদের বিয়ে করে থাকলে তখন সেই ভালাে মায়ের গুণগুলিই পরবর্তী প্রজন্মে প্রবাহিত হওয়ার কথা। ফলে ওই পরিবারের উত্তরপুরুষদিগের প্রত্যেকেই মূল পূর্বপুরুষের দোষগুলিই বয়ে চলেছে, পরবর্তী পুরুষেরা যাদের কে বিয়ে করেছিল, সেই মায়েদের গুণগুলির কোনাে প্রভাব ছিল না, এটা ঠিক নয়।।

৫. অনুরূপ ভাবে বলা যায়, এডওয়ার্ড পরিবারের উত্তরসূরিদের মধ্যে সবাই মূল পূর্ব পুরুষের গুণগুলিই বয়ে চলেছিল, তার মাঝে অন্য কোনাে পরিবারের মহিলার দোষাবলি কাজ করেনি, এটা বলা যায় না।

৬. বুদ্ধাঙ্ক পরীক্ষার ক্ষেত্রে বলা যায়, যে সকল সম্রান্ত, শিক্ষিত ব্যক্তিদের সন্তানদের বুদ্ধাঙ্ক অন্যদের তুলনায় বেশি বলা হয়েছে—তাদের ওই বৃদ্ধাঙ্ক বেশি হওয়ার কারণ শুধুমাত্র বংশগতি নয়, তারা পড়াশােনার উপযুক্ত পরিবেশ, সুযােগ-সুবিধা পেয়েছে, যেটা হয়ত অন্যরা পায়নি। 

৭. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্বেতাঙ্গ ও নিগ্রোদের মানসিক বয়স নির্ণয়ের পরীক্ষাটি কতখানি নিরপেক্ষ ছিল বলা মুশকিল, কারণ ওই দেশের কৃষাঙ্গ বিদ্বেষের কথা সকলেরই জানা।

৮. মানুষের ব্যক্তিত্ব গড়ে তােলার ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ অভিজ্ঞতা, মনস্তাত্ত্বিক পরিবেশ, ব্যক্তি যাদের সাথে আন্তঃক্রিয়ায় যুক্ত, পরিবার, শিক্ষাব্যবস্থা প্রভৃতি অনেক বিষয় দায়ী। এটি শুধুমাত্র বংশগতি নির্ণীত নয়। 

৯. ব্যক্তির দৈহিক বৈশিষ্ট্য অনেকখানি বংশগতি সূত্রে প্রাপ্ত হলেও তার সামাজিক বৈশিষ্ট্যগুলি বিকাশে ও প্রকাশে বংশগতির খুব বেশি ভূমিকা নেই। সামাজিক বৈশিষ্ট্যগুলি সামাজিক পরিবেশেই উন্মােচিত হয়।

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

সিদ্ধান্ত গ্রহণ :- 

উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়। আমরা বংশগতি সূত্রে যা পাই তা আমাদের মধ্যে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। কালক্রমে শিশু বড়াে হওয়ার সাথে সাথে এগুলি বিকশিত হয়। সামাজিক পরিবেশের ক্ষেত্ৰতেই তা জন্ম নেয়। বংশগতি হল বীজ, পরিবেশ হল সেই বীজের অঙ্কুরােদগমের জন্য প্রয়ােজনীয় জল, উষ্মতা, বাতাস। অর্থাৎ বংশগতি হল অভ্যন্তরীণ প্রাণশক্তি এবং পরিবেশ হল তার বাহ্যিক শর্তাদি। উল্লেখ্য, সমাজ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় যে বালক-বালিকারা পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হতে পারেনি, তাদের হয়ত বংশগতি সূত্রে পাওয়া কিছু গুণাগুণ ছিল কিন্তু তা উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। বলা যায়, ব্যক্তিত্ব পুরােপুরি জন্মসূত্রেই বা বংশগতিসূত্রে নির্দিষ্ট নয়। এটি ব্যক্তির নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্ব লাভের সম্ভাবনা সৃষ্টি করে, যে সম্ভাবনা পরবর্তীকালে বাস্তবায়িত হতেও পারে, নাও পারে। | পরিবেশ ও বংশগতির মধ্যে কার ভূমিকা বেশি তা নির্ধারণ করার মতাে কোনাে পদ্ধতি নেই। এটুকু বলা যায়, ব্যক্তিত্ব গঠনে দুটিরই ভূমিকা আছে। একটি অন্যটির পরিপূরক। বংশগতি সূত্রে প্রাপ্ত সম্ভাবনাদি পরিবেশের হাত ধরেই বাস্তবায়িত হয়, আবার এই সম্ভাবনা না থাকলে শুধুমাত্র পরিবেশও সফল হয় না। তাই বলা হয় Heredity determines what we can do, and environment what we do do. INGE 10,- It is not heredity or environment, but heredity and environment.

উপসংহার :- 

বংশগতি ও পরিবেশ উভয়েই প্রয়ােজনীয় ও পরস্পর অবিচ্ছেদ্য। মূল কথাটি হল বংশগতি বা পরিবেশ কে বেশি গুরুত্বপূর্ণ - তা নয়, তারা কিভাবে আমাদের ব্যক্তিত্বকে গড়ে তুলতে সাহায্য করে সেটাই মূল আলােচ্য হওয়া উচিত।
সবশেষে বলা চলে, পরিবেশ ও বংশগতির মধ্যেকার ভূমিকা বেশি তা নির্ধারণ করার মতাে সর্বজনগ্রাহ্য কোনাে পদ্ধতি নেই। এটুকু বলা যায়, ব্যক্তিত্ব গঠনে দুটিরই ভূমিকা আছে। একটি অন্যটির পরিপূরক। বংশগতিসূত্রে প্রাপ্ত সম্ভাবনাদি পরিবেশের হাত ধরেই বাস্তবায়িত হয়, আবার এই সম্ভাবনা না থাকলে শুধুমাত্র পরিবেশও সফল হয় না। তাই ব্যক্তিত্ব = বংশগতি x পরিবেশ x সময়।

গ্রন্থপঞ্জি :- 

যে সকল গ্রন্থ প্রকল্পটি রচনা করতে সহায়ক হয়েছে , সেগুলি হল - 
১. উচ্চমাধ্যমিক সমাজতত্ব ( একাদশ ) - অরুনাংশু প্রধান। 
২. বি এ প্রারম্ভিক সমাজতত্ত্ব - বাণী প্রকাশন। 
৩. সমাজতত্ত্ব পরিচয় - অনাদিকুমার মহাপাত্র।  

XI - XII Online MCQ : CLICK HERE

LIST OF ALL PROJECTS.

সমস্ত প্রকল্পের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


Share
Tweet
Pin
Share
No comments
Newer Posts
Older Posts

Contact Form

Name

Email *

Message *

About me

Hellow viewers, myself Nandan Dutta reside at Maheshpur ,Malda, West Bengal, India.

My intent to make the website is to share my view and knowledge to the HS students. They can easily find projects, HS suggestion and many more here.


Categories

  • Career (2)
  • CLASS 11 (XI) (1)
  • Class XI 1st Semester (7)
  • CLASS XI 2nd Semester (16)
  • H.S. 3rd SEM (9)
  • H.S. 4th SEM (5)
  • H.S. EDUCATION (5)
  • H.S. HISTORY (1)
  • HS SOCIOLOGY (2)
  • HS SUGGESTION (1)
  • INDIAN HISTORY (30)
  • NCERT (1)
  • POLITY (61)
  • PROJECT (96)
  • Sociological Studies (79)
  • Teaching & Education (128)
  • TEST PAPERS SOLVE (11)
  • TEST PAPERS SOLVE 2020 (7)
  • WORLD HISTORY (53)
  • XI EDUCATION (7)
  • XI HISTORY (3)
  • XI POL SC (1)
  • XI SOCIOLOGY (1)
  • XII Bengali (1)
  • XII Sanskrit (1)

recent posts

Sponsor

Facebook

Blog Archive

  • August 2025 (5)
  • July 2025 (14)
  • June 2025 (4)
  • May 2025 (23)
  • April 2025 (75)
  • March 2025 (32)
  • December 2024 (5)
  • November 2024 (70)
  • October 2024 (1)
  • September 2024 (1)
  • July 2024 (5)
  • June 2024 (3)
  • April 2024 (2)
  • March 2024 (3)
  • February 2024 (11)
  • January 2024 (1)
  • November 2023 (4)
  • October 2023 (8)
  • September 2023 (10)
  • April 2023 (9)
  • March 2023 (18)
  • February 2023 (2)
  • January 2023 (1)
  • December 2022 (3)
  • November 2022 (3)
  • October 2022 (4)
  • September 2022 (16)
  • August 2022 (3)
  • July 2022 (5)
  • June 2022 (5)
  • April 2022 (23)
  • March 2022 (10)
  • February 2022 (18)
  • January 2022 (30)
  • December 2021 (8)
  • November 2021 (12)
  • October 2021 (2)
  • September 2021 (5)
  • August 2021 (2)
  • July 2021 (2)
  • June 2021 (5)
  • May 2021 (1)
  • April 2021 (2)
  • November 2020 (1)
  • October 2020 (1)
  • August 2020 (2)
  • June 2020 (3)
  • May 2020 (1)
  • October 2019 (3)
  • September 2019 (5)
  • August 2019 (3)
  • June 2019 (3)
  • May 2019 (3)
  • April 2019 (1)
  • March 2019 (2)
  • February 2019 (3)
  • December 2018 (1)
  • November 2018 (3)
  • October 2018 (4)
  • August 2018 (1)

Total Pageviews

Report Abuse

About Me

subhankar dutta
View my complete profile

Sponsor

Pages

  • Home
  • Project
  • জাতীয় শিক্ষানীতি 1986 SAQ
  • EDU FINAL A 2020
  • Class XI ( Class 11 ) Sociology chapter wise MCQ &...
  • Class 12 (H.S.) History Chapter Wise MCQ & SAQ
  • Class 11 (XI) Sociology 1st chapter MCQ & SAQ
  • H.S. Sociology notes .
  • H.S. Sociology 1st chapter MCQ & SAQ ( only reduce...
  • H.S. Education 10th chapter SAQ & MCQ
  • H.S. Education 10th chapter MCQ & SAQ
  • CLASS 12 SOCIOLOGY 4TH CHAPTER SAQ WITH ANSWER

Pages

  • About Me
  • Contact
  • Privacy Policy
  • Disclaimer

Created with by ThemeXpose | Distributed by Blogger Templates